খেলা

পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘শুরু’র দুশ্চিন্তায় ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক

৫ আগস্ট ২০২০, বুধবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে ফের সরগরম হচ্ছে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে ভেন্যুটি। এবার স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। গত দুই সপ্তাহে এ মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানা দুই ম্যাচে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। এরপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরুটা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাগতিকরা। কারণ শেষ ১০ সিরিজের ৮টিতেই প্রথম ম্যাচে হার দেখেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস এ নিয়ে বলেন, ‘কাকতালীয়ভাবে প্রায় প্রতিটি সিরিজে ব্যাপারটা ঘটছে। আমরা এটা ঠিক করতে চাই।’
উইন্ডিজের বিপক্ষে সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরে যায় ইংল্যান্ড। এরপর ম্যানচেস্টারে যথাক্রমে ১১৩ ও ২৬৯ রানের জয় কুড়ায় ইংলিশরা। অপরিবর্তিত দল নিয়েই আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। আর পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ উল হক বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর খেলতে নেমে উইন্ডিজের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। এরপর তারা ধারাবাহিকভাবে খেলছে। আমাদের এমন একটি ইংল্যান্ড দলের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যারা টানা তিনটি টেস্ট খেলেছে এবং শেষ দুটিতে জিতেছে। আমরা যদি ইংল্যান্ডে ম্যাচ ও সিরিজ জিততে চাই তবে নিজেদের ১০০ ভাগ দিতে হবে।’
পাকিস্তান সবশেষ টেস্ট খেলেছে ৬ মাস আগে, রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে ইংল্যান্ডে ২০১৬ ও ২০১৮তে শেষ দুটি সফরে জয় দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিল তারা।
সিরিজ দুটিতে যথাক্রমে ২-২ ও ১-১ সমতায় শেষ করে পাকিস্তান। ১৯৯৬’র পর ইংল্যান্ডে সিরিজ জিততে না পারলেও, গত ৩৩ বছরে তাদের মাটিতে উপমহাদেশের দলগুলোর মধ্যে পাকিস্তানই সবচেয়ে সফল। এই সময়ে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ সম্মিলিভাবে ইংল্যান্ডে যতগুলো টেস্ট জিতেছে পাকিস্তানের জয় তার চেয়েও বেশি। তাদের এই সাফল্যে মূল অবদান পেসারদের। কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা ভালোই কাজে লাগান পাকিস্তানি সিমাররা। তবে স্পিনাররাও যে অবদান রাখেন না, তা নয়। ১৯৯৬-এ মুশতাক আহমেদ, ২০০১-এ সাকলাইন মুশতাক এবং ২০১৬তে চমক দেখিয়েছিলেন ইয়াসির শাহ। ম্যানচেস্টারের শুষ্ক কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ডকে হারানোর পরিকল্পনা মিসবাহর। তিনি বলেন, ‘আমাদের ফেভারিট মাঠ যদিও লর্ডস আর ওভাল। কিন্তু সম্প্রতি ম্যানচেস্টারের উইকেটও স্পিনারদের সাহায্য করছে।’
২০১৬তে ম্যানচেস্টারে খেলা সবশেষ ম্যাচে ৩৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল পাকিস্তান। লর্ডসে আগের ম্যাচেই ১০ উইকেট নেয়া ইয়াসির শাহ সে ম্যাচে ৬৩ ওভার বোলিং করে ২৬৬ রানে নিয়েছিলেন মাত্র ১ উইকেট। ইয়াসির শাহ পাকিস্তানের বর্তমান দলেও আছেন। তারা জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে ম্যানচেস্টারের উইকেট? মিসবাহ বলেন, ‘২০১৬তে এখানে স্পিনারদের জন্য কিছুই ছিল না। কিন্তু এখন দৃশ্যপট বদলেছে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে যা দেখেছি, তাতে কন্ডিশনে আমাদের অনুকূলে এবং আমরা সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই।’ মিসবাহ ভুল বলেননি। কিছুদিন আগেই ম্যানচেস্টারে ৫ উইকেট নেন রস্টন চেজ। ইংল্যান্ডের ডম বেসও সফল ছিলেন। তাদের তুলনায় পাকিস্তানের রিস্ট স্পিনাররা বেশি টার্ন পাবেন। দেখা যাক, ইয়াসির-শাদাবরা কতটা অবদান রাখতে পারেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status