বিশ্বজমিন
করোনা টিকা বিতরণে সবার সমান সুযোগ রাখার আহ্বান ‘হু’ বিজ্ঞানীর
মানবজমিন ডেস্ক
৯ আগস্ট ২০২০, রবিবার, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসের টিকা বিতরণে একক জাতীয়করণের চেয়ে বহুপক্ষীয় বা বৈশ্বিক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান। বর্তমানে কোভিড-১৯ এর কমপক্ষে ২০০ টিকা নিয়ে কাজ চলছে। তার মধ্যে সারাবিশ্বে ২৭টির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে। অন্যদিকে এই পরীক্ষিত টিকা কার আগে কে পাবে, কোন দেশ আগে পাবে, কোন দেশ পরে পাবে- তা নিয়ে এক রকম লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে। এর ফলে যে দেশ শক্তিধর, অর্থশালী প্রতিযোগিতার দৌড়ে তারা এগিয়ে থাকবে। ফলে দুর্বল বা দরিদ্র দেশগুলো এক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে পারে। এ জন্য সৌম্য স্বামীনাথান ওই রকম মন্তব্য করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।
তিনি বলেছেন, টিকাকে জাতীয়করণ করার ফলে মনে হচ্ছে অনেক দেশ তার নিজের জনগণকে নিয়েই ভাবছে। কিন্তু ‘আমরা যে কথা বলছি, তা হলো এই ভাইরাস সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। যদি বিশেষ একটি গোষ্ঠীর মানুষকে (এই টিকা দিয়ে) সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে বিশ্বকে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া একরকম অসম্ভব হয়ে উঠবে। অসম্ভব হয়ে উঠবে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার। ‘কোভিড-১৯ মহামারি: আমরা কি জানি এবং মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক লরেন্স ডানা পিংকহ্যাম মেমোরিয়াল লেকচার দিচ্ছিলেন সৌম্য স্বামীনাথান। শনিবার তিনি এশিয়ান কলেজ অব জার্নালিজম (এসিজে) বিষয়ক ২০২০-২০২১ শ্রেণির ক্লাসে উদ্বোধনী লেকচার দিচ্ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, এই টিকা নিয়ে একটি জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, বেশির ভাগ রাজনৈতিক নেতা প্রথমেই তার নিজের দেশের লোকজনকে রক্ষা করার কথা ভাববেন। এটা সত্য যে, নিজেদের দেশের মানুষকে রক্ষায় তাদের দায়দায়িত্ব আছে। একই সময়ে শুধু তাদের নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখাই যথেষ্ট হবে না। বিশ্বজুড়ে সব মানুষ যাতে এই টিকার সম সুযোগ পায় এটা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেটা প্রস্তাব করছি তাহলো, ২০২১ সালের শুরুতে যদি আমাদের সামনে সীমিত পরিমাণ টিকার সরবরাহ আসে, মনে করুন কয়েক কোটি ডোজ এলো, তাহলে আমরা তা কিভাবে বিতরণ করবো? কার আগে এটা পাওয়া উচিত হবে? ফ্রন্টলাইনের কর্মীরা, স্বাস্থ্যকর্মীরা, সামাজিক সেবা বিষয়ক কর্মীরা, পুলিশ ও অন্যরা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের আগে তাদেরকে কি অগ্রাধিকার দেয়া উচিত হবে না!
ড. স্বামীনাথান বলেন, এক্ষেত্রে দুটি অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এক হলো, অল্প কিছু দেশ তার পুরো জনগোষ্ঠীকে টিকা প্রয়োগ করবে। দ্বিতীয়ত, অন্যরা টিকার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করবেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমিতদের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগই স্বাস্থ্যকর্মী। সবাই টিকার সুযোগ পাওয়ার আগে তাদেরকে সুরক্ষা দেয়া অন্যায় হবে না। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে একমতে আসা এক চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেছেন, টিকাকে জাতীয়করণ করার ফলে মনে হচ্ছে অনেক দেশ তার নিজের জনগণকে নিয়েই ভাবছে। কিন্তু ‘আমরা যে কথা বলছি, তা হলো এই ভাইরাস সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। যদি বিশেষ একটি গোষ্ঠীর মানুষকে (এই টিকা দিয়ে) সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে বিশ্বকে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া একরকম অসম্ভব হয়ে উঠবে। অসম্ভব হয়ে উঠবে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার। ‘কোভিড-১৯ মহামারি: আমরা কি জানি এবং মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক লরেন্স ডানা পিংকহ্যাম মেমোরিয়াল লেকচার দিচ্ছিলেন সৌম্য স্বামীনাথান। শনিবার তিনি এশিয়ান কলেজ অব জার্নালিজম (এসিজে) বিষয়ক ২০২০-২০২১ শ্রেণির ক্লাসে উদ্বোধনী লেকচার দিচ্ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, এই টিকা নিয়ে একটি জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, বেশির ভাগ রাজনৈতিক নেতা প্রথমেই তার নিজের দেশের লোকজনকে রক্ষা করার কথা ভাববেন। এটা সত্য যে, নিজেদের দেশের মানুষকে রক্ষায় তাদের দায়দায়িত্ব আছে। একই সময়ে শুধু তাদের নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখাই যথেষ্ট হবে না। বিশ্বজুড়ে সব মানুষ যাতে এই টিকার সম সুযোগ পায় এটা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেটা প্রস্তাব করছি তাহলো, ২০২১ সালের শুরুতে যদি আমাদের সামনে সীমিত পরিমাণ টিকার সরবরাহ আসে, মনে করুন কয়েক কোটি ডোজ এলো, তাহলে আমরা তা কিভাবে বিতরণ করবো? কার আগে এটা পাওয়া উচিত হবে? ফ্রন্টলাইনের কর্মীরা, স্বাস্থ্যকর্মীরা, সামাজিক সেবা বিষয়ক কর্মীরা, পুলিশ ও অন্যরা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের আগে তাদেরকে কি অগ্রাধিকার দেয়া উচিত হবে না!
ড. স্বামীনাথান বলেন, এক্ষেত্রে দুটি অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এক হলো, অল্প কিছু দেশ তার পুরো জনগোষ্ঠীকে টিকা প্রয়োগ করবে। দ্বিতীয়ত, অন্যরা টিকার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করবেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমিতদের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগই স্বাস্থ্যকর্মী। সবাই টিকার সুযোগ পাওয়ার আগে তাদেরকে সুরক্ষা দেয়া অন্যায় হবে না। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে একমতে আসা এক চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।