বিশ্বজমিন
রয়টার্সের রিপোর্ট
এস্ট্রাজেনেকার টিকার পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে স্থগিত, ব্রাজিলে শুরু, ভারতের অবস্থা জানা যায়নি
মানবজমিন ডেস্ক
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও এস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকার পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে এখনও স্থগিত রাখা হয়েছে। ভারতে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এই টিকার পরীক্ষা কি অবস্থায় আছে তা জানা যায় নি। তবে পরীক্ষা নতুন করে শুরু করেছে ব্রাজিল। বৃটেনে এই টিকা প্রয়োগের পর একজন রোগী মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার প্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তারপরই গ্রিন সিগন্যাল দিতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যদের টিকাগুলোর পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে জানেন এমন সূত্র এ খবর জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে। ওদিকে এস্ট্রাজেনেকা শনিবার বলেছে, তাদের একজন স্বেচ্ছাসেবী সম্প্রতি এই টিকার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হন। বিষয়টি পুরোপুরি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এরপরই তারা বৃটেনে এই টিকার পরীক্ষা আবার শুরু করেছে।
ফলে এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত করে বলা যায় যে, যতক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ নিরাপত্তা বিষয়ক তদন্তকারী প্যানেল তাদের অনুসন্ধান প্যানেল এই টিকার নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চয়তা না দেবেন, ততদিন বা ততক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রে এস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি করা এই টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আশার সঞ্চার হয়েছে। অভিজাত অক্সফোর্ডের ওপর আস্থা রেখেছে বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ। তাই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় তাদের টিকার পরীক্ষা। এরই মধ্যে বৃটেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন একজন রোগী। এরপর ৬ই সেপ্টেম্বর টিকার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে তা শুরু হয়। সূত্রগুলো রয়টার্সকে বলেছেন, নতুন রোগী আসা এবং যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য টিকার পরীক্ষার যে প্রক্রিয়া আছে তা নতুন করে সাজানো হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ এস্ট্রাজেনেকার টিকার তদন্ত শেষ করে এফডিএ গ্রিন সিগন্যাল দেবে তা অনিশ্চিত।
বিশ্বজুড়ে সরকারগুলো এই করোনা মহামারিতে জনগণকে রক্ষা করার জন্য একটি স্বীকৃত টিকার জন্য একাগ্রচিত্তে অপেক্ষা করছে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে বিশ্বে কমপক্ষে ৯ লাখ মানুষ মারা গেছেন। বিশ্ব অর্থনীতি তোলপাড় হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় এস্ট্রাজেনেকার টিকাকে সবচেয়ে আশাবাদী বলে বর্ণনা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এই পরীক্ষা যত বিলম্বিত হবে, ততই সেখানে এই টিকা অনুমোদন দেয়া বা জনসাধারণের হাতের নাগালে পাওয়ার সম্ভাবনা দূরে সরে যাবে।
বৃটেনে করোনা পরীক্ষায় যে রোগী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন, তার দেখা দিয়েছে মেরুদন্ডের প্রদাহজনিত সমস্যা। একে বলা হয় ট্রান্সভার্স মাইলিটিস। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে আবার কবে শুরু হবে এই টিকার পরীক্ষা সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এস্ট্রাজেনেকার একজন মুখপাত্র। তিনি এক ইমেইলে জানিয়েছেন, আমরা এফডিএ সহ বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবো। তাদের কাছ থেকে জানবো, কখন এই টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শুরু করতে পারবো। ওদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে এই পরীক্ষার কি অবস্থা তা জানা যায় নি। তবে নতুন করে পরীক্ষা শুরু করেছে ব্রাজিল।
ফলে এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত করে বলা যায় যে, যতক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ নিরাপত্তা বিষয়ক তদন্তকারী প্যানেল তাদের অনুসন্ধান প্যানেল এই টিকার নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চয়তা না দেবেন, ততদিন বা ততক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রে এস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি করা এই টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আশার সঞ্চার হয়েছে। অভিজাত অক্সফোর্ডের ওপর আস্থা রেখেছে বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ। তাই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় তাদের টিকার পরীক্ষা। এরই মধ্যে বৃটেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন একজন রোগী। এরপর ৬ই সেপ্টেম্বর টিকার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে তা শুরু হয়। সূত্রগুলো রয়টার্সকে বলেছেন, নতুন রোগী আসা এবং যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য টিকার পরীক্ষার যে প্রক্রিয়া আছে তা নতুন করে সাজানো হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ এস্ট্রাজেনেকার টিকার তদন্ত শেষ করে এফডিএ গ্রিন সিগন্যাল দেবে তা অনিশ্চিত।
বিশ্বজুড়ে সরকারগুলো এই করোনা মহামারিতে জনগণকে রক্ষা করার জন্য একটি স্বীকৃত টিকার জন্য একাগ্রচিত্তে অপেক্ষা করছে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে বিশ্বে কমপক্ষে ৯ লাখ মানুষ মারা গেছেন। বিশ্ব অর্থনীতি তোলপাড় হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় এস্ট্রাজেনেকার টিকাকে সবচেয়ে আশাবাদী বলে বর্ণনা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এই পরীক্ষা যত বিলম্বিত হবে, ততই সেখানে এই টিকা অনুমোদন দেয়া বা জনসাধারণের হাতের নাগালে পাওয়ার সম্ভাবনা দূরে সরে যাবে।
বৃটেনে করোনা পরীক্ষায় যে রোগী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন, তার দেখা দিয়েছে মেরুদন্ডের প্রদাহজনিত সমস্যা। একে বলা হয় ট্রান্সভার্স মাইলিটিস। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে আবার কবে শুরু হবে এই টিকার পরীক্ষা সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এস্ট্রাজেনেকার একজন মুখপাত্র। তিনি এক ইমেইলে জানিয়েছেন, আমরা এফডিএ সহ বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবো। তাদের কাছ থেকে জানবো, কখন এই টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শুরু করতে পারবো। ওদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে এই পরীক্ষার কি অবস্থা তা জানা যায় নি। তবে নতুন করে পরীক্ষা শুরু করেছে ব্রাজিল।