খেলা

মাঠে ফিরেছে নারী ক্রিকেটাররাও

স্পোর্টস রিপোর্টার

১১ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

ঈদের আগে ব্যক্তিগত অনুশীলনে মাঠে ফিরেছিলেন জাতীয় দলের ছেলে ক্রিকেটাররা। তাদের দেখে উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস পান নারী দলের ক্রিকেটাররাও। এরমধ্যে ঈদের আগেই খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ অনুশীলনও করেন। তবে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবির ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন তারা। দেশের ৫ ভেন্যুতে যোগ দিয়েছেন ৯ নারী ক্রিকেটার। এদিন অনুশীলনে ফিরেছেন জাতীয় দলের দুই তরুণ ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ও সাদমান ইসলাম অনিক। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে তাদের সঙ্গে ছিলেন পেস অলরাউন্ডার জাহানারা আলম ও বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার। ৫ মাস পর মাঠে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা। নাহিদার কণ্ঠে প্রকাশ পেয়েছে সেই আবেগও। স্পিনার নাহিদা আক্তার বলেন, ‘দীর্ঘ ৫ মাস পরে মাঠে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। জিম করার পাশাপাশি বোলিংও করেছি। শুরুতে একটু কষ্ট হয়েছে। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। বিসিবি দারুণ ব্যবস্থা করেছে। এমন সুযোগ দেয়ায় তাদের ধন্যবাদ।’
মার্চে বাংলাদেশে সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত হয়ে যায় করোনা মহামারির কারণে। তবে তার আগে থেকেই নারী ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ ছিল। যে কারণে ৫ মাস ধরে তারা রয়েছে মাঠের বাইরে। ঘরে বসে বসে নারী দলের ফিজিও, চিকিৎসক ও ট্রেইনারের পরামর্শে নিজেদের ফিট রাখতে কাজ করেছেন রুমানারা। তবে ঘরে বসে ফিটনেস ট্রেনিং আর মাঠে অনুশীলন- দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য। তাই প্রথম দিন হঠাৎ মাঠে এসে তাদের মানিয়ে নিতে একটু কষ্টই হয়েছে। এ বিষয়ে নাহিদা বলেন, ‘ঘরে বসে বিসিবির ফিজিও, ট্রেইনারদের পরামর্শে ফিট থাকার চেষ্টা করেছি। তবে মাঠে অনুশীলনটা একেবারেই ভিন্ন। প্রায় ৫ মাস পর মাঠে বোলিং করেছি, শুরুতে আমার একটু কষ্ট হয়েছে। যদি এভাবে করে যেতে পারি আশাকরি সব ঠিক হয়ে যাবে।’ খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদ ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমা খাতুন আর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন করবেন খাদিজাতুল কুবরা ও শারমিন সুলতানা।’
৩রা থেকে ১৯শে জুলাই শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা ছিল মেয়েদের বিশ্বকাপ বাছাই। সেটি স্থগিত হয়ে গেছে করোনাভাইরাসের কারণে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মেয়েদের ফেরার অপেক্ষা তাই দীর্ঘ হচ্ছে। তবে মানসিকভাবে দৃঢ় এখন বাংলাদেশ নারী দল। অনুশীলনে ফেরার আগে বিসিবি তাদের জন্য মনোবিদ নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে মনে করেন নাহিদা। এই স্পিনার বলেন, ‘সবাই জানেন করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতি সারা বিশ্ব্বেই। তবে আমরা  খেলোয়াড়, আমাদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আর আমরা মানসিকভাবে আগের চেয়ে দৃঢ় রয়েছি কারণ কিছুদিন আগে আমাদের মনোবিদের সঙ্গে কয়েকটা সেশন হয়েছে। সেখান থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি যে, আস্তে আস্তে মাঠে ফিরতে পারবো।’
দীর্ঘদিন পর বোলিং উপভোগ করছেন নাঈম
ঈদের আগে ১৫ ক্রিকেটার  করোনার ভয় উড়িয়ে ব্যক্তিগত অনুশীলনে মাঠে এসেছিলেন। বিসিবি তাদের জন্য দেশের ৫টি ভেন্যুর ব্যবস্থা করেছিল। দারুণ সেই আয়োজন দেখে ঈদুল আজহার পর ছেলে ক্রিকেটারদের সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়েছে। চট্টগ্রামে শুরু করেছিলেন জাতীয় দলের তরুণ অফস্পিনার নাঈম হাসান। তবে শুধু জিম করেই কাটিয়েছেন সেই সময়টা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পর নিজের অনুভূতি নিয়ে ভিডিও বার্তায় নাঈম বলেন, ‘চার মাস পর অনুশীলনে আসছি। আমাদের মাঠে অনুশীলন করা হয়নি এতদিন। বাসাতেই জিম রানিং করেছি। মাঠে ফিরে খুব ভালো লাগছে কারণ আমাদের তো সবসময় গ্রাউন্ডেই থাকা হয়। আর একটু নতুন নতুন লাগছিল প্রথম দিকে। আমরা শুরু করেছিলাম রানিং, জিম দিয়ে। ঈদের পর বোলিংও যোগ হয়েছে। ফিটনেসে ইমপ্রুভ হচ্ছে। যদি ধারাবাহিকভাবে অনুশীলন করি তবে আগের জায়গায় দ্রুত ফিরতে পারবো।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status