বিশ্বজমিন
মুসলিম ও ইহুদিদের করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত করার আহ্বান নব্য নাৎসী ও উগ্র ডানপন্থিদের
মানবজমিন ডেস্ক
১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
বৃটিশ সরকারের সন্ত্রাস বিরোধী একটি এজেন্সি বৃহস্পতিবার সতর্কতা দিয়েছে, নব্য-নাৎসী ও উগ্র ডানপন্থিরা অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে- মুসলিম ও ইহুদিদের ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত করতে। করোনা মহামারিকে পুঁজি করে তারা এমন উগ্রপন্থি উদ্যোগ নিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। বৃটেনের কমিশন ফর কাউন্টার এক্সট্রিমিজম বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারি শুরু থেকেই ক্রমবর্ধমান হারে উগ্র ডানপন্থি, উগ্র বামপন্থি এবং ইসলামপন্থি কট্টরপন্থিরা এই সঙ্কটকে পুঁজি করে বিভক্তি, বিদেশি ভীতি এবং বর্ণবাদী আচরণের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে তারা। সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে।
কমিশন বলেছে, আদর্শগত স্থানগুলোতে ভুল এবং ক্ষতিকর প্রচারণার রিপোর্ট পেয়েছে তারা। ইসলামপন্থি গ্রুপগুলো গণতন্ত্রবিরোধী এবং পশ্চিমাবিরোধী প্রচারণায় ব্যস্ত। তারা দাবি করছে, কোভিড-১৯ হলো পশ্চিমাদের অবক্ষয়ের কারণে ঐশ্বরিক শাস্তি অথবা উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কারণে চীনকে শাস্তি দিচ্ছে সৃষ্টিকর্তা।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম ও ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বৃটিশ ফার রাইট কর্মী ও নব্য-নাৎসীরা তাদের অনুসারীদের উৎসাহিত করছে। এ ছাড়া ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তার মধ্যে একটিতে বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস হলো ইহুদিদের ষড়যন্ত্র। আবার বলা হচ্ছে, করোনা মহামারির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ৫ জি’র। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উগ্র ডানপন্থি রাজনীতিক এবং সংবাদ ভিত্তিক সংগঠনগুলো করোনা ভাইরাস ইস্যুকে ব্যবহার করে অভিবাসী বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সতর্ক করা হয়েছে যে, এই ধারা জাতিগত ঘৃণা, বর্ণবাদ এবং ধর্মীয় সম্প্রায়ের মধ্যে ঘৃণাকে পুনরুজ্জীবিত করবে। আরো উদ্বেগ রয়েছে যে, উগ্রবাদ ও এতে দীক্ষিত করার বিষয়ে অধিক সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে লকডাউন।
জুনে বৃটেনের সন্ত্রাস বিরোধী কর্মসূচির জাতীয় সমন্বয়ক চিফ সুপারিনটেন্ডেন্ট নিক এডামস সতর্ক করেছেন যে, মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ। মানসিক সেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধ। সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় আঘাত লেগেছে। এর ফলে অনেক ঝুঁকিতে থাকা মানুষ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দিকে ঝুঁকে যেতে পারে।
কমিশন আরো বলেছে, ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও মিথ্যা তথ্য অনলাইনে প্রচার পাচ্ছে ব্যাপকহারে। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একটি ভুয়া পোস্ট দেয়া হয়েছে মুসলিমদের নিয়ে। তাতে বলা হয়েছে, মুসলিমরা লকডাউন লঙ্ঘন করছেন। এই পোস্ট শেয়ার দেয়া হয়েছে ২৭০০ বার। এই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শতকরা ৯০ ভাগ পোস্টে এ রকম ভিত্তিহীন ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তবে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক কোম্পানিগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। স্থানীয় কমিশনার সারা খান এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই মহামারিও কট্টরপন্থিদের তাদের ঘৃণাপ্রসূত আদর্শ প্রচারণায় নিরুৎসাহিত করতে পারে নি। তারা লকডাউনের সময়টাকে উল্টো বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও ভুল তথ্য প্রচারে ব্যবহার করেছে। তারা চেষ্টা করছে ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে। সহিংসতা সৃষ্টি করতে। জনশৃংখলা নষ্ট করতে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সহাবস্থান লঙ্ঘনের চেষ্টা করতে।
কমিশন বলেছে, আদর্শগত স্থানগুলোতে ভুল এবং ক্ষতিকর প্রচারণার রিপোর্ট পেয়েছে তারা। ইসলামপন্থি গ্রুপগুলো গণতন্ত্রবিরোধী এবং পশ্চিমাবিরোধী প্রচারণায় ব্যস্ত। তারা দাবি করছে, কোভিড-১৯ হলো পশ্চিমাদের অবক্ষয়ের কারণে ঐশ্বরিক শাস্তি অথবা উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কারণে চীনকে শাস্তি দিচ্ছে সৃষ্টিকর্তা।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম ও ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বৃটিশ ফার রাইট কর্মী ও নব্য-নাৎসীরা তাদের অনুসারীদের উৎসাহিত করছে। এ ছাড়া ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তার মধ্যে একটিতে বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস হলো ইহুদিদের ষড়যন্ত্র। আবার বলা হচ্ছে, করোনা মহামারির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ৫ জি’র। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উগ্র ডানপন্থি রাজনীতিক এবং সংবাদ ভিত্তিক সংগঠনগুলো করোনা ভাইরাস ইস্যুকে ব্যবহার করে অভিবাসী বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সতর্ক করা হয়েছে যে, এই ধারা জাতিগত ঘৃণা, বর্ণবাদ এবং ধর্মীয় সম্প্রায়ের মধ্যে ঘৃণাকে পুনরুজ্জীবিত করবে। আরো উদ্বেগ রয়েছে যে, উগ্রবাদ ও এতে দীক্ষিত করার বিষয়ে অধিক সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে লকডাউন।
জুনে বৃটেনের সন্ত্রাস বিরোধী কর্মসূচির জাতীয় সমন্বয়ক চিফ সুপারিনটেন্ডেন্ট নিক এডামস সতর্ক করেছেন যে, মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ। মানসিক সেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধ। সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় আঘাত লেগেছে। এর ফলে অনেক ঝুঁকিতে থাকা মানুষ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দিকে ঝুঁকে যেতে পারে।
কমিশন আরো বলেছে, ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও মিথ্যা তথ্য অনলাইনে প্রচার পাচ্ছে ব্যাপকহারে। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একটি ভুয়া পোস্ট দেয়া হয়েছে মুসলিমদের নিয়ে। তাতে বলা হয়েছে, মুসলিমরা লকডাউন লঙ্ঘন করছেন। এই পোস্ট শেয়ার দেয়া হয়েছে ২৭০০ বার। এই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শতকরা ৯০ ভাগ পোস্টে এ রকম ভিত্তিহীন ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তবে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক কোম্পানিগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। স্থানীয় কমিশনার সারা খান এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই মহামারিও কট্টরপন্থিদের তাদের ঘৃণাপ্রসূত আদর্শ প্রচারণায় নিরুৎসাহিত করতে পারে নি। তারা লকডাউনের সময়টাকে উল্টো বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও ভুল তথ্য প্রচারে ব্যবহার করেছে। তারা চেষ্টা করছে ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে। সহিংসতা সৃষ্টি করতে। জনশৃংখলা নষ্ট করতে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সহাবস্থান লঙ্ঘনের চেষ্টা করতে।