খেলা
তদন্তে কিছু পায়নি লঙ্কান পুলিশ
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় নেই আইসিসি’র
স্পোর্টস ডেস্ক
৫ জুলাই ২০২০, রবিবার, ৮:১৪ পূর্বাহ্ন
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে ফিক্সিং অভিযোগের উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় শুক্রবার তদন্তের ইতি টেনেছে শ্রীলঙ্কা পুলিশের ইন্ডিপেনডেন্ট স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। এরপর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) জানিয়ে দেয়, ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের ‘স্বচ্ছতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই’। ওই ম্যাচ নিয়ে আইসিসি কোনও তদন্ত করবে না বলেও জানিয়েছে তারা। আইসিসি’র দুর্নীতি দমন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। আইসিসি ইন্টিগ্রিটি ইউনিট ফাইনাল নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী ফাইনাল নিয়ে তদন্ত করা যায় এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে পেশ করা হয়নি। অভিযোগকারী শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছ থেকেও কোন চিঠি পাওয়া যায়নি। যদি কারও কাছে এই ম্যাচ বা অন্য কোনও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয় সম্পর্কিত কোন প্রমাণ থাকে তবে আমরা তাদেরকে আইসিসি ইন্টিগ্রিটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করব।’
৯ বছর পর গত মাসে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুতগামাগে দাবি করেন, ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি পাতানো ছিল। ভারতের কাছে শিরোপা বিক্রি করেছিল শ্রীলঙ্কা এমন অভিযোগ করেন তিনি। তদন্ত শুরু করে লঙ্কান পুলিশের ইন্ডিপেনডেন্ট স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। প্রায় ছয় ঘণ্টা জেরা করা হয় সেই সময়কার প্রধান নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভাকে। তৎকালীন অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকে দশ ঘণ্টা জেরা করা হয় বৃহস্পতিবার। ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও মাহেলা জয়াবর্ধনেও বাদ যাননি। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটির ইনচার্জ জগত ফোনসেকা বলেন, ‘ক্রিকেটারদের ব্যাখ্যায় আমরা সন্তুষ্ট। এ বিষয়ে আর তদন্ত হবে না।’ ভারতের কাছে হেরে যাওয়া ওই ফাইনালের একাদশে আগের ম্যাচের একাদশ থেকে চারটি পরিবর্তন এনেছিল শ্রীলঙ্কা। বিশেষত রঙ্গনা হেরাথ ও অজন্তা মেন্ডিসকে না খেলিয়ে বিশ্বকাপে একটা ম্যাচও না খেলা সুরাজ রনদীপকে কেন একাদশে রাখা হয় সেটা প্রশ্ন। সেই পরিবর্তনের ব্যাখ্যা চাওয়া হয় সেই সময়ের অধিনায়ক সাঙ্গাকারা ও প্রধান নির্বাচকের কাছে। জগত ফোনসেকা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন ফাইনালের চার পরিবর্তন নিয়ে। তাদের যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যায় আমরা সন্তুষ্ট।’ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৬ উইকেটে ভারতের কাছে হারে শ্রীলঙ্কা। গত নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ ফিক্সিংকে ফৌজদারি আইনে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অপরাধে শাস্তি হতে পারে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে ১০ কোটি রুপি।
৯ বছর পর গত মাসে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুতগামাগে দাবি করেন, ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি পাতানো ছিল। ভারতের কাছে শিরোপা বিক্রি করেছিল শ্রীলঙ্কা এমন অভিযোগ করেন তিনি। তদন্ত শুরু করে লঙ্কান পুলিশের ইন্ডিপেনডেন্ট স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। প্রায় ছয় ঘণ্টা জেরা করা হয় সেই সময়কার প্রধান নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভাকে। তৎকালীন অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকে দশ ঘণ্টা জেরা করা হয় বৃহস্পতিবার। ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও মাহেলা জয়াবর্ধনেও বাদ যাননি। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটির ইনচার্জ জগত ফোনসেকা বলেন, ‘ক্রিকেটারদের ব্যাখ্যায় আমরা সন্তুষ্ট। এ বিষয়ে আর তদন্ত হবে না।’ ভারতের কাছে হেরে যাওয়া ওই ফাইনালের একাদশে আগের ম্যাচের একাদশ থেকে চারটি পরিবর্তন এনেছিল শ্রীলঙ্কা। বিশেষত রঙ্গনা হেরাথ ও অজন্তা মেন্ডিসকে না খেলিয়ে বিশ্বকাপে একটা ম্যাচও না খেলা সুরাজ রনদীপকে কেন একাদশে রাখা হয় সেটা প্রশ্ন। সেই পরিবর্তনের ব্যাখ্যা চাওয়া হয় সেই সময়ের অধিনায়ক সাঙ্গাকারা ও প্রধান নির্বাচকের কাছে। জগত ফোনসেকা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন ফাইনালের চার পরিবর্তন নিয়ে। তাদের যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যায় আমরা সন্তুষ্ট।’ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৬ উইকেটে ভারতের কাছে হারে শ্রীলঙ্কা। গত নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ ফিক্সিংকে ফৌজদারি আইনে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অপরাধে শাস্তি হতে পারে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে ১০ কোটি রুপি।