বিশ্বজমিন
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে রাশিয়া, চীন ও ইরান
মানবজমিন ডেস্ক
৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে রাশিয়া, চীন ও ইরান। এমন সতর্কতা দিয়েছেন ন্যাশনাল কাউন্টারইন্টেলিজেন্স এন্ড সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক উইলিয়াম ইভানিনা। শুক্রবার তিনি বলেছেন, এরই মধ্যে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে নেমে পড়েছে রাশিয়া। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন প্রকাশ্য বিবৃতি অস্বাভাবিক। বলা হচ্ছে, ওই তিনটি দেশ অনলাইনে ভুয়া তথ্য ব্যবহার করছে। এ ছাড়া অন্য উপায়ে তারা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। বিশৃংখলা উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মার্কিন ভোটারদের যে আস্থা তাকে খর্ব করে দেখানোর চেষ্টা করছে।
ওদিকে নিউ জার্সিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ৩রা নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তার কথায়, আমরা তাদের সবার দিকে নজর রেখেছি। এ বিষয়ে আমাদেরকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। তিনি আরো বিশ্বাস করেন নির্বাচনে তিনি পরাজিত হোন এমনটা চাইছে রাশিয়া, চীন ও ইরান।
এ ছাড়া এই নির্বাচনে বিদেশি বৈরিতার মুখোমুখি হতে পারে। তারা ভোটিং প্রক্রিয়ায় স্যাবোটাজ করতে পারে। নষ্ট করতে পারে নির্বাচনের ডাটা। এর ফলে নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হতে পারে। তাই উইলিয়াম ইভানিনা বলেন, তবে আমাদের ভোটিং ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা খুব কঠিন হবে। ওদিকে মেইলে ভোটিং ব্যবস্থার অখ-তা নিয়ে বড় ঝুঁকির কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এ ব্যবস্থায় তাদের পক্ষে ব্যালট জালিয়াতি করা খুব সহজ হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে ভোটাররা নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কম যাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে এক্ষেত্রে মেইলে বা ডাকে ভোট দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে। কিন্তু এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন ট্রাম্প। তিনি মনে করেন এ পদ্ধতিতে ভোট হলে তা বড় রকমের ঝুঁকিতে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থা এরই মধ্যে বলেছে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে জিতিয়ে আনতে কাজ করেছে রাশিয়া। তারা নির্বাচনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বিজয়ী হওয়ার সুযোগকে নষ্ট করেছে। এ অভিযোগ রাশিয়া অস্বীকার করেছে। উইলিয়াম ইভানিনা শুক্রবার সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়া এরই মধ্যে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পিছু লেগে পড়েছে। এক বিবৃতিতে জো বাইডেনের প্রচারণা শিবির বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিদেশি শক্তিকে প্রকাশ্যে ও বার বার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাকে সুবিধা দিতে অথবা নির্বাচনে বিপক্ষকে ক্ষতি করতে।
উইলিয়াম ইভানিনা বলেছেন, রাশিয়াপন্থি ইউক্রেনের রাজনীতিক অ্যান্দ্রিই ডারকাচ দুর্নীতি নিয়ে নানা কথা প্রচার করছেন। এমনকি জো বাইডেনের প্রচারণা শিবির ও ডেমোক্রেটদের ফোনকল প্রকাশ্যে ফাঁস করার মধ্য দিয়ে এসব করছেন। ওদিকে ইউক্রেনে ব্যবসায় লিপ্ত থাকা জো বাইডেনের পুত্র হান্টার বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। ইভানিনা বলেন, ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিরা ট্রাম্পে প্রার্থিতাকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করছেন। এ জন্য তারা সামাজিক মাধ্যম এবং রাশিয়ার টেলিভিশন ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, তার এজেন্সির তদন্তে দেখা গেছে, চীন চাইছে ট্রাম্প যেন নতুন মেয়াদে নির্বাচিত না হন। বেইজিং তাকে খুব বেশি অপছন্দ করে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে চীনও।
ওদিকে নিউ জার্সিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ৩রা নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তার কথায়, আমরা তাদের সবার দিকে নজর রেখেছি। এ বিষয়ে আমাদেরকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। তিনি আরো বিশ্বাস করেন নির্বাচনে তিনি পরাজিত হোন এমনটা চাইছে রাশিয়া, চীন ও ইরান।
এ ছাড়া এই নির্বাচনে বিদেশি বৈরিতার মুখোমুখি হতে পারে। তারা ভোটিং প্রক্রিয়ায় স্যাবোটাজ করতে পারে। নষ্ট করতে পারে নির্বাচনের ডাটা। এর ফলে নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হতে পারে। তাই উইলিয়াম ইভানিনা বলেন, তবে আমাদের ভোটিং ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা খুব কঠিন হবে। ওদিকে মেইলে ভোটিং ব্যবস্থার অখ-তা নিয়ে বড় ঝুঁকির কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এ ব্যবস্থায় তাদের পক্ষে ব্যালট জালিয়াতি করা খুব সহজ হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে ভোটাররা নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কম যাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে এক্ষেত্রে মেইলে বা ডাকে ভোট দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে। কিন্তু এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন ট্রাম্প। তিনি মনে করেন এ পদ্ধতিতে ভোট হলে তা বড় রকমের ঝুঁকিতে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থা এরই মধ্যে বলেছে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে জিতিয়ে আনতে কাজ করেছে রাশিয়া। তারা নির্বাচনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বিজয়ী হওয়ার সুযোগকে নষ্ট করেছে। এ অভিযোগ রাশিয়া অস্বীকার করেছে। উইলিয়াম ইভানিনা শুক্রবার সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়া এরই মধ্যে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পিছু লেগে পড়েছে। এক বিবৃতিতে জো বাইডেনের প্রচারণা শিবির বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিদেশি শক্তিকে প্রকাশ্যে ও বার বার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাকে সুবিধা দিতে অথবা নির্বাচনে বিপক্ষকে ক্ষতি করতে।
উইলিয়াম ইভানিনা বলেছেন, রাশিয়াপন্থি ইউক্রেনের রাজনীতিক অ্যান্দ্রিই ডারকাচ দুর্নীতি নিয়ে নানা কথা প্রচার করছেন। এমনকি জো বাইডেনের প্রচারণা শিবির ও ডেমোক্রেটদের ফোনকল প্রকাশ্যে ফাঁস করার মধ্য দিয়ে এসব করছেন। ওদিকে ইউক্রেনে ব্যবসায় লিপ্ত থাকা জো বাইডেনের পুত্র হান্টার বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। ইভানিনা বলেন, ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিরা ট্রাম্পে প্রার্থিতাকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করছেন। এ জন্য তারা সামাজিক মাধ্যম এবং রাশিয়ার টেলিভিশন ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, তার এজেন্সির তদন্তে দেখা গেছে, চীন চাইছে ট্রাম্প যেন নতুন মেয়াদে নির্বাচিত না হন। বেইজিং তাকে খুব বেশি অপছন্দ করে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে চীনও।