খেলা
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উশু জাজ আনোয়ার
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ জুলাই ২০২০, বুধবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
চলমান জাতীয় উশু জাজেস কোর্সের একজন বিচারক ছিলেন আনোয়ার হোসেন মৃধা । তিনি নতুন জুরাইন কেএম মাইন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও। কিন্তু এখন বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। তার পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণ আর নির্যাতনের শিকার হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। জুরাইনস্থ নিজের বাড়ি ছেড়ে আনোয়ার আশ্রয় নিয়েছেন বন্ধুর বাড়িতে। এ বিষয়ে কদমতলী থানায় মামলাও (নং-২৮, তাং-১২/০৭/২০ ইং, ধারা-১৪৩/৩৪২/৩২৩/৩২৫/৩৪) করেছেন তিনি। মামলার এজাহারে জানা যায়, ৯ জুলাই রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে জুরাইন আলমবাগ পাকা মসজিদ রোড থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসী মো. সজল, সাহাদাত, ল্যাংরা বাবুসহ কয়েকজন মিলে জোর করে আনোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে গাড়ীতে তুলে আরসিন গেট মোতালেব শাহ মাজার এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে চোখ ও হাত পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে এসএস পাইপ দিয়ে সারারাত নির্যাতন করে তার ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন ধরনের শিকারোক্তি মূলক কথা বলানো হয়। এ সময় সন্ত্রাসী সজল পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে নইলে বাদীর দোকান লিখে দিতে বলে। আরেক অপহরণকারী শাহাদাত সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নইলে মসজিদ রোডের মদিনা টাওয়ারের ফ্ল্যাট লিখে দিতে বলে। নির্যাতন শেষে তাকে রুমের ভেতরে তালাবন্ধ করে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরদিন ভোর ৬টায় সুযোগ বুঝে জানালা ভেঙে লাফ দিয়ে নিচে নেমে আসেন আনোয়ার এবং এক রিকশাওয়ালার কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে উশু ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক দুলাল হোসেনকে ফোন করেন। পরে দুলাল হোসেন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমি নিরাপত্তার জন্য বন্ধুর বাসায় আত্মগোপন করি। আমার পায়ের অবস্থা খুব খারাপ। হাটতে পারছি না। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’ উশুর সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক এবং সাউথ এশিয়ান উশু বিচারক। এছাড়া তিনি নতুন জুরাইন কেএম মাইন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বর্তমানে তিনি অনলাইনে জাতীয় উশু জাজেস প্রশিক্ষণ কোর্সের একজন বিচারক। এমন একজন ব্যক্তিকে অপহরণ করে নির্যাতন করার ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জার।