বাংলারজমিন
সরাইল-অরুয়াইল সড়ক রক্ষায় মাঠে ইউএনও
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
সরাইল-অরুয়াইল সড়ক হাওরে বিলীন হতে চলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি নিয়ে টেনশনে আছেন স্থানীয় লোকজন। গত ১১ জুলাই শনিবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ‘কাজে আসেনি ১১ কোটি টাকার সংস্কার, বিচ্ছিন্নের পথে সরাইল-অরূয়াইল সড়ক যোগাযোগ’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ও প্রকাশিত হয়েছিল। সর্বশেষ গত সোমবার ভূঁইশ্বর এলাকায় সড়কটির ৪ ভাগের ৩ ভাগ ভেঙ্গে হাওরে চলে গেছে। বাকি এক ভাগ যায় যায়। ভাঙ্গনের ছবি ও ভিডিওতে ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। স্থানীয় একাধিক বাসিন্ধা ফেসবুকে বর্তমান সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি রক্ষার জন্য বারবার অনুরোধ করেছেন। এত কিছুর পরও স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ঘুমিয়েই আছেন। সড়কটি রক্ষার জন্য এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। এক পর্যায়ে সড়কটি রক্ষার জন্য গত সোমবার রাত থেকেই মাঠে নেমে পড়েন নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা। স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের সহায়তায় ইউএনও সড়ক রক্ষায় বালির বস্তা সহ অন্যান্য সামগ্রি ফেলে প্রাথমিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। এখন হাওরে বিলীন হওয়া থেকে অন্তত রক্ষা পেয়েছে সড়কটি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ভাটি এলাকার লক্ষাধিক লোক। সেই সাথে যানবাহন চালকদের টেনশনও কমেছে। চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ৪-৫ দিন আগেই ফোন করে এলজিইডিকে সড়কের বিষয়টি জানিয়েছিলাম। বলেছিলেন আসবেন। এখনো আসছেনই। ইউএনও স্যার সোমবার রাতে আমাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমি স্যারের সহায়তায় ৭০ বস্তা মাটি ফেলে প্রাথমিক ভাবে রক্ষা করেছি। সরাইল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, আমি সোমবারে গিয়েছিলাম। নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারকে বলেছি। আর আগামীকাল (আজ বুধবার) সেখানে কাজ করতে লোক পাঠাব। নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জেনে সরজমিনে যায়। দেখে মনে হচ্ছিল এই বুঝি হাওরে চলে যাচ্ছে সড়কটি। তড়িৎ স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে রক্ষার ব্যবস্থা করেছি। সগকটি ঘুরে দেখেছি। আরো কয়েকটি জায়গায় ভাঙ্গনের ভাব ধরেছে। সেই স্থান গুলোতেও ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুবা ভাঙ্গন আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে। আর এলজিইডি প্রকৌশলীকে ফোন করেছিলাম। তিনি বলেছেন আগামীকাল (বুধবার) এসে দেখবেন। সোমবার রাতে ব্যবস্থা না নিতে পারলে সড়কটি রাতেই নদীতে বিলীন হয়ে যেত।