বাংলারজমিন
সরকারি বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
১৫ জুলাই ২০২০, বুধবার, ৪:২৯ পূর্বাহ্ন
ঐতিহ্যবাহী সরকারী বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নগরী। নাম পরিবর্তনের পক্ষে বিপক্ষে উভয় গ্রুপ আজ মুখোমুখি কর্মসূচী দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সতর্ক থাকায় অপ্রিতিকর কোন পরিস্থিতি ঘটেনি।
জানা গেছে, আকস্মিক ভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে কয়েকজন একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন। সেখানে ঐতিহ্যবাহী সরকারী বরিশাল কলেজের নাম মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামকরণের প্রস্তাব করা হয়। জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান সেটি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। মন্ত্রণালয় থেকে মতামত চাওয়া হয় শিক্ষা বোর্ডের। শিক্ষা বোর্ডও তাদের মতামত প্রেরণ করেন। এরই মধ্যে বিষয়টি চাউর হলে কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। রাস্তায় নামেন তারা। এদের সমর্থন দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নাটকীয়ভাবে বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মীও এদের সাথে যোগ দেন।
বুধবার নামকরণের সমর্থনে একটি সমাবেশ আহবান করা হয়। সে সমাবেশ চলাকালীন অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিশাল মিছিল নিয়ে হাজির হন কলেজের নামকরণর বিরোধিতা কারীরা। মুহুর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ সতর্কাবস্থায় থাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি ।
আজ কলেজের নামকরণের বিপক্ষে মুখোমুখি বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে সরকারী বরিশাল কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ সহ যুবলীগ। অপরদিকে নাম পাল্টানোর সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা আহবায়ক কমিটি ও অঙ্গ সংগঠন।
উভয় গ্রুপই এখন রাজনীতিকরণ হয়ে পড়ায় বিভ্রান্তির সৃস্টি হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের প্রাণকেন্দ্র সদররোডে সরকারী বরিশাল কলেজের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবীতে সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীরা এক গণ স্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে।
এর কিছুক্ষণ পর পরপরই নগরের ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা আহবায়ক কমিটি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বরিশালের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে অবিলম্বে সরকারী বরিশাল কলেজকে ‘মহাত্মা অশ্বিনী কুমার সরকারী কলেজ নামে সুপারিশ বাস্তবায়ন করার দাবীতে রিক্সা শ্রমিক, বাস্তহারা ও একদল শিশুদের নিয়ে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিলটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সদররোড ফিরে এসে গণ স্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করা অনুষ্ঠানের রাস্তার অপরপ্রান্তে সমাবেশ শুরু করে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দিতে থাকেন উভয় দলের নেতৃবৃন্দ।
সরকারী বরিশাল কলেজের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবী ও গণ স্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সাবেক ভিপি একেএম জাহাঙ্গির হোসেন। বক্তব্য রাখেন সাবেক বরিশাল কলেজের ছাত্রলীগ সংগঠনের ভিপি ও বর্তমান বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড, একে এম জাহাঙ্গির হোসেন, সাবেক শিক্ষার্থী ও বরিশাল ল কলেজের সাবেক ভিপি এ্যাড, বিসিসি প্যানেল মেয়র এ্যাড, রফিকুল ইসলাম খোকন,এ্যাড, গোলাম সরোয়ার রাজিব, সাবেক শিক্ষার্থী বিসিসি কাউন্সিলর গায়েত্রী সরকার পাখি,হাসান মাহমুদ বাবু, ইমরুল আহমেদ উজ্জল, জিয়াউর রহমান জিয়া, রাজিব খান,মোস্তাফিজুর রহমান অনিক সহ বিভিন্ন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষাথীরা।
এসময় সাবেক ভিপি এ্যাড, একেএম জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, সরকারী বরিশাল কলেজের নিবার্চিত ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলাম তখনতো নাম পরিবর্তনের বিষয়ে নিয়ে আজকের সুশিল সমাজের ব্যক্তিরা কোন কথা বলেন নাই।
তবে আজ কেন নাম পরিবর্তনের জন্য তাদের এত মাথা ব্যাথা এর রহস্য কি বরিশালবাসীর মাঝে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক দর (বাসদের) ব্যানারে আয়োজন করা বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা আহবায়ক ইমরান হাবীব রুমনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা আহবায়ক ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী, মাক্সবাদী নেতা সাইদুর রহমান, জেলা কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সম্পাদক দুলাল মজুমদার ছাত্র ইউনিয়ন বরিশাল জেলা সভাপতি সম্পা দাশ, ছাত্রফ্রন্ট সভাপতি সাগরে দাশ, সহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
মনীষা চক্রবর্তী বলেন, আজকে যেখানে সরকারী বরিশাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ জমি মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের পৈত্বিক সম্পত্তি। তাই তার নামেই কলেজের নাম করণ করার জন্যই বিভিন্ন মহল থেকে প্রস্তবনার কারনে শিক্ষা মন্ত্রলয়ে জেলা প্রশাসক প্রস্তাব প্রেরণ করেছে।
আজকে বর্তমান সরকার অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে কলেজের নাম করণ করতে চাইছে সেখানে সরকারী দলের সদস্যরা এর বিরোধীতা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংশ করছে।
