বাংলারজমিন

বাঁচতে চায় পাকুন্দিয়ার ক্যান্সার আক্রান্ত মনি

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

৬ জুলাই ২০২০, সোমবার, ৭:২৯ পূর্বাহ্ন

 সবেমাত্র কৈশোরে পা দিয়েছে। সহপাঠীদের সঙ্গে হুই-হুল্লোড় করে সময় কাটানোর কথা। রঙিন স্বপ্ন নিয়ে পড়ার টেবিলে মন দেয়ার কথা। কিন্তু এ বয়সে শরীরে ধরা পড়েছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। নিমিষেই সব রঙিন স্বপ্ন যেন ফিকে হয়ে গেছে। দরিদ্র বাবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। মেয়েকে বাঁচাতে মায়ের আহাজারি যেন আকাশ-পাতাল এক করে দিচ্ছে।
বলা হচ্ছে সালমনি আক্তার মনির (১৪) কথা। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। পড়াশোনায় খুবই মেধাবী। তার বাবা উপজেলার ছোটআজলদী গ্রামের নজরুল ইসলাম। যিনি পেশায় একজন গাড়িচালক। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মনি দ্বিতীয়। গাড়ি চালানোর টাকা দিয়েই চলে নজরুল ইসলামের ছয় সদস্যের সংসার।
গত জানুয়ারি মাসে মনির শরীরে ধরা পড়েছে মরণব্যাধি ‘বোন ক্যান্সার’। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন চিকিৎসা করতে লাগবে ৬ লাখ টাকা। দরিদ্র গাড়িচালক বাবা ধারদেনা করে ইতিমধ্যে ৩ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা চালিয়ে এসেছেন। আর পারছেন না। ভিটেমাটি ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তাদের। তাই মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, টিনশেড ছোট একটি ঘর। সে ঘরের বিছানায় নিস্তেজ পড়ে আছে মনি। ক্রমশ ফুলে উঠেছে তার ডান পায়ের হাঁটু। ক্ষীণ হয়ে আসছে চক্ষুযুগল। পাশেই বসে আহাজারি করছেন অসহায় মা বীণা ইসলাম।
বীণা জানান, গত জানুয়ারি মাসে মেয়ের হাঁটু ফুলাসহ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন ‘বোন ক্যান্সার’ হয়েছে মনির। কিছুদিন চিকিৎসার পর তাকে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। গত ২৭শে মে সেখানে গিয়ে খুব কষ্টে চিকিৎসকের দেখা পেলেও করোনাভাইরাসের কারণে যথাযথ চিকিৎসা পাননি। রিপোর্ট দেখে বোন ক্যান্সার নিশ্চিত হয়ে কেমোথেরাপি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন সেখানকার চিকিৎসকরা। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হবে। অর্থাভাবে সেখান থেকে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় মেয়েকে নিয়ে গত ২৫শে জুন বাড়িতে ফিরে আসেন।
মনির অসহায় বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন দরিদ্র গাড়িচালক। ইতিমধ্যে মেয়ের চিকিৎসায় ধারদেনা করে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছি। আমি আর পারছি না। এক একটি কেমো ইনজেকশনের দাম ২৮ হাজার টাকা। মেয়ের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসতে সমাজের বিত্তবানসহ সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন তিনি।
ক্যান্সারে আক্রান্ত মনির চিকিৎসার্থে এগিয়ে আসতে পারেন আপনিও। আপনার একটু সাহায্য পেলে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে সে। সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করতে পারেন মনির বাবার মুঠোফোনে। মো. নজরুল ইসলাম, মোবাইল-০১৭৫২৭১১০২৮ (বিকাশ)।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status