বাংলারজমিন
তাবিজ-ঝাড়ফুঁকের নামে নারীদের শ্লীলতাহানি, মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল গ্রেপ্তার
ফেনী প্রতিনিধি
১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
ফেনীর দাগনভূঞায় তাবিজ ও ঝাড়ফুঁক দেওয়া কথা বলে নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের এনায়েত নগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই বাড়ির দীন মোহাম্মদের ছেলে। গ্রেপ্তার ইউসুফ সিদ্দিকী উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল।
এর আগে এক ভুক্তভোগী নারী শ্লীলতাহানির অভিযোগ অভিযুক্ত ইউসুফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সেটি মামলা হিসেবে আমলে নেয় বলে জানিয়েছেন দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম শিকদার।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার শিশু সন্তান বুকের দুধ পান না করায় তিনি তার শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে গত ৩ জুলাই ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীর কাছে তাবিজ এর জন্য যায়। এ সময় ইউসুফ সিদ্দিকী কৌশলে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে মাদ্রাসার পাশের একটি কক্ষে পাঠিয়ে দিয়ে তাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালান। সেখান থেকে দ্রুত বের হয়ে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি তার স্বজনদের জানান। ওই ঘটনায় রোববার বিকেলে দাগনভূঞা থানায় অভিযোগ করে ভুক্তভোগী নারী।
এদিকে ওই ঘটনার পর অভিযুক্ত ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী অবস্থা বেগতিক দেখে ভুক্তভোগী ওই নারীর কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেয়। একই সাথে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ারও চেষ্টা করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসার দোতলার ওই কক্ষটিকে ব্যবহার করে মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন যাবৎ তাবিজ-কবজ আর ঝাড়ফুঁকের নামে নারীদের তার লালসার শিকার বানিয়ে আসছিলো। তবে লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগীরা এতদিন নীরব ছিলেন। সম্প্রতি ওই নারীর এঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। অভিযুক্ত শিক্ষক ইউসুফকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবী করেছে স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, অভিযুক্ত ইউসুফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে প্রতারণা করে মানুষ থেকে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল আমিন জানান, প্রয়াত মাওলানা শাহ্ ছুফি মোহাম্মদ ইছহাক সাহেবের হাতে ১৯৩৬ সালে গড়া এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি এলাকায় সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের অপকর্মের দ্বায়ভার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবেনা। অপরাধ করলে অবশ্যই তার শাস্তি পেতে হবে।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম শিকদার জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে তার গ্রাম এনায়েত নগর থেকে মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এর আগে এক ভুক্তভোগী নারী শ্লীলতাহানির অভিযোগ অভিযুক্ত ইউসুফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সেটি মামলা হিসেবে আমলে নেয় বলে জানিয়েছেন দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম শিকদার।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার শিশু সন্তান বুকের দুধ পান না করায় তিনি তার শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে গত ৩ জুলাই ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীর কাছে তাবিজ এর জন্য যায়। এ সময় ইউসুফ সিদ্দিকী কৌশলে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে মাদ্রাসার পাশের একটি কক্ষে পাঠিয়ে দিয়ে তাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালান। সেখান থেকে দ্রুত বের হয়ে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি তার স্বজনদের জানান। ওই ঘটনায় রোববার বিকেলে দাগনভূঞা থানায় অভিযোগ করে ভুক্তভোগী নারী।
এদিকে ওই ঘটনার পর অভিযুক্ত ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী অবস্থা বেগতিক দেখে ভুক্তভোগী ওই নারীর কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেয়। একই সাথে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ারও চেষ্টা করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসার দোতলার ওই কক্ষটিকে ব্যবহার করে মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন যাবৎ তাবিজ-কবজ আর ঝাড়ফুঁকের নামে নারীদের তার লালসার শিকার বানিয়ে আসছিলো। তবে লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগীরা এতদিন নীরব ছিলেন। সম্প্রতি ওই নারীর এঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। অভিযুক্ত শিক্ষক ইউসুফকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবী করেছে স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, অভিযুক্ত ইউসুফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে প্রতারণা করে মানুষ থেকে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল আমিন জানান, প্রয়াত মাওলানা শাহ্ ছুফি মোহাম্মদ ইছহাক সাহেবের হাতে ১৯৩৬ সালে গড়া এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি এলাকায় সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের অপকর্মের দ্বায়ভার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবেনা। অপরাধ করলে অবশ্যই তার শাস্তি পেতে হবে।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম শিকদার জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে তার গ্রাম এনায়েত নগর থেকে মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।