দেশ বিদেশ
রাজধানীতে আবাসন ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার
৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আবাসন ব্যবসায়ী আবুল খায়ের (৫১) নামের একজনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি সজীব বিল্ডার্স নামে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। পুলিশ ও পরিবারের ভাষ্য, জমি ও চুক্তিতে ভবন নির্মাণ এবং চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনায় নির্মাণাধীন ভবনের মালিকসহ তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। দুর্বৃত্তদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছেন তারা। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৭টার দিকে ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম ব্লকের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় আশেপাশের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত আঘাতের কারণে মাথা থেকে মগজ বের হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের ধারণা, তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত উদ্ধার করে। যে ভবনে তার লাশ পাওয়া গেছে তিনিসহ মোট ৯ জন ওই ভবনের মালিক। তিনতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভবনের কাজ বন্ধ ছিল। এলাকাটি সব সময় এমনিতেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা বলয় থাকে। আবাসিক এলাকা হওয়ার কারণে আনসার সদস্যরা টহল দিয়ে থাকেন। এমন একটি এলাকায় খুন হওয়ার ঘটনায় আশেপাশের মানুষ সেখানে ভিড় করেন। পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। জানা গেছে, আবুল খায়ের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লকের ২১ নম্বর সড়কের ৬৯২ নম্বর জালাল গার্ডেনের বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। একটি জমি এবং বাড়ি নির্মাণ নিয়ে তার সঙ্গে একটি পক্ষের ঝামেলা চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে তিনি বাসায় না ফেরায় স্ত্রী ও স্বজনেরা বিষয়টি ভাটারা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ রাতের বেলায় বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে পায়নি। তার সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরার এফ ব্লকের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পারিবারিক সূত্র জানায়, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের এক সময় ঠিকাদারিতে যুক্ত ছিলেন। ১০ বছর আগে নিজেই আবাসন ব্যবসা শুরু করেন। কোম্পানির নাম সজীব বিল্ডার্স রাখেন নিজের ছেলের নামে। তার মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা একটি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়ছেন। নিহতের ভাই নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বাবুল কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি ফোন পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন খায়ের। রাতে আর উনি বাসায় ফিরে আসেননি। ফোনটিও বন্ধ ছিল। বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিছুদিন আগে একটি জমি কিনেছিলেন আমার ভাই। ওই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বলে আমাকে জানিয়েছিলেন। হয়তো ওই বিরোধের জেরে তাকে খুন হতে হলো। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত এবং খুনিদের বিচার চাই।
বাড্ডা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি আরো জানান, আর্থিক ও ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা সব বিষয়গুলোকে একসঙ্গে করে তদন্ত করছি। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড্ডা থানার এক এসআই জানান, যে ভবনে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ওই ভবনের ফ্ল্যাটের মালিক খায়ের। ভবন নির্মাণের আগে এলাকার সন্ত্রাসীরা তার কাছে চাঁদা দাবি করেছিল। কিন্তু, তিনি কোনো চাঁদা দেননি। জমি বিরোধের পাশাপাশিও চাঁদাবাজেরা তাকে হত্যা করেছে কি-না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৭টার দিকে ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম ব্লকের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় আশেপাশের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত আঘাতের কারণে মাথা থেকে মগজ বের হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের ধারণা, তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত উদ্ধার করে। যে ভবনে তার লাশ পাওয়া গেছে তিনিসহ মোট ৯ জন ওই ভবনের মালিক। তিনতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভবনের কাজ বন্ধ ছিল। এলাকাটি সব সময় এমনিতেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা বলয় থাকে। আবাসিক এলাকা হওয়ার কারণে আনসার সদস্যরা টহল দিয়ে থাকেন। এমন একটি এলাকায় খুন হওয়ার ঘটনায় আশেপাশের মানুষ সেখানে ভিড় করেন। পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। জানা গেছে, আবুল খায়ের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লকের ২১ নম্বর সড়কের ৬৯২ নম্বর জালাল গার্ডেনের বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। একটি জমি এবং বাড়ি নির্মাণ নিয়ে তার সঙ্গে একটি পক্ষের ঝামেলা চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে তিনি বাসায় না ফেরায় স্ত্রী ও স্বজনেরা বিষয়টি ভাটারা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ রাতের বেলায় বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে পায়নি। তার সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরার এফ ব্লকের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পারিবারিক সূত্র জানায়, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের এক সময় ঠিকাদারিতে যুক্ত ছিলেন। ১০ বছর আগে নিজেই আবাসন ব্যবসা শুরু করেন। কোম্পানির নাম সজীব বিল্ডার্স রাখেন নিজের ছেলের নামে। তার মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা একটি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়ছেন। নিহতের ভাই নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বাবুল কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি ফোন পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন খায়ের। রাতে আর উনি বাসায় ফিরে আসেননি। ফোনটিও বন্ধ ছিল। বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিছুদিন আগে একটি জমি কিনেছিলেন আমার ভাই। ওই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বলে আমাকে জানিয়েছিলেন। হয়তো ওই বিরোধের জেরে তাকে খুন হতে হলো। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত এবং খুনিদের বিচার চাই।
বাড্ডা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি আরো জানান, আর্থিক ও ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা সব বিষয়গুলোকে একসঙ্গে করে তদন্ত করছি। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড্ডা থানার এক এসআই জানান, যে ভবনে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ওই ভবনের ফ্ল্যাটের মালিক খায়ের। ভবন নির্মাণের আগে এলাকার সন্ত্রাসীরা তার কাছে চাঁদা দাবি করেছিল। কিন্তু, তিনি কোনো চাঁদা দেননি। জমি বিরোধের পাশাপাশিও চাঁদাবাজেরা তাকে হত্যা করেছে কি-না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।