খেলা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সাক্ষ্য দিলেন আরো ৯ শুটার

স্পোর্টস রিপোর্টার

১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ শুটিং ফেডারেশনে চলছে অস্থিরতা। সভাপতি-মহাসচিব দ্বন্দ্বের জের পড়েছে শুটারদের ওপর। অবৈধভাবে অস্ত্র আনার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তলবে বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন জাতীয় শুটাররা। আগে চারজন এনবিআর কর্মকর্তাদের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন। গতকাল হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিলেন আরো ৯ শুটার। শুটিং ফেডারেশনের দ্বন্দ্বের জেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শুটাররা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চেয়েছেন।
২০১৭ সালে রাইফেল তৈরির প্রতিষ্ঠান ওয়ালথার থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ৮টি রাইফেল নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন শুটাররা। অথচ তিন বছর পর এক উড়ো চিঠির কারণে এই করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যেও এনবিআরে সাক্ষ্য দিতে যেতে হয়েছে জাতীয় শুটারদের। রোববার হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন আবদুল্লাহ হেল বাকী, অর্ণব শারার লাদিফ, রাব্বি হাসান মুন্না ও রিসালাতুল ইসলাম। গতকাল এনবিআর কার্যালয়ে হাজির হন মাহফুজা খাতুন জুঁই, আতকিয়া হাসান দিশা, শাকিল আহমেদ, আরমিন আশা, রবিউল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, নুর হোসেন আলী, আরদিনা ফেরদৌস, শোভন চৌধুরী। জার্মানি থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে রাইফেল আনার অভিযোগ নিয়ে এনবিআরের তলবে বিব্রত শুটার আরমিন আশা বলেন, যে রাইফেলগুলোর কথা বলা হয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কারণ আমি রাইফেল শুটার না, আমি পিস্তল শুটার। তাছাড়া ২০১৭ সালে আমি কোনো অস্ত্র ক্রয় করি নাই। তারা আমার কাছে আমার অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। ২০১৮ সালে আমি ফেডারেশন থেকে নগদ টাকা দিয়ে একটি পিস্তল কিনেছি। তারা আমার কাছে আমার পিস্তলের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। এটার কোনো কাগজপত্র আছে কিনা কিংবা এটা এখন কোথায় আছে এসব বিষয়ে। এগুলোও আমি তাদের পরিষ্কার করেছি। আমি বলেছি একটি ভালো পিস্তলের অভাবে আমার পারফরমেন্স দিন দিন খারাপ হচ্ছিলো। তাই ২০১৮ সালে মাসটা ঠিক মনে নেই, আমি ফেডারেশন থেকে একটি পিস্তল ক্রয় করি। আমার কাছে পিস্তলের কাগজপত্রের চেয়ে নিজের পারফরমেন্সে মনোযোগ বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তাই কাগজপত্র আর সংগ্রহ করা হয়নি। আমি এখন নৌবাহিনীতে চাকরি করি। করোনার কারণে আমাদের ক্যাম্প বন্ধ। ক্যাম্প বন্ধের কারণে আমার পিস্তল নৌবাহিনীতে জমা দেয়া আছে।’ মূলত ডেনমার্কের কোচ ক্লাভস ক্রিস্টেনসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ওয়ালথার কোম্পানি আটটি রাইফেল উপহার দেয় বাংলাদেশকে। যা বিশ্বকাপ শেষে জার্মানি থেকে শুটাররাই নিয়ে আসেন বাংলাদেশে। এ বিষয়ে মাহফুজা খাতুন জুঁই বলেন, ‘বিমানবন্দরে আমাদের রাইফেল দেখেছেন কর্মকর্তারা। তারা কিছুই বলেননি। তিন চারমাস পর সেখান থেকে দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়ে (কইঅ ২০৬৯ খএ ৪০০ ধিষঃযবৎ) ক্রয় করি। রাইফেলটির সঙ্গে আমাকে কোনো মানি রিসিট দেয়া হয় নাই। এগুলোই আমি এনবিআর কর্মকর্তাদের বলেছি।
ফেডারেশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপুর দ্বন্দ্বের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শুটারদের পারফরম্যান্সে। গত এসএ গেমসে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ডিসিপ্লিন শুটিংয়ে কোনো স্বর্ণ আসেনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status