খেলা
যেভাবে অশ্বিনকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন আফ্রিদি
স্পোর্টস ডেস্ক
১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ৩:২৫ পূর্বাহ্ন
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভারতকে একাই হারিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। ২০১৪ সালে মিরপুরে এশিয়া কাপের ম্যাচটিকে বিশেষভাবে মনে রাখবেন তিনি। সেদিন মাত্র ১৮ বলে ৩৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে পাকিস্তানকে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন এই অলরাউন্ডার। সেটিও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কথা ৫০তম ওভারে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে। সম্প্রতি পাকিস্তানের জনপ্রিয় টিভি প্রেজেন্টার জয়নব আব্বাসের লাইভ শোতে ৬ বছর আগের ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন আফ্রিদি।
টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতকে ওই ম্যাচে জিততেই হতো। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচামরার লড়াইয়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪৫/৮ সংগ্রহ করে তারা। জবাবে শুরুটা ভলো হলেও মাঝে খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে ৮৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন শোয়েব মাকসুদ-মোহাম্মদ হাফিজ। কিন্তু মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে এ দুজনের বিদায়ে আবারও ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ভারতের দিকে।
পাকিস্তানের স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন কেবল আফ্রিদি। টেলএন্ডার উমর গুলকে নিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে ৪ উইকেট। ৪৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার দুর্দান্ত বোলিং তো করলেনই, সঙ্গে তুলে নিলেন গুল ও মোহাম্মদ তালহাকেও। অশ্বিনের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে যখন সাঈদ আজমল আউট হলেন, সবাই হয়তো ভেবেছিল ম্যাচটা জিততে যাচ্ছে ভারতই। কিন্তু এরপর মিরপুর দেখলো আফ্রিদি ম্যাজিক।
কীভাবে জিতিয়েছিলেন পাকিস্তানকে? সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার সঙ্গে ছিল সাঈদ (আজমল)। তাকে বললাম একটা সিঙ্গেল নিতে। বড় শট না খেলতে। কিন্তু সে সেটিই করতে গেল আর উইকেট খোয়ালো। অশ্বিন খুব ভালো বোলিং করেছিল ওই ম্যাচে। এরপর উইকেটে শেষ ব্যাটসম্যান জুনায়েদ খান এলো। তাকেও বললাম শুধু একটা সিঙ্গেল নিতে। কোনোভাবে সিঙ্গেলটা নিতে পেরেছিল জুনায়েদ। আমি স্ট্রাইকে ফিরলাম। অশ্বিনের বিরুদ্ধে যা করেছিলাম, সেটি হলো সে বল করার আগে আমি লেগ সাইডে তাকিয়েছিলাম। তাকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম যে আমি লেগ সাইডে মারতে যাচ্ছি। যেন সে অফস্পিন না করে। অশ্বিন তাই করেছিল। সে লেগস্পিন করলো। আমি এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা হাঁকালাম। পরের ডেলিভারিটা কঠিন ছিল। ব্যাটের মাঝ বরাবর লাগাতে পারিনি। দ্বিধায় ছিলাম বলটা সীমানা পার হবে কি হবে না। কিন্তু বলটা ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে ছয় হয়ে গেল। আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।’
পাকিস্তানের স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন কেবল আফ্রিদি। টেলএন্ডার উমর গুলকে নিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে ৪ উইকেট। ৪৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার দুর্দান্ত বোলিং তো করলেনই, সঙ্গে তুলে নিলেন গুল ও মোহাম্মদ তালহাকেও। অশ্বিনের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে যখন সাঈদ আজমল আউট হলেন, সবাই হয়তো ভেবেছিল ম্যাচটা জিততে যাচ্ছে ভারতই। কিন্তু এরপর মিরপুর দেখলো আফ্রিদি ম্যাজিক।
কীভাবে জিতিয়েছিলেন পাকিস্তানকে? সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার সঙ্গে ছিল সাঈদ (আজমল)। তাকে বললাম একটা সিঙ্গেল নিতে। বড় শট না খেলতে। কিন্তু সে সেটিই করতে গেল আর উইকেট খোয়ালো। অশ্বিন খুব ভালো বোলিং করেছিল ওই ম্যাচে। এরপর উইকেটে শেষ ব্যাটসম্যান জুনায়েদ খান এলো। তাকেও বললাম শুধু একটা সিঙ্গেল নিতে। কোনোভাবে সিঙ্গেলটা নিতে পেরেছিল জুনায়েদ। আমি স্ট্রাইকে ফিরলাম। অশ্বিনের বিরুদ্ধে যা করেছিলাম, সেটি হলো সে বল করার আগে আমি লেগ সাইডে তাকিয়েছিলাম। তাকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম যে আমি লেগ সাইডে মারতে যাচ্ছি। যেন সে অফস্পিন না করে। অশ্বিন তাই করেছিল। সে লেগস্পিন করলো। আমি এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা হাঁকালাম। পরের ডেলিভারিটা কঠিন ছিল। ব্যাটের মাঝ বরাবর লাগাতে পারিনি। দ্বিধায় ছিলাম বলটা সীমানা পার হবে কি হবে না। কিন্তু বলটা ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে ছয় হয়ে গেল। আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।’
পাকিস্তানের কাছে নাটকীয় হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। আর পাকিস্তান ফাইনালে উঠলেও জিততে পারেনি ট্রফিটা। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে রানার্সআপ হন আফ্রিদিরা।