বাংলারজমিন
সিলেটে বতুশার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:৫১ পূর্বাহ্ন
সিলেটের বড়শলা এলাকার ফজলুল হক বতুশার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। এ নিয়ে তারা বেশ কয়েকটি অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগে এলাবাসী জানান, ফয়জুল হক বতুশা জায়গা দখল, জাল দলিল তৈরি, মারপিট, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি ও মসজিদের ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাছাড়া উচ্চ আদালতের জামিনের কাগজ জালিয়াতি। বিদ্যুৎ এর তিনটি লাইন অবৈধ ব্যবহার ডিফেন্স এর জায়গা দখলসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বতুশা। তার বিরুদ্ধে কোনো সচেতন মানুষ প্রতিবাদ করলে ওই ব্যক্তিকে মারপিট করে নিজস্ব বাহিনীর লোক দিয়ে নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে নানা ধরনের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করানো হয়। আর বতুশার এ সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা। বড়শলা গ্রামবাসী জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর বড়শলা মসজিদে স্বঘোষিত সেক্রেটারি পদ ধরে রাখে। ফলে মসজিদের ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে গত বছরের ১৭ই নভেম্বর ৬১ নম্বর স্মারকে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকাবাসী অভিযোগ দাখিল করেন। এর বাইরে তাদের বিরুদ্ধে ৮টি করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, হত্যা, দুদকের মামলা, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও অস্ত্র আইনের মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে বড়শালা মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি সাদ আহমদ জানান, বতুশা মসজিদের ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। লোকজনকে দিয়ে এলাকার লোকদের হুমকি দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। আর বিভিন্নজনকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করছেন। কমিউনিটি পুলিশের ওয়ার্ড সভাপতি সামাদ আহমদ জানান- বতুশা বিভিন্নজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার সাকির আহমদ জানান, বতুশা ও তার বাহিনী বর্তমানে বড়শলার আতঙ্ক। সে তার বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনকে হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় জড়িত করে। ৩ নম্বর খাদিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তারা মিয়া জানান- বতুশা একটা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে তার লোকজন দিয়ে জায়গা দখল, দালালি ও অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসীর সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে ফয়জুল হক বতুশা জানান- তার নাম ফয়জুল হক খান। বড়শলা মসজিদের কমিটি ও হিসাবনিকাশ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। তিনি জানান, তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক বর্তমানে পুলিশের কাছে জব্দ রয়েছে। বিমানবন্দর থানার ওসি শাহদাৎ হোসেন জানান- বতুশার বিরুদ্ধে একাধিক জিডি রয়েছে। আর এলাকাবাসীর দেয়া লিখিত অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তদন্তাধীন। যে কেউ অভিযোগ করলে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হয়।