বিশ্বজমিন
সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জনসংখ্যা সীমিত রাখতে নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধ্য করছে চীন
মানবজমিন ডেস্ক
৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর জনসংখ্যা সীমিত রাখতে নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধ্য করছে চীন। শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর নারীদের জোরপূর্বকভাবে স্টেরিলাইজ করা হচ্ছে বা জন্ময়িন্ত্রক ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন জার্মান গবেষক আদ্রিয়ান জেনজ। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি।
খবরে বলা হয়, চীনের আঞ্চলিক সরকারি উপাত্ত, নীতিমালা বিষয়ক নথিপত্র ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর নারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি কওরে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন জেনজ। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর শিনজিয়াংয়ে চীনের নীতিমালা নিয়ে তদন্ত করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আইনপ্রণেতাদের একটি দল। ধারণা করা হচ্ছে, এ পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হবে চীন সরকার। এর আগে শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের গর্হিত নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসারে, শিনজিয়াংয়ে কয়েক লাখ উইঘুর মুসলিমকে পুনঃশিক্ষণ শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে।
শিবিরগুলোয় তাদের মগজধোলাই করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে চীন সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সোমবারের প্রতিবেদনে জন্মনিয়ন্ত্রণে নারীদের বাধ্য করার অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।
গার্ডিয়ান জানায়, জেনজের প্রতিবেদনটি শিনজিয়াংয়ে চীনের নীতিমালা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। প্রতিবেদনটি অনুসারে, উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর নারীদের সন্তান জন্মদিন নিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারা যেন জন্মদানের কোটা অতিক্রম না করে সেজন্য নারীদের গর্ভধারণ এড়াতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। জেনজ তার প্রতিবেদন তৈরিতে চীনের ইন্টারনেটে বিদ্যমান সরকারি তথ্য ব্যবহার করেছেন।
জেনজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে নারীদের সর্বোচ্চ দুটি সন্তান জন্মদানের বৈধতা রয়েছে। যেসব নারীদের সন্তানের সংখ্যা এর চেয়ে কম তাদের জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেক নারী জানিয়েছেন, তাদের স্টেরিলাইজেশন সার্জারি করাতে বাধ্য করা হয়েছে। বন্দি শিবিরের সাবেক বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের এমন ইনজেকশন দেয়া হয়েছিল, যেটি গ্রহণের পর তাদের পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যেত বা অস্বাভাবিকরকমের রক্তক্ষরণ হতো। সাধারণত, জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের ক্ষেত্রে এমন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সরকারি তথ্য উদ্ধৃত কওরে জেনজ তার প্রতিবেদনে লিখেন, প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের বাধ্যতামূলক গাইনি পরীক্ষা দিতে হয় ও প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করাতে হয়।
জেনজ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, শিনজিয়াংয়ের কাউন্টিগুলোয় সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশের গড় হারের চেয়ে নিচে নেমে এসেছে। বিশেষ করে ‘হান চীনা; সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্টিগুলোয় এ নজির সবচেয়ে স্পষ্ট। জেনন উল্লেখ করেন, সরকারি তথ্যানুসারে, ২০১৬ সাল থেকে শিনজিয়াংয়ে স্টেরিলাইজেশনের হার জাতীয় হারের তুলনায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
উত্তর আমেরিকান, ইউরোপিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান সাংসদদের নিয়ে গঠিত চীন বিষয়ক জোট ‘ইন্টার-পার্লামেন্টারি এলায়েন্স অন চায়না (আইপেক)’ জানিয়েছে, তারা শিনজিয়াংয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ বা গণহত্যা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চালু করতে আইনি পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধ্য করা বিষয়ক সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলেছে, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে।
খবরে বলা হয়, চীনের আঞ্চলিক সরকারি উপাত্ত, নীতিমালা বিষয়ক নথিপত্র ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর নারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি কওরে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন জেনজ। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর শিনজিয়াংয়ে চীনের নীতিমালা নিয়ে তদন্ত করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আইনপ্রণেতাদের একটি দল। ধারণা করা হচ্ছে, এ পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হবে চীন সরকার। এর আগে শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের গর্হিত নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসারে, শিনজিয়াংয়ে কয়েক লাখ উইঘুর মুসলিমকে পুনঃশিক্ষণ শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে।
শিবিরগুলোয় তাদের মগজধোলাই করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে চীন সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সোমবারের প্রতিবেদনে জন্মনিয়ন্ত্রণে নারীদের বাধ্য করার অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।
গার্ডিয়ান জানায়, জেনজের প্রতিবেদনটি শিনজিয়াংয়ে চীনের নীতিমালা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। প্রতিবেদনটি অনুসারে, উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর নারীদের সন্তান জন্মদিন নিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারা যেন জন্মদানের কোটা অতিক্রম না করে সেজন্য নারীদের গর্ভধারণ এড়াতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। জেনজ তার প্রতিবেদন তৈরিতে চীনের ইন্টারনেটে বিদ্যমান সরকারি তথ্য ব্যবহার করেছেন।
জেনজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে নারীদের সর্বোচ্চ দুটি সন্তান জন্মদানের বৈধতা রয়েছে। যেসব নারীদের সন্তানের সংখ্যা এর চেয়ে কম তাদের জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেক নারী জানিয়েছেন, তাদের স্টেরিলাইজেশন সার্জারি করাতে বাধ্য করা হয়েছে। বন্দি শিবিরের সাবেক বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের এমন ইনজেকশন দেয়া হয়েছিল, যেটি গ্রহণের পর তাদের পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যেত বা অস্বাভাবিকরকমের রক্তক্ষরণ হতো। সাধারণত, জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের ক্ষেত্রে এমন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সরকারি তথ্য উদ্ধৃত কওরে জেনজ তার প্রতিবেদনে লিখেন, প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের বাধ্যতামূলক গাইনি পরীক্ষা দিতে হয় ও প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করাতে হয়।
জেনজ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, শিনজিয়াংয়ের কাউন্টিগুলোয় সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশের গড় হারের চেয়ে নিচে নেমে এসেছে। বিশেষ করে ‘হান চীনা; সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্টিগুলোয় এ নজির সবচেয়ে স্পষ্ট। জেনন উল্লেখ করেন, সরকারি তথ্যানুসারে, ২০১৬ সাল থেকে শিনজিয়াংয়ে স্টেরিলাইজেশনের হার জাতীয় হারের তুলনায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
উত্তর আমেরিকান, ইউরোপিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান সাংসদদের নিয়ে গঠিত চীন বিষয়ক জোট ‘ইন্টার-পার্লামেন্টারি এলায়েন্স অন চায়না (আইপেক)’ জানিয়েছে, তারা শিনজিয়াংয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ বা গণহত্যা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চালু করতে আইনি পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধ্য করা বিষয়ক সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলেছে, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে।