এক্সক্লুসিভ

শনাক্ত

৬ জুলাই ২০২০, সোমবার, ৮:২০ পূর্বাহ্ন

ফেনীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯শ’ ছাড়ালো, মৃত্যু ১৭
ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯শ’ ছাড়িয়েছে। জেলায় আক্রান্তের ৮১তম দিনে এসে ৯০২ জনে দাঁড়িয়েছে রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১৭ জন। রোববার পর্যন্ত জেলায় ৬২১ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এস আর মাসুদ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়,  গত ১৬ই এপ্রিল ফেনীতে প্রথম এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। শনাক্তের ৮১তম দিনে এসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০২ জনে। এদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ৩৫৪, দাগনভূঞায় ১৯১, সোনাগাজীতে ১৫১, ছাগলনাইয়ায় ১১৩, ফুলগাজীতে ৪৪, পরশুরামে ৩৬ ও ফেনীর বাইরের জেলার ১৩ জন রোগী রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিশু রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ ১৮ জনকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আক্রান্ত ১৩ জন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। অপর আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে ফেনীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৮ জন সোনাগাজীর, ৫ জন ফেনী সদরের, ২ জন ছাগলনাইয়ার ও ২ জন দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা। তবে ফেনীতে আক্রান্ত অনেক রোগী উন্নত চিকিৎসা নিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেলেও মৃতব্যক্তির সংখ্যা ফেনীর স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকায় যোগ হয়নি। অপরদিকে রোববার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ঘণ্টায় নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এদের মধ্যে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। রোববার নতুন করে আরো ৮০ জনের নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সমন্বয়ক ডা. মো. শরফুদ্দিন মাহমুদ জানান, রোববার পর্যন্ত জেলায় ৫২২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫০৫৮ জনের প্রতিবেদন পেয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এখনো নমুনা প্রতিবেদনের ফল অপেক্ষমান রয়েছে ১৬৬ জনের।
মৌলভীবাজারে নতুন শনাক্ত ৩৫  
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে একদিনে নতুন করে আরো ৩৫ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন । গত ১ ও ২রা জুলাই এই রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. তাউহিদ আহমদ গতকাল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন । তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১২, রাজনগরে ৫,  কুলাউড়ায় ৭, জুড়িতে ২, কমলগঞ্জে ৩, শ্রীমঙ্গলে ৩ ও বড়লেখায় ৩ জন রয়েছেন । জেলায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী ৫৫৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২৭৭ জন। এই জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৪ঠা এপ্রিল রাজনগর উপজেলায়। এদিকে মৌলভীবাজারে প্রতিদিনই করোনা রোগী শনাক্ত হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা খুবই কম দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারে আছে উদাসীনতা। কোনো কোনো সময় দেখা যায় শনাক্ত হওয়ার পরও করোনা রোগী নিজ কর্মস্থলে যাওয়া আসা করছেন, হাটেবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন এক ঘটনা শহরের রিয়াছত উল্লাহ সড়কে ঘটলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরে পৌরসভার কাউন্সিলর আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে ঐ ব্যক্তির বাসায় লাল পতাকা টানিয়ে দেন।
নীলফামারীতে নতুন শনাক্ত ৪১
নীলফামারী প্রতিনিধি: একদিনে ৪১ জনের দেহে করোনা শনাক্তের খবরে গোটা জেলায় বেশ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যদিওবা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত ২-৩ দিনের জমে থাকা নমুনার ফলাফল এক সঙ্গে পাওয়ায় শনাক্তের সংখ্যা বেশি হয়েছে। সূত্র জানায়, গোটা জেলায় ৪০৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হলেও সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৯৩ জন। মৃত্যুর তালিকায় আরো একজন যোগ হয়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিলম্বে ফলাফল পাওয়া নিয়ে। গতকাল স্বাস্থ্য বিভাগ যে ৪১ জনের দেহে করোনা শনাক্তের খবর দিয়েছে, তাদের বেশির ভাগরই ফলাফল পাওয়া গেছে ৮ থেকে ১০ দিনের মাথায়। অনেক বিলম্বে শনাক্ত হওয়ায় তাদের দ্বারা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছাড়াও ঘরের বাইরেরও অনেকে ঝুঁকিতে পড়েছেন। ৪ঠা জুলাই পর্যন্ত জেলার ৩৫৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও ফল পাওয়া গেছে ৩৪৪৪ জনের।
