শেষের পাতা
সদরঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ...
নূরে আলম জিকু
৩১ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় সদরঘাটে। টার্মিনালে নেই তিল পরিমাণ খালি জায়গা। ঘাটে ভিড়ানো লঞ্চগুলো লোকে লোকারণ্য। একজন অন্যজনের গায়ে লেগে আছে। লঞ্চের ডেকে (পাতাটন) বসার স্থানও নেই। প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে প্রতিটি লঞ্চের ছাদ মানুষে ভর্তি। অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর পরও লঞ্চ না ছাড়ায় চিৎকার করছেন যাত্রীরা। কে শুনে কার কথা। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। প্রশাসনের নাকের ডগায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরঘাট ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। জানা যায়, লঞ্চ টার্মিনালের বাইরে প্রশাসনের কড়া নির্দেশনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও ভেতরে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। ঈদে বিগত বছরগুলোর ন্যায়, এবারো যাত্রী পরিবহন করছে লঞ্চগুলো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই অতিরিক্ত যাত্রী তুলছে লঞ্চগুলো। নেই শারীরিক দূরত্বের বালাই। লঞ্চ স্টাফ ও যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক। এমভি ফারহান-৩ লঞ্চের স্টাফ জাকির হোসেন মানবজমিনকে জানান, সরকারের আইন আছে কাগজে-কলমে। বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই চলছে সবগুলো লঞ্চ। যাত্রী উঠলে আমাদের কিছু করার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো কিছু বলছে না। তারা কি দেখে না? ঈদের সময় করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব নয়। ঈদ উপলক্ষে ভোলা যাচ্ছেন আমান উল্লাহ। তিনি জানান, সদরঘাট ও লঞ্চে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অনেক যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। এ ছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। যাত্রীরা একজন আরেক জনের গা ঘেঁষে বসে আছেন। করোনা প্রতিরোধে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। এমন করে যাত্রী পরিবহন করায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া গ্রামের বাড়িতে থাকা মানুষদের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
হাতিয়াগামী আরেক যাত্রী ওহিদুর রহমান জানান, ভোর রাতে লঞ্চে উঠেছি। দুপুর ৩টা বাজে, এখনো ঘাটে লঞ্চে যাত্রী তুলছে। লঞ্চে বিন্দু পরিমাণ খালি জায়গা নেই। যাত্রীদের হাঁটা-চলার পথও নেই। এতে আমি ও আমার পরিবার করোনার হুমকির মুখে আছি। হাত মুখ দোয়ার মতো পরিবেশ নেই। নেই হ্যান্ড স্যানিটেশন ব্যবস্থা। করোনার এই দুঃসময়ে ও মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন অতি লোভী লঞ্চ মালিকরা। নৌ-পুলিশের এক দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেশি। স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানছেন না। আমরা চেষ্টা করছি, মাইকিং করছি। তারপরও যাত্রী এবং লঞ্চের লোকজন আইন মানতে চায় না। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার কথা থাকলেও তা মানছেন না। লঞ্চের প্রবেশমুখে রাখা হয়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটতে পারে।
হাতিয়াগামী আরেক যাত্রী ওহিদুর রহমান জানান, ভোর রাতে লঞ্চে উঠেছি। দুপুর ৩টা বাজে, এখনো ঘাটে লঞ্চে যাত্রী তুলছে। লঞ্চে বিন্দু পরিমাণ খালি জায়গা নেই। যাত্রীদের হাঁটা-চলার পথও নেই। এতে আমি ও আমার পরিবার করোনার হুমকির মুখে আছি। হাত মুখ দোয়ার মতো পরিবেশ নেই। নেই হ্যান্ড স্যানিটেশন ব্যবস্থা। করোনার এই দুঃসময়ে ও মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন অতি লোভী লঞ্চ মালিকরা। নৌ-পুলিশের এক দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেশি। স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানছেন না। আমরা চেষ্টা করছি, মাইকিং করছি। তারপরও যাত্রী এবং লঞ্চের লোকজন আইন মানতে চায় না। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার কথা থাকলেও তা মানছেন না। লঞ্চের প্রবেশমুখে রাখা হয়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটতে পারে।