বাংলারজমিন

চিলমারীতে ঘরছাড়া হাজারও পরিবার

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে

১৬ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

একসপ্তাহের ব্যবধানে দু’দফায় বন্যায় চরম সংকট ও দুর্ভোগে পড়েছে চিলমারীর মানুষ। দিন যাচ্ছে পাল্লা দিয়ে দুর্ভোগ বাড়ছে। এদিকে করোনার থাবার ভয় অন্য দিয়ে বন্যা। করোনার ভয়ে গৃহবন্দি থাকার কথা থাকলেও বন্যার ভয়ে ছাড়তে হচ্ছে বাড়িঘর। ছুটতে হচ্ছে আশ্রয়ের সন্ধানে। বাঁধসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় মিললেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা তো দুরের কথা ঠাঁই পাওয়াটাই বড় কষ্টের হয়ে পড়েছে বানভাসীদের। নেই টিউবওয়েল ও টয়লেটের ব্যবস্থা। ঘরছাড়া অসহায় মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে। চোখে জল মনে কষ্ট আর দুর্ভোগ এখন তাদের যেন নিত্য দিনের সঙ্গি।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্লাবিত হয়ে পড়ে একের পর এক গ্রাম। কমতে শুরু করে পানি ঘরছাড়া মানুষজন ফিরতে না ফিরতে আবারো উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ব্রহ্মপুত্রের পানি আবারো তলিয়ে যায় চিলমারী। সদ্য ঘরে ফেরা মানুষজন পড়ে বিপাকে ঘরে ফিরতে না ফিরতে ঘর ছাড়াতে হয় তারা আবারো ছুটে চলে আশ্রয়ের সন্ধানে। করোনার ভয় উপেক্ষা করে বাঁধসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে অস্থায়ী ভাবে তৈরি করে মাথা গোজার ঠাঁই। ঠাঁই মিললেও নেই টয়লেট ও টিউবওয়েল এর ব্যবস্থা। বিশুদ্ধ পানি আর খাবার সংকটে তারা করছেন মানবেতর জীবন যাপন। রমনা গুড়েতি পাড়া (উত্তর রমনা) এলাকার বাঁধে আশ্রয় নেয়া ফাতেমা, নুর মোহাম্মদ, ওহিলা জানালেন তাদের কষ্টের কথা। তারা বলেন, দু’দুবার বন্যায় তারা হয়েছে ঘর ছাড়া নেই থাকার ব্যবস্থা। চারদিকে বন্যার পানি হাতে নেই কাজ ঘরেও নেই খাবার কষ্টে থাকলেও খোঁজ নেননি কেউ তাদের। এমনকি করোনার ভয়ে দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থাকলেও মিলেনি কোন সাহায্য। শুধু ফাতেমা, নুর মোহাম্মদ নয় তাদের মতো হাজার হাজার পরিবারের বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। একই এলাকার হেলেনা জানায় তার বাড়িতেও বুক পানি ঘরের জিনিস পত্র নষ্ট হয়ে গেছে পরিবার নিয়ে কষ্ট করে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার পানি উন্নতি না হওয়ায় চিলমারীতে ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হলেও ঘরবাড়ি ছাড়া মানুষজনের ভাগ্যে তা জুটছে না বলেও অভিযোগ বাঁধে আশ্রয় নেয়া বানভাসীদের। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, আমরা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। তালিকা করে তাদের ত্রাণ দেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status