বাংলারজমিন

চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা এক শতাংশেরও কম

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার, ৭:৫০ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা এক লাখে পৌঁছেছে। তবে এই হার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশেরও কম। শনাক্ত হয়েছেন ১৮,৫৭০ জন। যার হার ১৮.৩৬ শতাংশ। গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত শনাক্তের এই হার ৩৩ শতাংশের উপরে ছিল।
এ অবস্থায় চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি। তিনি জানান, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলার জনসংখ্যা ৭৯ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৫ জন। কিন্তু গত ৯ বছরে এ সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। সে হিসেবে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটিরও বেশি।
সে হিসেবে চট্টগ্রামের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মানুষও নমুনা পরীক্ষার আওতায় আসেনি গত ৬ মাসে। মে থেকে জুলাই মাসে উল্লেখযোগ্য হারে নমুনা পরীক্ষা হলেও পরবর্তীতে পরীক্ষা নিয়ে মানুষের আগ্রহে ভাটা পড়ে বলে মতপ্রকাশ করেন শেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, এপ্রিল-জুন মাসে নমুনা পরীক্ষার চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ঢাকায়ও নমুনা পাঠাতে হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ কমতে শুরু করে। জুলাই মাসের পরে নমুনা সংকটেও পড়ে ল্যাবগুলো। রিপোর্ট পেতে বিলম্ব, পরীক্ষায় ফি নির্ধারণসহ আরো বেশকিছু কারণে নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ কমেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১ লাখ ৯০৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে ১৮,৫৭০ জনের। যার গড় হার ১৮.৩৬। এরমধ্যে মহানগরের বাসিন্দাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭০,০৫৮টি। শনাক্ত হয়েছে ১৩,২৫৭ জনের। শনাক্তের হার ১৮.৯২ শতাংশ। উপজেলা পর্যায়ের ২৮,৬৬৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ৫,২৬০ জনের। শনাক্তের হার ১৮.৩৪ শতাংশ।
সূত্রমতে, গত ২৫শে মার্চ থেকে ২৪শে জুন পর্যন্ত ২৫,১৩০টি নমুনা পরীক্ষা হয় চট্টগ্রামে। এরমধ্যে মহানগরের বাসিন্দাদের নমুনা পরীক্ষা হয় ১৫,৯৯৫ জনের। আর উপজেলা পর্যায়ের নমুনা পরীক্ষা হয় ৯,৩৩৮ জনের। সবমিলিয়ে ২৫,১৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ৭,২২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
অবশিষ্ট ৭৫,৭২১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে পরবর্তী তিন মাসে। যা প্রথম তিন মাসে পরীক্ষাকৃত নমুনার ৩ গুণ। আর প্রথম তিন মাসে আক্রান্তদের মাঝে ১৫৫ জনের মৃত্যু হয় চট্টগ্রামে। আর গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্তদের মাঝে মৃত্যুর এ সংখ্যা ২৮৬ জন। আগের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে রোগী শনাক্তের হার অনেক কমেছে। সিভিল সার্জনের ভাষ্য, করোনা সংক্রমণ কমে গেছে বা আর আক্রান্তের আশঙ্কা নেই এমন ধারণা ভুল। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক না পরলে, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে না চললে আক্রান্তের হার আবারো বাড়তে পারে। দুঃখ প্রকাশ করে সিভিল সার্জন আরো বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি বলতে কোনো নিয়মই মানা হচ্ছে না চট্টগ্রামে। ফলে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে আছড়ে পড়ছে। চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেকেই দ্বিতীয়বার করোনা সংক্রমণ হয়েছে। শীত মৌসুমে করোনার ঢেউ প্রবল হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status