বাংলারজমিন
সরাইলে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
সরাইল প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে সামিয়া আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় সরাইল হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামীর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বললেও নিহতের ভাইয়ের দাবী হত্যা করা হয়েছে।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন লোক একজন মহিলাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। মহিলার মৃত্যু নিশ্চিত শুনে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়ে শশুর বাড়ির লোকজন।
নিহত সামিয়া উপজেলার বেড়তলা এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তিন বছর আগে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের সূর্যকান্দি এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ওবায়দুল হকের সাথে সামাজিক ভাবেই বিয়ে হয়েছিল সামিয়ার। ওবায়দুল পেশায় ট্রাকচালক। তাদের ঘরে দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
নিহত সামিয়ার ভাই ইকবাল হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমার বোনটা এতিম। ছোটবেলায় বাবা মারা গেলে আমি তাকে আদর করে বড় করি। আমি গরীব মানুষ। আমার টাকা পয়সা নাই। তবুও বোনের সুখের জন্য সাধ্যমতো সহায়তা করে গেছি। কিন্তু বোনের জামাতা এবং শাশুড়ী এরা প্রায়ই আমার বোনের সাথে ঝগড়া করতো। ওবায়দুল হক তার ভাবির সাথে পরকিয়ায় জড়িত ছিলো। এ নিয়ে প্রায়ই সামিয়াকে মারধরও করতো।
আজকে খবর পায় বোন অসুস্থ। পরে সরাইল হাসপাতালে গিয়ে দেখি বোনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরে ফেলেছে। হাসপাতালে সামিয়ার লাশটি ফেলে পালিয়ে স্বামী ও তার স্বজনরা। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
পরে সরাইল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে আনা হয়েছে। নিহতের গলায় দাগ রয়েছে, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন লোক একজন মহিলাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। মহিলার মৃত্যু নিশ্চিত শুনে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়ে শশুর বাড়ির লোকজন।
নিহত সামিয়া উপজেলার বেড়তলা এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তিন বছর আগে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের সূর্যকান্দি এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ওবায়দুল হকের সাথে সামাজিক ভাবেই বিয়ে হয়েছিল সামিয়ার। ওবায়দুল পেশায় ট্রাকচালক। তাদের ঘরে দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
নিহত সামিয়ার ভাই ইকবাল হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমার বোনটা এতিম। ছোটবেলায় বাবা মারা গেলে আমি তাকে আদর করে বড় করি। আমি গরীব মানুষ। আমার টাকা পয়সা নাই। তবুও বোনের সুখের জন্য সাধ্যমতো সহায়তা করে গেছি। কিন্তু বোনের জামাতা এবং শাশুড়ী এরা প্রায়ই আমার বোনের সাথে ঝগড়া করতো। ওবায়দুল হক তার ভাবির সাথে পরকিয়ায় জড়িত ছিলো। এ নিয়ে প্রায়ই সামিয়াকে মারধরও করতো।
আজকে খবর পায় বোন অসুস্থ। পরে সরাইল হাসপাতালে গিয়ে দেখি বোনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরে ফেলেছে। হাসপাতালে সামিয়ার লাশটি ফেলে পালিয়ে স্বামী ও তার স্বজনরা। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
পরে সরাইল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে আনা হয়েছে। নিহতের গলায় দাগ রয়েছে, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।