বাংলারজমিন
হেরে গেলেন নির্যাতিত গৃহবধূ
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন
টানা দুই সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছেই হার মেনেছেন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার গৃহবধূ তাসনীম মীম। সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যার কথা বললেও মীমের পরিবারের দাবি ধারাবাহিক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বলি হয়েছেন মীম। ২০১৬ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে আনার্সে অধ্যায়নকালে মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কচুয়াদহ গ্রামের মহিবুল আলমের মেয়ে তাসনীম মীমকে পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেন দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মৃত জিন্না মোল্লার ছেলে এজাজ আহমেদ বাপ্পী। গত ১লা সেপ্টেম্বর বিকালে মীম শ্বশুর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অর্থাৎ যে ঘরে তিনি স্বামী সংসার নিয়ে বসবাস করছিলেন সেই ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মীমের আর্তচিৎকারে ছুটে আসেন নিচতলার ভাড়াটিয়া ও পরিবারের লোকজন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নেয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এলাকাবাসী কিংবা মীমের শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন মীম।
তবে মীমের মা-বাবার দাবি, দিনের পর দিন স্বামী ও শাশুড়ির শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের কারণেই মীম আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার নবাগত ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, মীমের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন মীম।
এলাকাবাসী কিংবা মীমের শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন মীম।
তবে মীমের মা-বাবার দাবি, দিনের পর দিন স্বামী ও শাশুড়ির শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের কারণেই মীম আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার নবাগত ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, মীমের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন মীম।