বিশ্বজমিন
হুয়াওয়েকে নিয়ে এবার চীন-বৃটেন বাকযুদ্ধ
মানবজমিন ডেস্ক
৭ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
চীনকে ‘শত্রুভাবাপন্ন’ দেশ হিসেবে বিবেচনা করলে, তার পরিণতি ভোগ করতে বৃটেনকে। সোমবার বৃটেনের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করার জন্য হুয়াওয়েকে অনুমোদন দেয়ার প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিং। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৃটেনে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করতে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে কথা চলছে। তবে গত সপ্তাহে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, হুয়াওয়েকে এই কাজের অনুমোদন দেয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন তিনি। তিনি জানান, বৃটিশ সরকার চায় না তাদের কোনো অবকাঠামো ‘সম্ভাব্য শত্রুভাবাপন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের’ নিয়ন্ত্রণে থাকুক। জনসনের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন।
সোমবার চীনা রাষ্ট্রদূত শিয়াওমিং বলেন, আমরা আপনাদের বন্ধু হতে চাই। আমরা আপনাদের সহযোগী হতে চাই। কিন্তু আপনারা যদি চীনকে শত্রুভাবাপন্ন রাষ্ট্র বানাতে চান, তাহলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের ব্যবসায়ি সম্প্রদায় দেখছে আপনারা হুয়াওয়েকে কিভাবে সামলাচ্ছেন। আপনারা হুয়াওয়েকে অনুমোদন না দিলে, তা অন্যান্য চীনা ব্যবসায়ীদের কাছে অত্যন্ত অশুভ বার্তা পাঠাবে।
তিনি সতর্ক করেন, হুয়াওয়েকে কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটলে, মুক্ত বাণিজ্যের সমর্থক হিসেবে বৃটেনের ভাবমূর্তি ক্ষুণè হবে। তিনি আরো বলেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে শত্রুতা তৈরি করা ‘বৃটেনের স্বার্থের’ জন্য ভালো নয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বৃটেনের সরকারি এক তদন্তে হুয়াওয়ের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ায় তাদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সরবরাহের ক্ষমতা সীমিত হয়েছে। এমতাবস্থায় তারা সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে পারবে কিনা তা, অত্যন্ত গুরুতর একটি প্রশ্ন।
এছাড়া সম্প্রতি চীন নিয়ন্ত্রিত হংকং-এ জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ হওয়া নিয়েও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। বৃটেনের সাবেক উপনিবেশ হংকং ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে ফেরত যায়। বৃটেন বলছে, নতুন পাশ হওয়া এই আইন ‘৯৭ সালে বৃটেন ও চীনের স্বাক্ষরিত চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘণ। এই আইনের মাধ্যমে হংকং-এর স্বায়ত্বশাসনের অবসান ঘটবে। বৃটেন হংকং-এর বাসিন্দাদের নিজ দেশে বসবাসের অনুমতি ও নাগরিকত্ব প্রদানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৃটেনে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করতে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে কথা চলছে। তবে গত সপ্তাহে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, হুয়াওয়েকে এই কাজের অনুমোদন দেয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন তিনি। তিনি জানান, বৃটিশ সরকার চায় না তাদের কোনো অবকাঠামো ‘সম্ভাব্য শত্রুভাবাপন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের’ নিয়ন্ত্রণে থাকুক। জনসনের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন।
সোমবার চীনা রাষ্ট্রদূত শিয়াওমিং বলেন, আমরা আপনাদের বন্ধু হতে চাই। আমরা আপনাদের সহযোগী হতে চাই। কিন্তু আপনারা যদি চীনকে শত্রুভাবাপন্ন রাষ্ট্র বানাতে চান, তাহলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের ব্যবসায়ি সম্প্রদায় দেখছে আপনারা হুয়াওয়েকে কিভাবে সামলাচ্ছেন। আপনারা হুয়াওয়েকে অনুমোদন না দিলে, তা অন্যান্য চীনা ব্যবসায়ীদের কাছে অত্যন্ত অশুভ বার্তা পাঠাবে।
তিনি সতর্ক করেন, হুয়াওয়েকে কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটলে, মুক্ত বাণিজ্যের সমর্থক হিসেবে বৃটেনের ভাবমূর্তি ক্ষুণè হবে। তিনি আরো বলেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে শত্রুতা তৈরি করা ‘বৃটেনের স্বার্থের’ জন্য ভালো নয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বৃটেনের সরকারি এক তদন্তে হুয়াওয়ের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ায় তাদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সরবরাহের ক্ষমতা সীমিত হয়েছে। এমতাবস্থায় তারা সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে পারবে কিনা তা, অত্যন্ত গুরুতর একটি প্রশ্ন।
এছাড়া সম্প্রতি চীন নিয়ন্ত্রিত হংকং-এ জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ হওয়া নিয়েও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। বৃটেনের সাবেক উপনিবেশ হংকং ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে ফেরত যায়। বৃটেন বলছে, নতুন পাশ হওয়া এই আইন ‘৯৭ সালে বৃটেন ও চীনের স্বাক্ষরিত চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘণ। এই আইনের মাধ্যমে হংকং-এর স্বায়ত্বশাসনের অবসান ঘটবে। বৃটেন হংকং-এর বাসিন্দাদের নিজ দেশে বসবাসের অনুমতি ও নাগরিকত্ব প্রদানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।