ঝিনাইদহে করোনায় মৃত বলে কাছে এলো না স্বজনরা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: করোনায় মৃত বলে দাফনকারী টিমকে কোনো খাটিয়া দেয়া হয়নি। আসেননি কোনো স্বজনও। অগত্যা গভীর রাতে ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের লাশ দাফনকারী কমিটি এম্বুলেন্সে রেখেই মৃত ব্যক্তির জানাজা সম্পন্ন করেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে জেলার শৈলকুপা পৌরসভার মধ্যপাড়ায়। এই পাড়ায় মৃত রফি উদ্দীন মোল্লার প্রকৌশলী ছেলে গোলাম সরওয়ার মোর্শেদ (৫২) চট্টগ্রাম রেলওয়েতে প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন। সেখানে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি গত ২৯শে জুন শৈলকুপার বাড়িতে আসেন এবং পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ আসে। গত বুধবার গোলাম সরওয়ার মোর্শেদ কুষ্টিয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রাতে লাশ বাড়ি আসার পর কোনো আত্মীয়-স্বজন আসেননি। গ্রামবাসী তার জানাযা পড়ানোর জন্য একটি খাটিয়াও দেয়নি। অগত্যা ইসলামী ফাউন্ডেশনের লাশ দাফনকারী কমিটি মোর্শেদের লাশ এম্বুলেন্সে রখেইে জানাজা সম্পন্ন করে দাফন করে। ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দিন যতই যাচ্ছে আমরা নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছি। তিনি বলেন গ্রামবাসীর অসহযোাগতার ফলে আমরা শৈলকুপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে লাশটি দাফন করতে সক্ষম হই। উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৬ জন করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিকে সমাহিত করা হয়েছে।
জামালপুরে নতুন শনাক্ত ৩৩
জামালপুর প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে একজন চিকিৎসক, র‌্যাব সদস্য ও ব্যাংক কর্মর্কতার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত শনিবার রাতে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে দুই দফায় ১৭৮টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ৩৩ জনের করোনা  পজেটিভ রিপোর্ট আসে। শনিবার (৪ঠা জুলাই) ওই ব্যক্তিদের দেহে  করোনা পজেটিভ  রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন জামালপুর সদরে ২৩, ইসলামপুরে ৫, মাদারগঞ্জে ২ ও সরিষাবাড়ীতে ৩ জন। জামালপুর সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস গত শনিবার সকালে জানান, জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জন করোনা শনাক্ত হয়। ওই ব্যক্তিরা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ও নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়েছিল। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৩১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইসলামপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক, একজন স্বাস্থ্যকর্মী, র‌্যাব ১৪-এর এক সদস্য, সিটি ব্যাংকের এক চাকরিজীবী, পোষ্ট অফিসের চার চাকরিজীবীসহ ওইসব ব্যক্তিদের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাদের নমুনা পরীক্ষাতে করোনা পজেটিভ  রিপোর্ট আসে। জেলায় ২৯ জন চিকিৎসক, একজন পল্লী চিকিৎসক ও ৭৭ জন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১১ জন বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৬৩১ জন করোনা আক্রান্তে মধ্যে মারা গেছেন ৯জন। হোম আইসোলেশনে থাকা দুইজন চিকিৎসকসহ অন্য আরেক জন ঢাকায় এবং ৩ জনকে ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়। এছাড়াও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ইউনিট থেকে ছাড়প্রত্র নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩৮ জন। জেলায় মোট আক্রান্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে জামালপুর সদরে ২৩৭, মেলান্দহে ৭৯, মাদারগঞ্জে ৪৩, ইসলামপুরে ১১৪, সরিষাবাড়ীতে ৬১, দেওয়ানগঞ্জে ৩৬ ও বকশিগঞ্জে ৫৭ জন ।
বাসাইলে করোনায় আক্রান্ত ১৯ মাসের শিশু
বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইলে ১৯ মাসের এক কন্যাশিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত শিশু মাইশা উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সুন্না মধ্যপাড়া গ্রামের গোপীবাড়ির ড্রাইভার মাসুদুল হকের মেয়ে। এ নিয়ে বাসাইলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোমোট ১৫ জন। রোববার (৫ই জুলাই) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজুর রহমান এতথ্য জানিয়েছেন। মাইশা’র পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশিতে আক্রান্ত হলে তাকে টাঙ্গাইলের ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং এ সংক্রান্ত টেস্ট করানো হয়। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (২রা জুলাই) তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রোববার সকালে মাইশা’র রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ডা. ফিরোজুর রহমান বলেন, শিশুটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে তার নমুনা নেয়া হয়। তার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ এসেছে। সবমিলে উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ জনে।  উল্লেখ্য, গত বছর মাইশা’র ২৪ মাস বয়সের এক ভাই জ্বর, ঠাণ্ডায় মারা যায়।  
