বাংলারজমিন
বিচ্ছিন্ন চর এলাকা
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
১২ জুলাই ২০২০, রবিবার, ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
টানা বৃষ্টি আর ভারতের পাহাড়ি ঢল থেকে নেমে আসা পানি বৃদ্ধি পেয়ে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ নিম্ন এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া পূর্ব বিনবিনা চরের বেড়িবাঁধটি ভেঙে গিয়ে তিস্তার পানি ঢুকে বিনবিনাসহ বাগেরহাট, শঙ্করদহ এলাকা তলিয়ে গেছে। চর এলাকার পাকা রাস্তাসহ বিভিন্ন রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মানুষজন নৌকা, কলাগাছের ভেলায় কোনোরকম চলাচল করছে। গবাদিপশু, ছোট শিশু ও বয়স্ক মানুষজনকে নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়া ভেসে গেছে পুকুর, মৎস্য খামার ও বিলের মাছ। সদ্য রোপণকৃত আমন চারা, পাটক্ষেতসহ চাষাবাদকৃত ফসল ও আমন বীজতলা তলিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের দেয়া তথ্যমতে, উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখালচর, চরমটুকপুর, খলাইরচর, বিনবিনা, সাউদপাড়া, আলেকিশামত ও উত্তর কোলকোন্দ বাঁধেরধার ২ হাজার, নোহালী ইউনিয়নের বাগডোহরা, মিনার বাজার, চর নোহালী, বৈরাতী ও কচুয়ার ১ হাজার ৭শ’, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চর ইচলী, বাগেরহাট, চর চল্লিশসাল, বাগেরহাট আশ্রয়ণ, কাশিয়াবাড়ি চরের ২ হাজার, গজঘণ্টা ইউনিয়নের চর ছালাপাক, রামদেব, কামদেব, মহিষাশহরের ৫শ’, মণের্য়া ইউনিয়নের তালপট্টি, নরসিংহ, আলাল চরের ১ হাজার, গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের ধামুর বাঁধেরপাড়, গান্নারপাড়, বোল্লারপাড়ের ৫শ’ ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান, হাজীপাড়া, ব্যাঙপাড়া এলাকার ৩শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাগেরহাট এলাকার জিয়ারুল, হায়দার, শফিকুল, মনতাজ জানান, গত শুক্রবার রাত থেকে হঠাৎ তিস্তার পানি বেড়ে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় রান্নাবান্না করতে না পেরে শুকনো খাবার খেয়ে আছি।
লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, তিনি রাত থেকে শঙ্করদহ ও বাগেরহাট এলাকার লোকজনকে নিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করছেন। এছাড়া গতদিনের তিস্তার ভাঙনে তার এলাকায় ৯০টি পরিবার বিলীন হয়েছে।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, তিনি ভোরে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করে তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তার জন্য পরিবারের তালিকা তৈরি করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানিবন্দি মানুষজনের জন্য শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন উপকরণ ও ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এছাড়া পূর্ব বিনবিনা চরের বেড়িবাঁধটি ভেঙে গিয়ে তিস্তার পানি ঢুকে বিনবিনাসহ বাগেরহাট, শঙ্করদহ এলাকা তলিয়ে গেছে। চর এলাকার পাকা রাস্তাসহ বিভিন্ন রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মানুষজন নৌকা, কলাগাছের ভেলায় কোনোরকম চলাচল করছে। গবাদিপশু, ছোট শিশু ও বয়স্ক মানুষজনকে নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়া ভেসে গেছে পুকুর, মৎস্য খামার ও বিলের মাছ। সদ্য রোপণকৃত আমন চারা, পাটক্ষেতসহ চাষাবাদকৃত ফসল ও আমন বীজতলা তলিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের দেয়া তথ্যমতে, উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখালচর, চরমটুকপুর, খলাইরচর, বিনবিনা, সাউদপাড়া, আলেকিশামত ও উত্তর কোলকোন্দ বাঁধেরধার ২ হাজার, নোহালী ইউনিয়নের বাগডোহরা, মিনার বাজার, চর নোহালী, বৈরাতী ও কচুয়ার ১ হাজার ৭শ’, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চর ইচলী, বাগেরহাট, চর চল্লিশসাল, বাগেরহাট আশ্রয়ণ, কাশিয়াবাড়ি চরের ২ হাজার, গজঘণ্টা ইউনিয়নের চর ছালাপাক, রামদেব, কামদেব, মহিষাশহরের ৫শ’, মণের্য়া ইউনিয়নের তালপট্টি, নরসিংহ, আলাল চরের ১ হাজার, গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের ধামুর বাঁধেরপাড়, গান্নারপাড়, বোল্লারপাড়ের ৫শ’ ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান, হাজীপাড়া, ব্যাঙপাড়া এলাকার ৩শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাগেরহাট এলাকার জিয়ারুল, হায়দার, শফিকুল, মনতাজ জানান, গত শুক্রবার রাত থেকে হঠাৎ তিস্তার পানি বেড়ে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় রান্নাবান্না করতে না পেরে শুকনো খাবার খেয়ে আছি।
লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, তিনি রাত থেকে শঙ্করদহ ও বাগেরহাট এলাকার লোকজনকে নিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করছেন। এছাড়া গতদিনের তিস্তার ভাঙনে তার এলাকায় ৯০টি পরিবার বিলীন হয়েছে।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, তিনি ভোরে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করে তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তার জন্য পরিবারের তালিকা তৈরি করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানিবন্দি মানুষজনের জন্য শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন উপকরণ ও ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছেন।