বাংলারজমিন
বানভাসিদের ঈদের আনন্দ নেই
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
৩১ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে গাইবান্ধার বন্যাদুর্গতদের ঈদের আনন্দ। বন্যার দুর্যোগ মোকাবিলা করাই এখন তাদের পক্ষে অসমভব। হাতে কাজ নেই, নেই টাকা। বন্যা থামিয়ে দিয়েছে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন। এমন বাস্তবতায় ঈদে নতুন জামাকাপড় সেমাই মাংস জোটানো তো দূরের কথা পেট পুরে একবেলার ভাত জোটানো তাদের কাছে এখন স্বপ্নের মতো। বন্যায় সব হারানো এই মানুষগুলোর দুর্দশার তথ্য ও ছবি নিয়ে একটি প্রতিবেদন।
গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদ। মাসব্যাপী দ্বিতীয় দফা বন্যায় গাইবান্ধা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে। মানুষ যে-যেভাবে পেরেছে সেভাই নিজের সম্বল ও নিজের জানমাল রক্ষা করেছে। কেউ পানিবন্দি আর কেউ নদী পার হয়ে বাঁধ বা উঁচুস্থানে গবাদিপশু নিয়ে গাদাগাদি করে আশ্রয় নিয়েছে। এমন অবস্থায় নানা সংকট ও সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন তারা। রয়েছে খাবার, জ্বালানি, গো-খাদ্য, খাবার পানির সংকট। হারিয়েছে ঘরবাড়ি, ফসল ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে অনেক এলাকা। পানিবন্দি অন্তত দেড় লক্ষাধিক পরিবার। চরাঞ্চল, কঞ্চিপাড়া, কামারজানি, মোল্লারচর, কাপাসিয়া, হরিপুর, বেলকাসহ ১৫৬টি চরের পানিবন্দি মানুষের এবারের ঈদ তো দূরের কথা ভাত-পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ঈদের দিন উপলক্ষে সেমাই বা মাংস কেনার মতো ক্ষমতা নেই অধিকাংশ পরিবারের।
বানভাসি রোকেয়া বেগম ও আয়তন নেছা আক্ষেপ করে বলেন, কোরবানি দেয়ার মতো সামর্থ্যবান মানুষ নেই।
ফুলছড়ি উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ জানান, আমরা হয়তো সামান্ন চাল দেই বানভাসিদের মধ্যে কিন্তু তাদের চাহিদা মেটাতে পারি না। কারণ তারা নদীভাঙা ও দীর্ঘ মাসখানেক থেকে পানিবন্দি। তাদের দুর্দশা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। বানভাসি এলাকার শিশুদের জন্য নতুন কাপড়ের কথা ভাবলেও বড়দের মধ্যে ঈদের কোনো আমেজ নেই। বন্যা সামলাতেই তারা ব্যস্ত। এবার হয়তো কারো ভাগ্যে জুটবে না নতুন কাপড় ও একবেলা ভালো খাবার।
গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদ। মাসব্যাপী দ্বিতীয় দফা বন্যায় গাইবান্ধা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে। মানুষ যে-যেভাবে পেরেছে সেভাই নিজের সম্বল ও নিজের জানমাল রক্ষা করেছে। কেউ পানিবন্দি আর কেউ নদী পার হয়ে বাঁধ বা উঁচুস্থানে গবাদিপশু নিয়ে গাদাগাদি করে আশ্রয় নিয়েছে। এমন অবস্থায় নানা সংকট ও সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন তারা। রয়েছে খাবার, জ্বালানি, গো-খাদ্য, খাবার পানির সংকট। হারিয়েছে ঘরবাড়ি, ফসল ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে অনেক এলাকা। পানিবন্দি অন্তত দেড় লক্ষাধিক পরিবার। চরাঞ্চল, কঞ্চিপাড়া, কামারজানি, মোল্লারচর, কাপাসিয়া, হরিপুর, বেলকাসহ ১৫৬টি চরের পানিবন্দি মানুষের এবারের ঈদ তো দূরের কথা ভাত-পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ঈদের দিন উপলক্ষে সেমাই বা মাংস কেনার মতো ক্ষমতা নেই অধিকাংশ পরিবারের।
বানভাসি রোকেয়া বেগম ও আয়তন নেছা আক্ষেপ করে বলেন, কোরবানি দেয়ার মতো সামর্থ্যবান মানুষ নেই।
ফুলছড়ি উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ জানান, আমরা হয়তো সামান্ন চাল দেই বানভাসিদের মধ্যে কিন্তু তাদের চাহিদা মেটাতে পারি না। কারণ তারা নদীভাঙা ও দীর্ঘ মাসখানেক থেকে পানিবন্দি। তাদের দুর্দশা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। বানভাসি এলাকার শিশুদের জন্য নতুন কাপড়ের কথা ভাবলেও বড়দের মধ্যে ঈদের কোনো আমেজ নেই। বন্যা সামলাতেই তারা ব্যস্ত। এবার হয়তো কারো ভাগ্যে জুটবে না নতুন কাপড় ও একবেলা ভালো খাবার।