বাংলারজমিন
নিখোঁজ অটোচালকের লাশ মিললো সেপটিক ট্যাংকিতে
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১৫ জুলাই ২০২০, বুধবার, ৮:০১ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পর কিশোর চালক মো. রাব্বী (১৮) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের হাফানিয়া গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রাব্বী একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী রস্তমপুর গ্রামের নিলু মিয়ার ছেলে। পরিবার জানায়, গত ৭ই জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় রাব্বী। পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে পরদিন ৮ই জুলাই বাজিতপুর থানায় জিডি দায়ের করেন। এ ব্যাপারে গত ১০ই জুলাই দৈনিক মানবজমিনে একটি সংবাদ ছাপা হয়। সে সময়েই পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, হাফানিয়া গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সাচ্চু (১৮) অটোরিকশাসহ রাব্বীর নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত সাচ্চু প্রভাবশালী পরিবারের হওয়ায় পুলিশ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অভিযুক্ত সাচ্চু’র বাড়ি সংলগ্ন প্রয়াত মোহন মেম্বারের বসতবাড়ির সেপটিক ট্যাংকির নিচে নিখোঁজ অটৈাচালক মো. রাব্বীর লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাচ্চুসহ পুরো পরিবার পলাতক রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নিখোঁজ রাব্বীর লাশ পাওয়া যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী অভিযুক্ত সাচ্চুর বাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের বড় ভাই এস.এন
সাদেক কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, গত ৭ই জুলাই বিকালের দিকে অটোরিকশাটিকে রিজার্ভ হিসেবে ভাড়া করে সাচ্চু রাব্বীকে শহরে নিয়ে যায়। তাদের ধারণা, সন্ধ্যার পর অন্ধকারে অটোরিকশাটি চুরি করে নিয়ে যেতে চাইলে বাঁধা দেয়ায় রাব্বীকে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাব্বীর লাশ গুম করে ফেলে। এ ব্যাপারে বাজিতপুর থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে এবং অটোরিকশাটি উদ্ধার করতে পুলিশ জোরালো তৎপরতা শুরু করেছে।
সাদেক কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, গত ৭ই জুলাই বিকালের দিকে অটোরিকশাটিকে রিজার্ভ হিসেবে ভাড়া করে সাচ্চু রাব্বীকে শহরে নিয়ে যায়। তাদের ধারণা, সন্ধ্যার পর অন্ধকারে অটোরিকশাটি চুরি করে নিয়ে যেতে চাইলে বাঁধা দেয়ায় রাব্বীকে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাব্বীর লাশ গুম করে ফেলে। এ ব্যাপারে বাজিতপুর থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে এবং অটোরিকশাটি উদ্ধার করতে পুলিশ জোরালো তৎপরতা শুরু করেছে।