কলকাতা কথকতা

কলকাতা কথকতা

বীরভূমের সেই সাংবাদিকের পাশে রাজ্যের বিরোধীরা, অনুসন্ধান শুরু পুলিশের

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা

৫ আগস্ট ২০২০, বুধবার, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিকের মৌলিক অধিকার রক্ষায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরই সাংবাদিক অভিষেক দত্তরায়ের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা। কংগেস এর আব্দুল মান্নান, সিপিএম এর তন্ময় ভট্টাচাৰ্য এবং বিজেপির শমীক ভট্টাচাৰ্য বিষয়টিকে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বীরভূমের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেছেন, দীর্ঘদিন বালি মাফিয়াদের এই দুর্নীতি চলছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঝোলার মধ্যে থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বীরভূম পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিষেক এর কোন তিনটি রিপোর্ট নিয়ে পুলিশ ও শাসক দলের মাথাব্যথা? প্রথম রিপোর্টটি দুহাজার উনিশ সালের উনিশ মে এর। রিপোর্টে অভিষেক দেখান সোনাঝুরি রিসোর্ট এ নগ্ন ফটোশুট হচ্ছে পুলিশের নাকের ডগায়। অভিষেকের এই রিপোর্টে নগ্ন শুটিং বন্ধ হয় কিন্তু অভিষেকের বিরুদ্ধে এফ আই আর হয় শান্তিনিকেতন থানায়। দুহাজার কুড়ি সালের তিরিশ মে অভিষেকের রিপোর্টে প্রকাশ পায় কীভাবে অজয় নদের মাঝখান থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলা হচ্ছে জে সি পি মেশিন দিয়ে। এই রিপোর্টের জন্যে অভিষেকের বিরুদ্ধে এফ আই আর হয় ইলামবাজার থানায়। দুহাজার কুড়ির দোসরা জুন বেআইনি বালি ভর্তি ট্রাকের চাকার তলায় পড়ে মৃত্যু হয় শরিফুল হাসান নামে এক যুবকের। পুলিশ বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও অভিষেক তা ফাঁস করে দেন। এর জন্যে তাঁর বিরুদ্ধে এফ আই আর হয় বোলপুর থানায়। তিনটি অভিযোগের জন্যেই আগাম জামিন নিতে হয় অভিষেককে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় অভিষেক এবং কলকাতা হাইকোর্টের সেই যুগান্তকারী রায়। সাংবাদিকের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অভিষেক দত্তরায়ের পাশে এখন সারা বাংলা, গোটা দেশ কিংবা বিদেশও সাংবাদিকতার অধিকার সম্পর্কে সচেতন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status