বাংলারজমিন
ঘাটাইলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
৭ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় সংগ্রামপুর ইউনিয়নের বগা গ্রামের পল্টনপাড় এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উক্ত মারামারির ঘটনায় আহত একজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেছেন। এর জের ধরে পরবর্তিতে বাড়িঘরে হামলা করে মালামাল লুটতরাজ করার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা।
সরেজমিনে উক্ত এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এসব ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বাদী- বিবাদী উভয়পক্ষই ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, রফিক ও সোরহাব সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। ওয়ারিশের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধে গত ৫ই জুন বিবাদমান জমিতে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জহুর আলী (৭০) সহ ১৩ জন আহত হন। আহতদের ঘাটাইল ও টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে আহত জহুর আলীকে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তার শারীরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে গত ২৮ জুন তারিখে জহুর আলী মৃত্যুবরণ করেন।
অভিযোগকারী সোরহাব আলী জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৫ জুন রফিক ও জহুর আলীর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের সঙ্গবদ্ধ দল লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর এলোপাথারী হামলা চালায়। এসময় আমরা মারাত্মকভাবে ৭ জন আহত হয়ে ঘাটাইল হাসপাতালে ভর্তি হই। ঐ সময় তাদেরই অসর্তকতা বশত এলোপাথাড়ি লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয় রফিকের বাবা জহুর আলী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সোরহাব আলী আরো বলেন, এ ঘটনায় রফিক আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় আমরা এজাহারভুক্ত আসামী হওয়ায় পলাতক থাকার সুবাদে রফিক গং আমাদের বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুর করে ৮/১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আবাসপত্র তছনছ করে ফেলে এবং প্রতিনিয়ত আমাদের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে।
রফিক আরোও জানান, ৫ জুন মারামারির ঘটনায় আমার বাবা গুরুতর আহত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য আমি ঢাকাতে নিয়ে যাই। পরে ২৮ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বাবা মৃত্যুবরন করেন। বিগতদিনে এলাকায় কি হয়েছে, না হয়েছে আমি তা জানি না। লোকমুখে জানতে পারি সোরহাবের মেয়ের জামাই তার শ্বশুড়বাড়ি থেকে সকল জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং বাড়িঘর ভাংচুর করেন।
এ সময় রফিক দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
রফিকের মা জানায়, আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। ওরা আমার বৃদ্ধস্বামীকে পিটিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে।
এলাকাবাসী জানান, রফিক গং তাদের প্রাপ্য ওয়ারিশ আগেই বিক্রি করেছে। যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব সে জমিতে রফিকদের কোনো অধীকার নেই। সেই জমির রেকর্ডভুক্ত মালিক সোরহাব। রফিক একটি ভুয়া দলীল করে উক্ত জমি দখলে নেয়ার পায়তারা করে।
সিরাজ ড্রাইভার সহ স্হানীয় আরোও অনেকেই জানান, জহুর আলীর ছেলে রফিক ও তার বোন জামাই সেলিমের নেতৃত্বে সোরহাবের বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
এদিকে সংবাদ কর্মীদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার সহযোগীতা করার অভিযোগে রফিক ও তার সহযোগী মিন্টুর লোকজন রাজা মিয়া নামের এক ব্যাক্তিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে রফিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব সে জমির মালিক মূলত সোরহাবের মা। আর রফিকের মা ওয়ারিশের মালিক হলেও কয়েক মাস আগে তার ভাগের অংশ তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে সোরহাব গং উক্ত জমিতে চাষাবাদের জন্য গেলে রফিক গং বাঁধা প্রদান করে। এ নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিয়ে দু- পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে উক্ত এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এসব ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বাদী- বিবাদী উভয়পক্ষই ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, রফিক ও সোরহাব সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। ওয়ারিশের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধে গত ৫ই জুন বিবাদমান জমিতে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জহুর আলী (৭০) সহ ১৩ জন আহত হন। আহতদের ঘাটাইল ও টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে আহত জহুর আলীকে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তার শারীরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে গত ২৮ জুন তারিখে জহুর আলী মৃত্যুবরণ করেন।
অভিযোগকারী সোরহাব আলী জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৫ জুন রফিক ও জহুর আলীর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের সঙ্গবদ্ধ দল লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর এলোপাথারী হামলা চালায়। এসময় আমরা মারাত্মকভাবে ৭ জন আহত হয়ে ঘাটাইল হাসপাতালে ভর্তি হই। ঐ সময় তাদেরই অসর্তকতা বশত এলোপাথাড়ি লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয় রফিকের বাবা জহুর আলী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সোরহাব আলী আরো বলেন, এ ঘটনায় রফিক আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় আমরা এজাহারভুক্ত আসামী হওয়ায় পলাতক থাকার সুবাদে রফিক গং আমাদের বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুর করে ৮/১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আবাসপত্র তছনছ করে ফেলে এবং প্রতিনিয়ত আমাদের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে।
রফিক আরোও জানান, ৫ জুন মারামারির ঘটনায় আমার বাবা গুরুতর আহত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য আমি ঢাকাতে নিয়ে যাই। পরে ২৮ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বাবা মৃত্যুবরন করেন। বিগতদিনে এলাকায় কি হয়েছে, না হয়েছে আমি তা জানি না। লোকমুখে জানতে পারি সোরহাবের মেয়ের জামাই তার শ্বশুড়বাড়ি থেকে সকল জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং বাড়িঘর ভাংচুর করেন।
এ সময় রফিক দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
রফিকের মা জানায়, আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। ওরা আমার বৃদ্ধস্বামীকে পিটিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে।
এলাকাবাসী জানান, রফিক গং তাদের প্রাপ্য ওয়ারিশ আগেই বিক্রি করেছে। যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব সে জমিতে রফিকদের কোনো অধীকার নেই। সেই জমির রেকর্ডভুক্ত মালিক সোরহাব। রফিক একটি ভুয়া দলীল করে উক্ত জমি দখলে নেয়ার পায়তারা করে।
সিরাজ ড্রাইভার সহ স্হানীয় আরোও অনেকেই জানান, জহুর আলীর ছেলে রফিক ও তার বোন জামাই সেলিমের নেতৃত্বে সোরহাবের বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
এদিকে সংবাদ কর্মীদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার সহযোগীতা করার অভিযোগে রফিক ও তার সহযোগী মিন্টুর লোকজন রাজা মিয়া নামের এক ব্যাক্তিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে রফিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব সে জমির মালিক মূলত সোরহাবের মা। আর রফিকের মা ওয়ারিশের মালিক হলেও কয়েক মাস আগে তার ভাগের অংশ তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে সোরহাব গং উক্ত জমিতে চাষাবাদের জন্য গেলে রফিক গং বাঁধা প্রদান করে। এ নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিয়ে দু- পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।