খেলা
ইউএস ওপেন দেখতে গিয়ে ট্রাম্পের হাতে যৌন হয়রানির শিকার এক মডেল
স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নতুন নয়। তবে খেলার মাঠের ঘটনাটা একটু নতুনই বলা যায়। সাবেক এক মডেল দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাঁকে যৌন হয়রানি করেছিলেন। দুই দশক ধরে ‘অসুস্থ’ ও ‘নিপীড়িত’ বোধ করা সেই নারীর দাবি ১৯৯৭ সালে ইউএস ওপেনের একটি ম্যাচ দেখতে গিয়েই ট্রাম্পের এমন আচরণের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
দ্য গার্ডিয়ানের কাছে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অ্যামি ডরিস। ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রেমিক জেসন বিনের সুবাদে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হয় ডরিসের। ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ভিআইপি বক্সে ইউএস ওপেনের ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন দুজনে। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ভিআইপি বক্সের বাথরুমের বাইরে তাঁকে যৌন হয়রানি করেছিলেন ট্রাম্প, এমনটাই দাবি করেছেন ডরিস। সে সময় ২৪ বছর বয়সী ছিলেন ডরিস। তাঁর দাবি, ট্রাম্প তাঁকে জোর করে চুমু খেয়েছিলেন, মুঠোতে হাত আটকে রেখেছিলেন যাতে ডরিস নড়তে না পারেন এবং আরও অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেন। গার্ডিয়ানের কাছে সে সময়টার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন ডরিস, ‘তিনি জোর করে আমাকে চুমু খাচ্ছিল এবং আমি তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমি জানি না এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য কী শব্দ ব্যবহার করা হয় কিন্তু আমি দাঁত ব্যবহার করে তা থামানোর চেষ্টা করেছি। আমার ধারণা সেও ব্যথা পেয়েছিল।’
যদিও ট্রাম্প তাঁর আইনজীবীদের মাধ্যমে ডরিসের এমন অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তবে ডরিস, সেদিনের ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ইউএস ওপেনের সেদিনের টিকিট ও ট্রাম্পের সঙ্গে তোলা ছয়টি ছবি দেখিয়েছেন। ঘটনার সময় ৫১ বছর বয়সী ট্রাম্প বিবাহিত ছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রী মারলা ম্যাপলস সেদিন ডরিস, ট্রাম্প ও বিনের সঙ্গে ছিলেন না।
ফ্লোরিডাবাসী ডরিস ২৩ বছর আগেও ফ্লোরিডাতেই ছিলেন। সে সময়কার প্রেমিক বিনের সঙ্গে নিউইয়র্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্পকে ‘প্রিয় বন্ধু’ দাবি করে বিনই ম্যানহাটনে অবস্থিত ট্রাম্প টাওয়ারে নিয়ে গিয়েছিলেন ডরিসকে, ‘শুরু থেকেই বাজে আচরণ করছিলেন। কিছু লোক আছে যাদের ধারণা, তারা যা চায়, তাই করতে পারবে... অথচ আমি সেখানে আমার প্রেমিকের সঙ্গে গিয়েছি।’
সেদিনের ঘটনা বর্ননা দিয়ে ডরিস বলেন, কিছুক্ষণ কথা বলেই ট্রাম্প নাকি তাঁর ওপর জোর খাটানোর চেষ্টা করেন। ডরিস দাবি করেন, তিনি ‘না, সরুন’, ‘না, দয়া করে থামুন’ বলে থামানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ট্রাম্প পাত্তা দেননি। ডরিস বলে যান, ‘আপনি যেই হোন না কেন, কেউ যখন না বলে তার মানে না। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেটা কাজ করেনি। এটা যথেষ্ট হয়নি। আমি ভয়ংকর ধাক্কা খেয়েছিলাম। অবশ্যই নিপীড়িত মনে হয়েছিল। কিন্তু তখনো বুঝে উঠতে পারিনি কী ঘটছে। আমি দ্রুত ফিরে (ভিআইপি বক্সে) আবার সবার সঙ্গে কথা বলে সহজ হওয়ার চেষ্টা করেছি।’ ঘটনাটা বিনকেও জানিয়েছিলেন ডরিস। তবে গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে বিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নাকি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ট্রাম্পের আইনজীবীদের দাবি, ডরিস এমন কিছু বলেছেন বলে তাঁর স্মৃতিতে নেই বলে তাদের জানিয়েছেন বিন।
