এক্সক্লুসিভ

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

সিদ্দিক আলম দয়াল, গাইবান্ধা থেকে

২৯ জুন ২০২০, সোমবার, ৮:১২ পূর্বাহ্ন

 গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায়  রোববার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৫৯ সে.মি. ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জেলায় ৪টি উপজেলার সুন্দরগঞ্জের ৭টি ইউনিয়ন, গাইবান্ধা সদরের ৩টি, ফুলছড়ির ৬টি ও সাঘাটার ৩টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার লোক এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। এদিকে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট পাকা সড়কটির আধা কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সড়কের উপর দিয়ে এখন নৌকা চলাচল করছে। সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, কঞ্চিপাড়া, হরিপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর ও গিদারী, ফুলছড়ির এরেন্ডবাড়ি, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গজারিয়া, উড়িয়া ও উদাখালী এবং সাঘাটার ভরতখালী, ঘুড়িদহ ও হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় ওইসব বন্যাকবলিত মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অথবা উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী জানান, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে ৪টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status