বাংলারজমিন

ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা শিশু পূর্ণিমাকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে

১১ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:০৪ পূর্বাহ্ন

রংপুরে শিশু পূর্ণিমা রায় ওরফে সুন্দরী (১৪) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। গতকাল নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান সাংবাদিকদের জানান, হাজীরহাট থানা এলাকার অভিরাম মনোহর বাবুপাড়ার শ্রী ফটিক চন্দ্র রায়ের মেয়ে পূর্ণিমা রানী রায় ওরফে সুন্দরী মনোহর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। আর্থিক অনটনের কারণে পূর্ণিমা তার ঠাকুরমার বাড়িতে থাকতো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পূর্ণিমার সঙ্গে পরিচয় হয় স্থানীয় দিবাকর ওরফে শ্যামলের ছেলে সুরজিত ওরফে সুজিতের (১৯) সঙ্গে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে সুকৌশলে সুজিত পূর্ণিমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পূর্ণিমা গর্ভবতী হয়েছে বিষয়টি জানতে পেরে সুজিত তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ২৫শে জুলাই সকাল ১০টার দিকে পূর্ণিমার ঠাকুরমা তামাকের কাজে এবং জ্যাঠা-জেঠিমা কৃষি কাজ করার জন্য বের হয়ে যান। পূর্ণিমার জ্যাঠাতো বোন বিথী বাড়ির বাইরে চলে যায়। পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল ১০টার পর পূর্ণিমার শয়নকক্ষে সুজিত প্রবেশ করে ধর্ষণের পর তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে সুজিত পূর্ণিমাকে ওড়না দিয়ে ঘরে বাঁশের তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় পূর্ণিমার বাবা ফটিক চন্দ্র রায় বাদী হয়ে হাজীরহাট থানায় মামলা দায়ের করলে মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক জানান, মৃত্যুর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং সে গর্ভবতী ছিল।
এরপর মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত সিমকার্ডের সিডিআর পর্যালোচনা করে সুজিতের সঙ্গে পূর্ণিমার ফোনে কথোপকথন, ক্ষুদে বার্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে আসে। পুলিশি তৎপরতার কারণে সুজিত আদালতে আত্মসর্ম্পণ করে। আদালতের মাধ্যমে ২ দিনের রিমান্ডে পুলিশের কাছে সুজিত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বর্ণনা করে এবং গত শনিবার ১৬৪ ধরায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহীদুল্লাহ্‌ কাওসার, সহকারী পুলিশ কমিশনার শেখ মো. জিন্নাহ্‌ আল মামুন, হাজীরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status