বাংলারজমিন

২২৫ টাকার ট্রেনের টিকিট ১৫শ’

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার, ৮:০৬ পূর্বাহ্ন

ট্রেনের টিকিট অনলাইনে ওপেন করার সঙ্গে সঙ্গে নাই। জামালপুরের ইসলামপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে। প্রকাশ্যে আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ২২৫ টাকার একটি টিকিট এখন ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। উপায়ান্তর না দেখে বাধ্য হয়েই যাত্রীদের চড়া দামে এসব টিকিট কিনতে হচ্ছে। জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রেলপথের জন্য দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ইসলামপুর বাজার স্টেশনে আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪৯টি আসনের মধ্যে শোভন চেয়ার ৩০টি প্রতিটি টিকিটের মূল্যে ২২৫ টাকা, এসি চেয়ার ১৫টি প্রতিটি টিকিটের মূল্যে ৪২৬ টাকা এবং ৪টি কেবিন রয়েছে যার প্রতিটির মূল্যে ৫১২ টাকা ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন রয়েছে শোভন ৬০টি প্রতিটির মূল্যে ১৮৫ টাকা ও শোভন চেয়ার রয়েছে ৭টি যার প্রতিটির মূল্যে ২২৫ টাকা।
রেলের টিকিট অনলাইনে ওপেন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে খবর পাচ্ছে কালোবাজারীরা। এতে করে টিকিট কালোবাজারীরা আগে থেকেই প্রতিদিন মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কেটে নিচ্ছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারসাজিতে অতিরিক্ত দামে এসব টিকিট চড়া দামে বিক্রি করছে। প্রভাবশালী হওয়ায় কালোবাজারীদের নাম বলতে সাহস পাচ্ছে না কেউ।
গতকাল দুপুরে ইসলামপুর বাজার রেলওয়ে স্টেশনে সরজমিনে দেখা যায়, গন্তব্যের উদ্দেশে প্লাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন হাজারো যাত্রী। অধিকাংশ যাত্রীর কাছে নেই ট্রেনের টিকিট। যাদের কাছে রয়েছে তারাও কিনেছেন চড়া দামে। ইসলামপুর পৌর শহরের মোশারফগঞ্জ এলাকার রনি মিয়া নামে এক গার্মেন্ট কর্মী বলেন, ‘টিকিট যেন সোনার হরিণ, আমি একটা টিকিট কিনেছি ১২শ’ টাকায়। এই টিকিটের মূল্যে দেয়া আছে ২২৫ টাকা। চাকরি বাঁচানোর তাগিতেই এই টিকিট কিনেছি আমি।
গুঠাইল এলাকার মোন্‌জুর রহমান নামে এক রিকশা চালক বলেন, ‘অনলাইন কি আমি বুঝিনে, এখানে আসার পরে এক টিকিটের দাম কেউ ১২শ’ টাকা চায় আবার কেউ ১৫শ’ টাকা চায়। আমার এত টাকা দিয়ে টিকিট কেনার মতো ক্ষমতা নেই, তাই বাড়িতে ফিরে গেলাম।’
পচাবাহলা এলাকার খোরশেদ আলম ও জলভাসা নামে দুই গার্মেন্ট কর্মী বলেন, ‘সব টিকিট কালোবাজারীরা অনলাইনে কিনে রাখে। আমরা কিনার সুযোগই পাই না। শুক্রবারই আমাদের ঈদের ছুটি শেষ তাই ঢাকাতে যেতেই হবে। বাধ্য হয়ে আমরা ২২৫ টাকার টিকিট ১২শ’ টাকায় কিনলাম।’
‘ট্রেনের টিকিট তো অনলাইনে বিক্রি হয়। তাই আমাদের তো এখন আর কিছু করার নেই। যদি কেউ প্লাটফর্মে এসে টিকিট বিক্রি করে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবো।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ‘টিকিট এখন অনলাইনে বিক্রি করা হয় আমাদের কিছু করার নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কালোবাজারী ট্রেনের টিকিট বিক্রি করলে আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status