খেলা
দুই দশক পর ইংল্যান্ডে জয়ে শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ জুলাই ২০২০, রবিবার, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
ইংল্যান্ড সফরে সবশেষ কবে জয় দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেটা মনে করতে ঘাম ঝরবে ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদদের। ২০০০ সালে ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে জিতেছিল ক্যারিবিয়রা। ২০ বছর পর সেটার পুনরাবৃত্তি করলো জেসন হোল্ডারের দল। সাউদাম্পটনের রোজ বোলে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে এসে ২০০ রানের জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। তবে দুই দশক আগের সেই সিরিজের বাকি ৩টিতে হেরে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফেরা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেটার পুনরাবৃত্তি নিশ্চয়ই চাইবে না হোল্ডারের দল। ১৯৮৮ সালের পর ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি ক্যারিবিয়দের।
সিরিজ শুরুর আগে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঁচ দিন টিকতে পারবে না। চার দিনেই করতে হবে যা কিছু।’ দুর্দান্ত জয়ে পূর্বসূরিকে জেসন হোল্ডারের দল যেন বুঝিয়ে দিল ‘পঞ্চম দিনে গিয়ে টেস্ট জেতার ক্ষমতা রাখে এই দলটা।’
টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে কখনই দুইশ বা এর নীচে রান তাড়ায় হারের রেকর্ড নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। ৭ রানেই জোফরা আর্চারের বলে ৭ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান করা ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। আর্চারের দ্রুতগতির এক ডেলিভারিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার জন ক্যাম্পবেল। রানের খাতা খোলার আগেই আর্চারের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন শামারাহ ব্রুকস। শাই হোপকে (৯ রান) থিতু হতে দেননি মার্ক উড।
২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর পাল্টা লড়াই শুরু করেন রোস্টন চেজ ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তাদের কাজটা অবশ্য ‘সহজ’ করে দিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের ফিল্ডাররাই। বেন স্টোকসের বলে দুইবার জীবন পান ব্ল্যাকউড। ২০ রানে ক্যাচ দিয়েছিলেন কিপার জস বাটলারকে, ২৯ রানে ররি বার্নসকে। কেউই কাজে লাগাতে পারেননি সুযোগ। সেই ব্ল্যাকউডই দারুণ ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন।
রোস্টন চেজকে (৩৭ রান) ফিরিয়ে ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন আর্চার। এরপর শেন ডাওরিচকে নিয়ে আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন ব্ল্যাকউড। স্টোকসের বলে ডাওরিচ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি। জেসন হোল্ডারকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ব্ল্যাকউড। ছিলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে। স্টোকসের বলে মিডঅফে জেমস অ্যান্ডারসনের হাতে ধরা পড়ে থামেন ৯৫ রানে। তার ১৫৪ বলের ইনিংস গড়া ১২ চারে। তার বিদায়ের সময় জয় থেকে ১১ রান দূরে ছিল সফরকারীরা। শুরুতে চোট পাওয়া ক্যাম্পবেল ফিরেন ক্রিজে। মার্ক উডের দ্রুতগতির ডেলিভারি আঘাত হানে তার হেলমেটের গ্রিলে। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় হোল্ডারকে নিয়ে জয় তুলে নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
রোববার ৮ উইকেটে ২৮৪ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ৩১৩ রানে। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল স্বাগতিকদের শেষ দুই উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো দেখা পান ৫ উইকেটের। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে ক্যারিবিয়ান পেসারের হাতেই।
করোনা বিরতি কাটিয়ে ১১৭ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে এই সিরিজ দিয়েই। নানা বিধি-নিষেধের বোঝা মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দেখা মিলেছে টেস্ট ম্যাচের সেই রোমাঞ্চকর লড়াই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
১ম টেস্ট, সাউদাম্পটন