কালীগঞ্জে নতুন শনাক্ত ১০
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় রোববার নতুন করে একই পরিবারের ৫ জনসহ মোট দশজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৬ জনে। যার মধ্যে মারা গেছেন তিনজন ও সুস্থ হয়েছেন ৩১ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুলতান আহমেদ। ডা. সুলতান আহমেদ আরো জানান, রোববার সকালে নতুন করে ২৫টি নমুনার রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে ১০টি নমুনার রিপোর্ট পজেটিভ বাকি ১৫টি নেগেটিভ। উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের একই পরিবারের ৫ জন, ফয়লার ২ জন, পাইকপাড়ার ১ জন, কলেজপাড়ার ১ জন ও ঘিঘাটি গ্রামের একজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সকলকে বাড়িতে রেখে মোবাইলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, রোববার সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ৩৪টি নমুনার রিপোর্টে নতুন ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ঝিনাইদহ সদরের ৩ জন ও কালীগঞ্জের ১০ জন । এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৭ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
সৈয়দপুরে মেয়রসহ নতুন শনাক্ত ১২  
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সেয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন সরকার করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। শনিবার (৪ঠা জুলাই) বিকালে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাব থেকে পাঠানো ফলাফলে তার কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। পৌর মেয়র লকডাউনের সময় পৌর এলাকায় বিভিন্নস্থানে ত্রাণ ও সেবামূলক কাজে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। এ সময় সেবা দিতে গিয়ে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়েছে তাকে। ধারণা করা হচ্ছে সেই সূত্রে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে পৌর মেয়র ছাড়াও পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অহিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধাসহ উপজেলায় নতুন করে ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
এরমধ্যে পৌর এলাকার ৭ জন কাশিরাম ইউনিয়নের ৩ জন, কামারপুকুর ইউনিয়নের ১ জন ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ১ জন রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু মো. আলেমুল বাসার। আক্রান্তদের ২১ জুন থেকে ৩০শে জুন ও ১লা জুলাই থেকে ২রা জুলাই পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ বলেন, ২১শে জুন থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত সংগৃহীত নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল বলে ফলাফল আসতে দেরি হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হওয়া সবার বাড়ি ও আশপাশের বাড়িগুলো লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে।
পটুয়াখালীতে নতুন শনাক্ত ৪০  
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত দুইদিনে  নতুন আক্রান্ত ৪০ জনসহ  জেলায় মোট আক্রান্ত ৪৭৭ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে জেলা এ্যাকাউন্টেন্ট রয়েছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২  জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০৮ জন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশনে আছে ২৫ জন। বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ৩৭৭ জন। জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪,৬২৯ জনের। জেলায় করোনায় মৃত ২২ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪ জন, বাউফলে ৭ জন, দুমকিতে ৩ জন, কলাপাড়ায় ২ জন, গলাচিপায় ৩ জন, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় ১ জন করে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান। বাউফল উপজেলায় মৃত্যুর হার বেশি। বাউফলের সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা জানান, ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় বড় শহরে বাউফলের মানুষ বেশি। রাজধানী ঢাকায় করোনার ঝুঁকি বেশি। ঢাকায় বসে বাউফলের মানুষ  করোনায় আক্রান্ত হয়ে গোপনে এলাকায় এসে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানায় এ উপজেলায় আক্রান্তের হার বেশি এবং মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি বলে সচেতন ব্যক্তিরা জানান। তারা বাউফল উপজেলায় সরকারের নির্দেশনা, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status