তাই বরিশাল থেকে শিক্ষা মন্ত্রালয়ে যে প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে তা কার্যকর দাবী জানান।
জানা গেছে, আকস্মিক ভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে কয়েকজন একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন। সেখানে ঐতিহ্যবাহী সরকারী বরিশাল কলেজের নাম মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামকরণের প্রস্তাব করা হয়। জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান সেটি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। মন্ত্রণালয় থেকে মতামত চাওয়া হয় শিক্ষা বোর্ডের। শিক্ষা বোর্ডও তাদের মতামত প্রেরণ করেন। এরই মধ্যে বিষয়টি চাউর হলে কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। রাস্তায় নামেন তারা। এদের সমর্থন দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নাটকীয়ভাবে বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মীও এদের সাথে যোগ দেন।
বুধবার নামকরণের সমর্থনে একটি সমাবেশ আহবান করা হয়। সে সমাবেশ চলাকালীন অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিশাল মিছিল নিয়ে হাজির হন কলেজের নামকরণর বিরোধিতা কারীরা। মুহুর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ সতর্কাবস্থায় থাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি ।
আজ কলেজের নামকরণের বিপক্ষে মুখোমুখি বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে সরকারী বরিশাল কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ সহ যুবলীগ। অপরদিকে নাম পাল্টানোর সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা আহবায়ক কমিটি ও অঙ্গ সংগঠন।
উভয় গ্রুপই এখন রাজনীতিকরণ হয়ে পড়ায় বিভ্রান্তির সৃস্টি হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের প্রাণকেন্দ্র সদররোডে সরকারী বরিশাল কলেজের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবীতে সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীরা এক গণ স্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে।
এর কিছুক্ষণ পর পরপরই নগরের ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা আহবায়ক কমিটি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বরিশালের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে অবিলম্বে সরকারী বরিশাল কলেজকে ‘মহাত্মা অশ্বিনী কুমার সরকারী কলেজ নামে সুপারিশ বাস্তবায়ন করার দাবীতে রিক্সা শ্রমিক, বাস্তহারা ও একদল শিশুদের নিয়ে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিলটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সদররোড ফিরে এসে গণ স্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করা অনুষ্ঠানের রাস্তার অপরপ্রান্তে সমাবেশ শুরু করে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দিতে থাকেন উভয় দলের নেতৃবৃন্দ।
সরকারী বরিশাল কলেজের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবী ও গণ স্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সাবেক ভিপি একেএম জাহাঙ্গির হোসেন। বক্তব্য রাখেন সাবেক বরিশাল কলেজের ছাত্রলীগ সংগঠনের ভিপি ও বর্তমান বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড, একে এম জাহাঙ্গির হোসেন, সাবেক শিক্ষার্থী ও বরিশাল ল কলেজের সাবেক ভিপি এ্যাড, বিসিসি প্যানেল মেয়র এ্যাড, রফিকুল ইসলাম খোকন,এ্যাড, গোলাম সরোয়ার রাজিব, সাবেক শিক্ষার্থী বিসিসি কাউন্সিলর গায়েত্রী সরকার পাখি,হাসান মাহমুদ বাবু, ইমরুল আহমেদ উজ্জল, জিয়াউর রহমান জিয়া, রাজিব খান,মোস্তাফিজুর রহমান অনিক সহ বিভিন্ন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষাথীরা।
এসময় সাবেক ভিপি এ্যাড, একেএম জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, সরকারী বরিশাল কলেজের নিবার্চিত ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলাম তখনতো নাম পরিবর্তনের বিষয়ে নিয়ে আজকের সুশিল সমাজের ব্যক্তিরা কোন কথা বলেন নাই।
তবে আজ কেন নাম পরিবর্তনের জন্য তাদের এত মাথা ব্যাথা এর রহস্য কি বরিশালবাসীর মাঝে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক দর (বাসদের) ব্যানারে আয়োজন করা বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা আহবায়ক ইমরান হাবীব রুমনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা আহবায়ক ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী, মাক্সবাদী নেতা সাইদুর রহমান, জেলা কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সম্পাদক দুলাল মজুমদার ছাত্র ইউনিয়ন বরিশাল জেলা সভাপতি সম্পা দাশ, ছাত্রফ্রন্ট সভাপতি সাগরে দাশ, সহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
মনীষা চক্রবর্তী বলেন, আজকে যেখানে সরকারী বরিশাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ জমি মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের পৈত্বিক সম্পত্তি। তাই তার নামেই কলেজের নাম করণ করার জন্যই বিভিন্ন মহল থেকে প্রস্তবনার কারনে শিক্ষা মন্ত্রলয়ে জেলা প্রশাসক প্রস্তাব প্রেরণ করেছে।
আজকে বর্তমান সরকার অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে কলেজের নাম করণ করতে চাইছে সেখানে সরকারী দলের সদস্যরা এর বিরোধীতা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংশ করছে।
তাই বরিশাল থেকে শিক্ষা মন্ত্রালয়ে যে প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে তা কার্যকর দাবী জানান।