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ২০৪ (স্টোকস ৪৩, বাটলার ৩৫, হোল্ডার ৬/৪২, গ্যাব্রিয়েল ৪/৬২) ও ২য় ইনিংস ৩১৩ (ক্রলি ৭৬, সিবলি ৫০, গ্যাব্রিয়েল ৫/৭৫, জোসেফ ২/৪৫, চেজ ২/৭১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস ৩১৮ (ব্রাথওয়েট ৬৫, ডাওরিচ ৬১, চেজ ৪৭, স্টোকস ৪/৪৯, অ্যান্ডারসন ৩/৬২, বেস ২/৫১) ও ২য় ইনিংস ২০০/৬ (জার্মেইন ব্ল্যাকউড ৯৫, চেজ ৩৭, আর্চার ৩/৪৫, স্টোকস ২/৩৯)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী
সিরিজ শুরুর আগে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঁচ দিন টিকতে পারবে না। চার দিনেই করতে হবে যা কিছু।’ দুর্দান্ত জয়ে পূর্বসূরিকে জেসন হোল্ডারের দল যেন বুঝিয়ে দিল ‘পঞ্চম দিনে গিয়ে টেস্ট জেতার ক্ষমতা রাখে এই দলটা।’
টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে কখনই দুইশ বা এর নীচে রান তাড়ায় হারের রেকর্ড নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। ৭ রানেই জোফরা আর্চারের বলে ৭ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান করা ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। আর্চারের দ্রুতগতির এক ডেলিভারিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার জন ক্যাম্পবেল। রানের খাতা খোলার আগেই আর্চারের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন শামারাহ ব্রুকস। শাই হোপকে (৯ রান) থিতু হতে দেননি মার্ক উড।
২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর পাল্টা লড়াই শুরু করেন রোস্টন চেজ ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তাদের কাজটা অবশ্য ‘সহজ’ করে দিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের ফিল্ডাররাই। বেন স্টোকসের বলে দুইবার জীবন পান ব্ল্যাকউড। ২০ রানে ক্যাচ দিয়েছিলেন কিপার জস বাটলারকে, ২৯ রানে ররি বার্নসকে। কেউই কাজে লাগাতে পারেননি সুযোগ। সেই ব্ল্যাকউডই দারুণ ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন।
রোস্টন চেজকে (৩৭ রান) ফিরিয়ে ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন আর্চার। এরপর শেন ডাওরিচকে নিয়ে আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন ব্ল্যাকউড। স্টোকসের বলে ডাওরিচ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি। জেসন হোল্ডারকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ব্ল্যাকউড। ছিলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে। স্টোকসের বলে মিডঅফে জেমস অ্যান্ডারসনের হাতে ধরা পড়ে থামেন ৯৫ রানে। তার ১৫৪ বলের ইনিংস গড়া ১২ চারে। তার বিদায়ের সময় জয় থেকে ১১ রান দূরে ছিল সফরকারীরা। শুরুতে চোট পাওয়া ক্যাম্পবেল ফিরেন ক্রিজে। মার্ক উডের দ্রুতগতির ডেলিভারি আঘাত হানে তার হেলমেটের গ্রিলে। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় হোল্ডারকে নিয়ে জয় তুলে নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
রোববার ৮ উইকেটে ২৮৪ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ৩১৩ রানে। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল স্বাগতিকদের শেষ দুই উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো দেখা পান ৫ উইকেটের। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে ক্যারিবিয়ান পেসারের হাতেই।
করোনা বিরতি কাটিয়ে ১১৭ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে এই সিরিজ দিয়েই। নানা বিধি-নিষেধের বোঝা মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দেখা মিলেছে টেস্ট ম্যাচের সেই রোমাঞ্চকর লড়াই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
১ম টেস্ট, সাউদাম্পটন
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ২০৪ (স্টোকস ৪৩, বাটলার ৩৫, হোল্ডার ৬/৪২, গ্যাব্রিয়েল ৪/৬২) ও ২য় ইনিংস ৩১৩ (ক্রলি ৭৬, সিবলি ৫০, গ্যাব্রিয়েল ৫/৭৫, জোসেফ ২/৪৫, চেজ ২/৭১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস ৩১৮ (ব্রাথওয়েট ৬৫, ডাওরিচ ৬১, চেজ ৪৭, স্টোকস ৪/৪৯, অ্যান্ডারসন ৩/৬২, বেস ২/৫১) ও ২য় ইনিংস ২০০/৬ (জার্মেইন ব্ল্যাকউড ৯৫, চেজ ৩৭, আর্চার ৩/৪৫, স্টোকস ২/৩৯)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী