বাংলারজমিন
‘বিতর্কিত’ সেই সাব-রেজিস্ট্রার ফের আড়াইহাজারে
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
৭ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন
বিতর্কিত সেই সাব-রেজিস্ট্রার এসএম শফিউল বারী নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ফের যোগদান করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, তিনি উর্ধ্বতন মহলকে নানাভাবে ম্যানেজ করে চলতি বছরের ২৫শে জুন খণ্ডকালীন হিসেবে এখানে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর স্থানীয় দলিল সমিতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমির ক্রেতা ও বিক্রেতারা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে সরকারের মোটা অংকের অর্থ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এছাড়াও প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের একটি (ভিডিও) ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক হৈচৈ পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক সাব-রেজিস্ট্রার শফিউল বারী, অফিস সহকারী সুমিতা রানী ও রূপগঞ্জের ওমেদার জাকির হোসেনকে প্রত্যাহার করে নেয়া হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। অপরদিকে ক্ষুব্ধ হয়ে ছালেহ উদ্দিন আহমেদ নামে একব্যক্তি চলতি মাসের ২রা জুলাই শফিউল বারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, আইন বহির্ভূতভাবে একটি দলিলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। দলিল নং-১৪,৭৫২। তারিখ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ইং। এতে সরকার ৬ লাখ, ৪৬ হাজার, ৯৯০ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তবে ওই অর্থ আত্মসাত করে ফেলেন এসএম শফিউল বারী। এনিয়ে চলতি বছরের ৯ই ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরদিন ১০ই ফেরুয়ারি সাব-রেজিস্ট্রার আইন বহির্ভূতভাবে আড়াইহাজার শাখায় সোনালী ব্যাংকে দুইটি প্রে-অর্ডার ও এনআরবি ব্যাংক একটি প্রে-অর্ডারের মাধ্যমে আত্মসাতের ওই টাকা জমা করেন। আড়াইহাজার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত দুদিন ধরে এসএম শফিউল বারী অফিস করছেন না। নাম না প্রকাশের শর্তে দলিল লেখক সমিতির এক সদস্য বলেন, ‘বিতর্কিত সাব-রেজিস্ট্রার শফিউল বারী জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারের মোটা অংকের অর্থ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। এতো বড় অপরাধ করে তিনি কিভাবে ফের আড়াইহাজার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদানের সুযোগ পেলেন। ফের তার যোগদানে সবাই হতবাক হয়েছে।’ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ওমেদার হাফেজ জানান, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় সন্দেহ করে তাকে সহ নৈশপ্রহরী আল-আমিন, নকলনবিস নার্গিছ, নকলনবিস ওম্মেহানি ও মহড়ার শেফালীকে গত রোববার বিকালে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়। হাফেজ আরো বলেন, আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্র্রার অফিস (ডিআর) স্যারকে অবহিত করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাব-রেজিস্ট্রার এসএম শফিউল বারী মানবজমিনকে বলেন, আমি এখন দলিল লেখার কাজে ব্যস্ত। সামনাসামনি দেখা করার প্রস্তাব দেন তিনি।