অনলাইন
ওমানফেরত সুমিত্রার বাড়ি ফেরা
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার, ৪:০৪ পূর্বাহ্ন
সুমিত্রা মুন্ডা। বৃহস্পতিবার ওমান থেকে দেশে ফেরেন সাতক্ষীরার এই নারী। কিন্তু সঙ্গে টাকা-পয়সা নেই। তাকে কেউ নিতেও আসেনি বাড়ি থেকে। এই অবস্থায় হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই অবস্থান করছিলেন অসহায় এই নারী। কি করবেন তাও বুঝে ওঠতে পারছিলেন না। পরে ওইদিনই বিকাল ৫টার দিকে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কাজ দেখতে আকস্মিক পরিদর্শনে যান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরচিালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হামিদুর রহমান। এ সময় তিনি সুমিত্রা কথা জানতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে কথা বলে নগদ আর্থিক সহায়তাসহ বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন।
আকস্মিক ওই পরিদর্শনের মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন বোর্ডের পরিচালক মুশাররাত জেবিন, উপ-পরিচালক জাহিদ আনোয়ার, উপসহকারী পরিচালক নাজমুল হক, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক ফকরুল আলম।
উপ-পরিচালক জাহিদ আনোয়ার জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক পরিদর্শনের সময় মহাপরিচালক জানতে পারেন সকালের ফ্লাইটে এক নারী কর্মী ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন। তিনি বিমান বন্দরে অবস্থান করছেন। মহাপরচিালক ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন। ওই নারীকে সেসময় অনেক ক্লান্ত ও বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। কথা বলে জানা যায়, তার নাম সুমিত্রা মুন্ডা। বাড়ী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার শ্রিফলকাঠি গ্রামে। ওমান থেকে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে গ্রামের বাড়ি থেকে কোনো লোকজনও আসেনি। এ সময় মহাপরিচালক তাৎক্ষণিকভাবে তাকে খাবার ও বাড়িতে যাওয়া বাবদ ৫ হাজার টাকা দেন। পরে সুমিত্রাকে ব্র্যাকের সেইফ হোমে রাখা হয়। সেখান থেকে শুক্রবার সকাল ৮টায় পরিবারের লোকজন আসলে তাদের হাতে সুমিত্রাকে হস্তান্তর করা হয়।
সুমিত্রা বলেন, আমি অনেক খুশি। আমার মতো গরিব এক মানুষের কথা জানতে পেরে বড় স্যার আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আমার বাড়ি যাওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। স্যারের মত ভালো মানুষ হয় না।
জাহিদ আনোয়ার আরো জানান, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হামিদুর রহমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আকস্মিকভাবে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক পরিদর্শনে যান। এ সময় সেবা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। মহাপরিচালক প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কার্গো শাখা, বহির্গমন ও আগমন এবং প্রধান ডেস্ক পরিদর্শন করেন। তিনি সেবা প্রদান সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হন এবং কতিপয় নির্দেশনা দেন।। কার্গো শাখায় মৃতের পরিবার লাশ গ্রহণ করতে এসে বসার স্থান না থাকায় বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার বিষয়টি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দেন। মহাপরিচালক প্রবাসী কর্মীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ককে আরো শক্তিশালী ও দৃশ্যমান করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার আশ্বাস দেন।
আকস্মিক ওই পরিদর্শনের মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন বোর্ডের পরিচালক মুশাররাত জেবিন, উপ-পরিচালক জাহিদ আনোয়ার, উপসহকারী পরিচালক নাজমুল হক, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক ফকরুল আলম।
উপ-পরিচালক জাহিদ আনোয়ার জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক পরিদর্শনের সময় মহাপরিচালক জানতে পারেন সকালের ফ্লাইটে এক নারী কর্মী ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন। তিনি বিমান বন্দরে অবস্থান করছেন। মহাপরচিালক ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন। ওই নারীকে সেসময় অনেক ক্লান্ত ও বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। কথা বলে জানা যায়, তার নাম সুমিত্রা মুন্ডা। বাড়ী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার শ্রিফলকাঠি গ্রামে। ওমান থেকে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে গ্রামের বাড়ি থেকে কোনো লোকজনও আসেনি। এ সময় মহাপরিচালক তাৎক্ষণিকভাবে তাকে খাবার ও বাড়িতে যাওয়া বাবদ ৫ হাজার টাকা দেন। পরে সুমিত্রাকে ব্র্যাকের সেইফ হোমে রাখা হয়। সেখান থেকে শুক্রবার সকাল ৮টায় পরিবারের লোকজন আসলে তাদের হাতে সুমিত্রাকে হস্তান্তর করা হয়।
সুমিত্রা বলেন, আমি অনেক খুশি। আমার মতো গরিব এক মানুষের কথা জানতে পেরে বড় স্যার আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আমার বাড়ি যাওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। স্যারের মত ভালো মানুষ হয় না।
জাহিদ আনোয়ার আরো জানান, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হামিদুর রহমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আকস্মিকভাবে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক পরিদর্শনে যান। এ সময় সেবা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। মহাপরিচালক প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কার্গো শাখা, বহির্গমন ও আগমন এবং প্রধান ডেস্ক পরিদর্শন করেন। তিনি সেবা প্রদান সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হন এবং কতিপয় নির্দেশনা দেন।। কার্গো শাখায় মৃতের পরিবার লাশ গ্রহণ করতে এসে বসার স্থান না থাকায় বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার বিষয়টি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দেন। মহাপরিচালক প্রবাসী কর্মীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ককে আরো শক্তিশালী ও দৃশ্যমান করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার আশ্বাস দেন।