বাংলারজমিন
পরীক্ষা দেওয়া হলো না শিখার
মির্জাগঞ্জ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শিখা রানী। বয়স ৩৫। মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের বিকাশ গোলদারের স্ত্রী। ইচ্ছে ছিলো ডিগ্রি পাশ করবে। গত বছর পরীক্ষা দেওয়া জন্য ফরম পূরণ করেও ওই বছর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি শিখার।তারপর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে সে। এমনকি বেশ কয়েবার কষ্টে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এমনই কথা বলে পরিবারের লোকজন। এবার ও পরীক্ষা আর দেওয়া হলো না। সেই একই যন্ত্রণায় পুনরায় আত্মহত্যা করার লক্ষে গলায় রশি পেচিয়ে বাড়ির সামনে গাছের সাথে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শিখা রানী। এসময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামে।নিহতের স্বামী বিকাশ গোলদার বলেন, পরীক্ষা দিতে না পারায় মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিখা।এজন্য মানসিক ডাক্তার ও দেখানো হয়েছে। এমনকি এর আগেও কয়েকবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। প্রতিদিনের মতো আজকেও বিকালে কাকড়াবুনিয়া বাজারে আমার ফার্মেসীতে যাই।সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে ফোন আসে তোর বউ গলায় দড়ি দিছে। এব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, মহিলা মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলো। এর পূর্বে বিভিন্ন সময়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।উভয় পক্ষের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।