বাংলারজমিন

জেলায় জেলায় উপসর্গ

১২ জুলাই ২০২০, রবিবার, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

নওগাঁয় ৪৮
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় আরো ৪৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন। এছাড়া দু’জন চিকিৎসক, দু’জন নার্স, শিক্ষক ও পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগী দাঁড়াল ৬৭৪ জন। এদিকে রতন দাস (৬৫) নামে নওগাঁ শহরের পাটালীমোড় মহল্লার পল্লীচিকিৎসক করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার একদির পর তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ এসেছে। রতন দাস করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৭ জুলাই সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ঢাকায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে গত ৯ই জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শনিবার দুপুরে নওগাঁর সিভিল সার্জন ড. আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান আলাল এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার ল্যাব থেকে ৩৩২টি নমুনার পরীক্ষার ফলাফল আসে। এরমধ্যে ৪৮ জনের রিপোর্ট পজেটিভ। তার মধ্যে মৃত ব্যক্তিরও ফলাফল রয়েছে। এদিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামে একই পরিবারের পাঁচজনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে চার বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেল মোট ১০ জন।
নতুন করে আক্রান্ত ৪৮ জনের মধ্যে নওগাঁ সদরে- ৮ জন, পত্নীতলায় ১০, আত্রাইয়ে ৩, সাপাহারে ১০, ধামইরহাটে ৫, নিয়ামতপুরে ৫, বদলগাছীতে ৩, মান্দায় ২, মহাদেবপুর ও পোরশায় একজন করে রয়েছেন। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর ই মোর্শেদ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ১৬ জনকে। এদের মধ্যে রানীননগর উপজেলায় ৩, আত্রাই উপজেলায় ২, মহাদেবপুর উপজেলায় ১, মান্দা উপজেলায় ১ পত্নীতলা উপজেলায় ২, ধামইরহাট উপজেলায় ২, সাপাহার উপজেলায় ১ এবং পোরশা উপজেলায় ৪ জন।
পায়রায় ১৭
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ৮টি আবাসিক হোটেলে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৭ শ্রমিকের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে আনা ১৫১ জন শ্রমিক কুয়াকাটার গাজী প্যালেস, রয়েল প্যালেস, সমুদ্র বাড়ি, সাফা ইন্‌, হোটেল তাজওয়া, সাগরকন্যা রিসোর্ট, হোটেল আমান এবং আল-হেরা আবাসিক হোটেলে গত ২রা জুলাই থেকে অবস্থান করছিল। এরপর গত ৭ই জুলাই পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এসব শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ করে (আইইডিসিআর) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সর্বশেষ শনিবার সকালে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন এদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেলে করোনা পজেটিভ হিসেবে ১৭ শ্রমিকের নাম উল্লেখ করেছেন। কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন ডা. চিন্ময় হালদার শনিবার সকালে বলেন, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজে যোগদানের জন্য কুয়াকাটার ৭টি আবাসিক হোটেলে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা ১৫১ শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে ১৭ শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
টাঙ্গাইলে ৭
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল থেকে: টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর ২, মির্জাপুরে ৪ ও মধুপুরে ১ জন। গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৮৯০ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ২০ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪৮০ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪১৯০ জন।
নীলফামারীতে ৪৭৮
নীলফামারী প্রতিনিধি: সংক্রমণ থামছেই না। দিনদিন হটস্পটের দিকেই এগুচ্ছে নীলফামারী। তবে নীলফামারীর কর্মক্ষেত্র বলে বিবেচিত উত্তরা ইপিজেড ও সংলগ্ন এলাকা ক্রমেই ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে। এরইমধ্যে  বিভিন্ন কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিদেশি মালিকসহ প্রায় অর্ধশত করোনার ছোবলে আক্রান্ত। দিন দিন সংক্রমণের মাত্রা বেড়েই চলেছে ইপিজেড ও সংলগ্ন এলাকায়। আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের মাঝেও বেড়েছে আতঙ্ক। একাধিক সূত্র জানায়, নমুনা পরীক্ষা জটের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে নীলফামারীতে। সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্র জানায়, গোটা জেলায় এ পর্যন্ত ৪৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন ৩৩৮ জন। মৃত্যুর তালিকায় আরো একজন যোগ হয়ে ৮ জনে দাঁড়িযেছে। তবে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিলম্বে ফলাফল পাওয়া নিয়ে। শনাক্তের খবর বিলম্বে পাওয়ায় আক্রান্তদের দ্বারা পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও ঘরের বাইরেও অনেকে ঝুঁকিতে পড়ছেন।
আমতলীতে ৪
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে নতুন করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত সকলে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের  বাড়িগুলো লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (৪২), পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মজুমদার বাড়ির বাসিন্দা  (৫৫) ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৃহবধূ (৩২) ও উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাইনবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে করোনা উপসর্গ জ্বর কাশিতে ভূগছিলেন। তিনদিন পূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারা নমুনা দেন। শুক্রবার রাত ১২টায় তাদের চারজনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। তারা সবাই হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়িগুলো লকডাউন করা  হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তানজিরুল ইসলাম জানান, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চারজন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জামালপুরে ১৭
জামালপুর প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সাত মাসের গর্ভবতী নারী, স্বাস্থ্যকর্মী, আনসার ও বিজিবি  সদস্য সহ ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার রাতে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ১৭ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পরে।
শুক্রবার (১০ই জুলাই) ওইসব  ব্যক্তির দেহে করোনা পজেটিভ নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন জামালপুর সদরে ৭, সরিষাবাড়ীতে ৬, বকশীগঞ্জে ১, মাদারগঞ্জে ১, মেলান্দহে ১ ও ইসলামপুরে ১ জন ।
২৫০ শয্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭  জনের করোনা শনাক্ত হয়। ওই ব্যক্তিরা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ও নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়েছিল। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০২ জনে।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জামালপুর শহরের মিয়াপাড়ার একজন সাত মাসের গর্ভবতী নারী, মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্যকর্মী,  জামালপুর জেলা আনসারের এক সদস্য, ৩৫ বিজিবির এক সদস্য, পৌরসভার মাইনপুর এলাকার এক সাংবাদিকসহ ওইসব ব্যক্তিদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাদের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এ পর্যন্ত ৩০ চিকিৎসক, একজন পল্লীচিকিৎসক ও ৭৯ জন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১১ জন বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মাগুরায় ৭
মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরায় নতুন করে ৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হলো ১৯০ জন। নতুন করে ২০ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৬ জন। শনাক্ত হওয়া ৭ জনের মধ্যে মাগুরা পৌরসভার ৩ জন, সদরে ২ ও শ্রীপুর উপজেলায় ২ জন। মাগুরা সিভিল সার্জন ডা প্রদিপ কুমার সাহা শনিবার দুপুরে জানান, জেলায় নতুন ৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়া পৌরসভার নতুন বাজার, আনসার করোনী ও কলেজ পাড়ায় ১ জন, সদরের বগিয়া ইউনিয়নের বারাসিয়া ও শত্রুজিতপুরে ১ জন ও শ্রীপুর উপজেলার বালিয়াঘাটা ও তারাউজিয়ালে ১ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার নতুন করে ২০ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৬ জন। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক হোম আইসোলেশনে আছেন ৭৮ জন।
মৃত্যু হয়েছে মোট ৭ জনের ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status