বাংলারজমিন
ফেনীতে বাঁধ ভেঙে ঢুকছে পানি স্থায়ী সংস্কার চায় এলাকাবাসী
ফেনী প্রতিনিধি
১৫ জুলাই ২০২০, বুধবার, ৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
ফেনীতে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মুহুরী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম ও ফুলগাজী অংশে ১১টি স্থানে ভাঙ্গন ধরায় ওইসব স্থান নিয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে বিস্তীর্ণ এলাকার হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের, ডুবে গেছে মুরগি খামার ও বীজতলা। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, গতকাল সকাল ৬টায় মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সোমবার সকালে নদীর পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো। পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন জানান, মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনী-পরশুরাম সড়ক তলিয়ে গেলেও সোমবার রাতে সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। তবে গ্রামের নিম্নাঞ্চল এখনো ডুবে আছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর বলেন, ‘আমরা ত্রাণ চাই না, বাঁধের স্থায়ী সংস্কার চাই। প্রতিবছর আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকার নামমাত্র ত্রাণ দিয়ে দায়সারা কাজ করে। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দুঃখ কেউ বুঝতে চায় না।’
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিবছর আশ্বাস দিয়ে গেলেও বাঁধের স্থায়ী মেরামতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে উদ্যোগ নেয় না।’ ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা জানান, পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার হিসেবে ১৫০ টন চাল ও নগদ ২ লাখ টাকার সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, মুহুরী নদীর বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে পানি কমে গেলে বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু করা হবে।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিবছর আশ্বাস দিয়ে গেলেও বাঁধের স্থায়ী মেরামতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে উদ্যোগ নেয় না।’ ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা জানান, পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার হিসেবে ১৫০ টন চাল ও নগদ ২ লাখ টাকার সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, মুহুরী নদীর বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে পানি কমে গেলে বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু করা হবে।