ডরিস জানিয়েছেন পরদিনও ট্রাম্পের ভিআইপি বক্সে গিয়ে খেলা দেখেছেন তিনি ও বিন। এদিন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী লেনি ক্রাভিতজ ও শন কম্বস। একটু পর লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এবং জাদুশিল্পী ডেভিড ব্লেইনও যোগ দেন ট্রাম্পের সঙ্গে। তবে সেদিনের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে চাইলে গার্ডিয়ানের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এ চারজন।
দ্য গার্ডিয়ানের কাছে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অ্যামি ডরিস। ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রেমিক জেসন বিনের সুবাদে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হয় ডরিসের। ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ভিআইপি বক্সে ইউএস ওপেনের ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন দুজনে। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ভিআইপি বক্সের বাথরুমের বাইরে তাঁকে যৌন হয়রানি করেছিলেন ট্রাম্প, এমনটাই দাবি করেছেন ডরিস। সে সময় ২৪ বছর বয়সী ছিলেন ডরিস। তাঁর দাবি, ট্রাম্প তাঁকে জোর করে চুমু খেয়েছিলেন, মুঠোতে হাত আটকে রেখেছিলেন যাতে ডরিস নড়তে না পারেন এবং আরও অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেন। গার্ডিয়ানের কাছে সে সময়টার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন ডরিস, ‘তিনি জোর করে আমাকে চুমু খাচ্ছিল এবং আমি তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমি জানি না এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য কী শব্দ ব্যবহার করা হয় কিন্তু আমি দাঁত ব্যবহার করে তা থামানোর চেষ্টা করেছি। আমার ধারণা সেও ব্যথা পেয়েছিল।’
যদিও ট্রাম্প তাঁর আইনজীবীদের মাধ্যমে ডরিসের এমন অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তবে ডরিস, সেদিনের ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ইউএস ওপেনের সেদিনের টিকিট ও ট্রাম্পের সঙ্গে তোলা ছয়টি ছবি দেখিয়েছেন। ঘটনার সময় ৫১ বছর বয়সী ট্রাম্প বিবাহিত ছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রী মারলা ম্যাপলস সেদিন ডরিস, ট্রাম্প ও বিনের সঙ্গে ছিলেন না।
ফ্লোরিডাবাসী ডরিস ২৩ বছর আগেও ফ্লোরিডাতেই ছিলেন। সে সময়কার প্রেমিক বিনের সঙ্গে নিউইয়র্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্পকে ‘প্রিয় বন্ধু’ দাবি করে বিনই ম্যানহাটনে অবস্থিত ট্রাম্প টাওয়ারে নিয়ে গিয়েছিলেন ডরিসকে, ‘শুরু থেকেই বাজে আচরণ করছিলেন। কিছু লোক আছে যাদের ধারণা, তারা যা চায়, তাই করতে পারবে... অথচ আমি সেখানে আমার প্রেমিকের সঙ্গে গিয়েছি।’
সেদিনের ঘটনা বর্ননা দিয়ে ডরিস বলেন, কিছুক্ষণ কথা বলেই ট্রাম্প নাকি তাঁর ওপর জোর খাটানোর চেষ্টা করেন। ডরিস দাবি করেন, তিনি ‘না, সরুন’, ‘না, দয়া করে থামুন’ বলে থামানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ট্রাম্প পাত্তা দেননি। ডরিস বলে যান, ‘আপনি যেই হোন না কেন, কেউ যখন না বলে তার মানে না। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেটা কাজ করেনি। এটা যথেষ্ট হয়নি। আমি ভয়ংকর ধাক্কা খেয়েছিলাম। অবশ্যই নিপীড়িত মনে হয়েছিল। কিন্তু তখনো বুঝে উঠতে পারিনি কী ঘটছে। আমি দ্রুত ফিরে (ভিআইপি বক্সে) আবার সবার সঙ্গে কথা বলে সহজ হওয়ার চেষ্টা করেছি।’ ঘটনাটা বিনকেও জানিয়েছিলেন ডরিস। তবে গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে বিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নাকি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ট্রাম্পের আইনজীবীদের দাবি, ডরিস এমন কিছু বলেছেন বলে তাঁর স্মৃতিতে নেই বলে তাদের জানিয়েছেন বিন।
ডরিস জানিয়েছেন পরদিনও ট্রাম্পের ভিআইপি বক্সে গিয়ে খেলা দেখেছেন তিনি ও বিন। এদিন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী লেনি ক্রাভিতজ ও শন কম্বস। একটু পর লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এবং জাদুশিল্পী ডেভিড ব্লেইনও যোগ দেন ট্রাম্পের সঙ্গে। তবে সেদিনের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে চাইলে গার্ডিয়ানের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এ চারজন।