শেষের পাতা
ইউএনও’র ওপর হামলা
আদালতে রবিউলের স্বীকারোক্তি
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরে ঘোড়াঘাটের ইউএন ওয়াহিদা খানমকে হত্যাপ্রচেষ্টা মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে গতকাল রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে জেলহাজতে। কড়া নিরাপত্তা মধ্যে রবিউল ইসলামকে হেলমেট পরিয়ে সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে দিনাজপুর আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে বিকাল সাড়ে ৩টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে রবিউলকে হাজির করা হয়। স্বীকারোক্তি নেয়ার পর আদালত তাকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর কোর্ট পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন।
দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন রবিউল।
এর আগে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী তিনি নিজেই। আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার দেয়া তথ্যমতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন- বিষয়গুলো আলামত হিসাবে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ৯ই সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন ও প্রযুক্তির সহায়তার রবিউল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবির ওসি ইমাম আবু জাফরও রবিউল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।
এদিকে আদালতে উপস্থিত রবিউল ইসলামের ভাইয়েরা অভিযোগ করেন, পুলিশ রবিউলকে দু’পাশে ধরে উচু করে আদালতে প্রবেশ করেছেন। জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়ার জন্য অমানুষিক নির্যাতন ও মারধর করায় রবিউল হাঁটতে পারছে না বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার আসামি রবিউল ইসলামকে পুলিশ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বললে রবিউল অসম্মতি জানায়। পরে ৬ ঘণ্টা পর পুলিশ ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনজুমান আরার আদালতে রবিউলকে হাজির করে আরো ৭ দিনের রিমান্ড চায়। অদালতের বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গতঃ গত ২রা সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ঘোড়াঘাট ইউএনও’র বাসভবনে ভেন্টিলেটার দিয়ে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানম এবং তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওমর আলীর উপর হামলা চালায়।
দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন রবিউল।
এর আগে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী তিনি নিজেই। আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার দেয়া তথ্যমতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন- বিষয়গুলো আলামত হিসাবে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ৯ই সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন ও প্রযুক্তির সহায়তার রবিউল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবির ওসি ইমাম আবু জাফরও রবিউল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।
এদিকে আদালতে উপস্থিত রবিউল ইসলামের ভাইয়েরা অভিযোগ করেন, পুলিশ রবিউলকে দু’পাশে ধরে উচু করে আদালতে প্রবেশ করেছেন। জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়ার জন্য অমানুষিক নির্যাতন ও মারধর করায় রবিউল হাঁটতে পারছে না বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার আসামি রবিউল ইসলামকে পুলিশ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বললে রবিউল অসম্মতি জানায়। পরে ৬ ঘণ্টা পর পুলিশ ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনজুমান আরার আদালতে রবিউলকে হাজির করে আরো ৭ দিনের রিমান্ড চায়। অদালতের বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গতঃ গত ২রা সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ঘোড়াঘাট ইউএনও’র বাসভবনে ভেন্টিলেটার দিয়ে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানম এবং তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওমর আলীর উপর হামলা চালায়।