এক্সক্লুসিভ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নথিতে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ তথ্যের অপ্রতুলতা
মানবজমিন ডেস্ক
২১ জুন ২০২০, রবিবার, ৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
প্রতি সপ্তাহে একবার বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত কিছু তথ্য-উপাত্ত পাঠায়। যেমন, কতটি টেস্ট করা হলো, ক’জন রোগী শনাক্ত হয়েছে বা মৃত্যুবরণ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সেসব উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারি বিষয়ক সাপ্তাহিক সিচুয়েশন রিপোর্ট তৈরি করে। সেই প্রতিবেদন সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেয়া হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত ডব্লিউএইচও এই ধরনের ১৬টি প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
তবে সর্বশেষ ২ সিচুয়েশন রিপোর্টে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ সরকারের দেয়া তথ্যে ঘাটতি রয়েছে অনেক। কোভিড-১৯ আক্রান্তদের বয়স, লিঙ্গ, ভৌগোলিক অবস্থান ও মৃত্যু সম্পর্কিত পর্যাপ্ত তথ্য দেয়া হয় না। মনে হতে পারে যে, সরকার কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণকারী সকলের বয়স ও লিঙ্গ অত্যন্ত জানে। কিন্তু ডব্লিউএইচও’র সাম্প্রতিক সিচুয়েশন রিপোর্ট দেখলে বোঝা যায়, বিষয়টি তা নয়।
১৫ই জুন প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্টে, ডব্লিউএইচও লিখেছে, ‘শনাক্ত হওয়া রোগীদের মাত্র ২৪ শতাংশের বয়স ও লিঙ্গ সংক্রান্ত উপাত্ত বর্তমানে উপলভ্য আছে।’ এতে আরও বলা হয়, তথ্যের এই অপ্রতুলতার মানে হলো ৯০ হাজার ৬১৯ জন রোগীর মধ্যে মাত্র ২১ হাজার ৪২৩ জন রোগীর বয়স ও লিঙ্গ কী, তা সরকার জানে। তাই ডব্লিউএইচও’র রিপোর্টে যখন বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে ২৬.৫ শতাংশ হলো ৩১-৪০ বছর বয়সী, ২৬ শতাংশ হলো ২১-৩০ বছর বয়সী, ১৮ শতাংশ হলো ৪১-৫০ বছর বয়সী, ১২ শতাংশ হলো ৫১-৬০ বছর বয়সী, তখন তাতে ভরসা রাখার জায়গা কম। কারণ, এতে ৭৬ শতাংশ রোগীর তথ্যই বাদ পড়ে গেছে। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের বয়স ও লিঙ্গ সম্পর্কে আরেকটু কিছু তথ্য আছে। কিন্তু তা-ও আংশিক। ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘কোভিড-১৯ সংক্রান্ত মৃত্যুর ৫৮.৯ শতাংশের ক্ষেত্রে উপাত্ত রয়েছে।’ অর্থাৎ, ১২০৯ জন মৃত্যুবরণকারী রোগীর মধ্যে ৭১২ জনের তথ্য আছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেই তথ্যের ঘাটতি রয়েছে তা হলো কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ভৌগোলিক অবস্থান। এই তথ্য সরকারের জানা থাকা অত্যন্ত জরুরি। সরকারি নীতি-নির্ধারণে এই তথ্যের অনেক প্রভাব থাকবে। কিন্তু ১৫ই জুনের রিপোর্টে ডব্লিউএইচও বলেছে, মাত্র ৫৭ শতাংশ রোগীর ভৌগোলিক অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। তাই যখন ডব্লিউএইচও লিখেছে যে, ৬৭ শতাংশ রোগী ঢাকা বিভাগে, ১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগে, ৩ শতাংশ ময়মনসিংহ, ২.৯ শতাংশ খুলনা, ২.৮ শতাংশ সিলেট, ২.৬ শতাংশ রংপুর, ২.২ শতাংশ রাজশাহী ও ১.৩ শতাংশ বরিশাল বিভাগে, তখন মনে রাখতে হবে যে, এখানে ৪৩ শতাংশ রোগীর হিসাব নেই। এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ সরকারের দিক থেকেই এই ঘাটতি। আইইডিসিআর-এর ওয়েবসাইটেও একই ধরনের তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক বিভাগে প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা যোগ করলে ৫২ হাজার হয়, ৯০ হাজার হয় না। এ কারণে ভবিষ্যতে সরকারি নীতি-নির্ধারণে এর নেতিবাচক প্রভাব থাকবে অনেক। যেমন, সরকার কীভাবে জানবে যে, কোথায় কোভিড-১৯ হটস্পট রয়েছে, যদি সরকার না-ই জানে যে, রোগীরা কোথায় কোথায় আছেন?
তবে সর্বশেষ ২ সিচুয়েশন রিপোর্টে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ সরকারের দেয়া তথ্যে ঘাটতি রয়েছে অনেক। কোভিড-১৯ আক্রান্তদের বয়স, লিঙ্গ, ভৌগোলিক অবস্থান ও মৃত্যু সম্পর্কিত পর্যাপ্ত তথ্য দেয়া হয় না। মনে হতে পারে যে, সরকার কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণকারী সকলের বয়স ও লিঙ্গ অত্যন্ত জানে। কিন্তু ডব্লিউএইচও’র সাম্প্রতিক সিচুয়েশন রিপোর্ট দেখলে বোঝা যায়, বিষয়টি তা নয়।
১৫ই জুন প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্টে, ডব্লিউএইচও লিখেছে, ‘শনাক্ত হওয়া রোগীদের মাত্র ২৪ শতাংশের বয়স ও লিঙ্গ সংক্রান্ত উপাত্ত বর্তমানে উপলভ্য আছে।’ এতে আরও বলা হয়, তথ্যের এই অপ্রতুলতার মানে হলো ৯০ হাজার ৬১৯ জন রোগীর মধ্যে মাত্র ২১ হাজার ৪২৩ জন রোগীর বয়স ও লিঙ্গ কী, তা সরকার জানে। তাই ডব্লিউএইচও’র রিপোর্টে যখন বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে ২৬.৫ শতাংশ হলো ৩১-৪০ বছর বয়সী, ২৬ শতাংশ হলো ২১-৩০ বছর বয়সী, ১৮ শতাংশ হলো ৪১-৫০ বছর বয়সী, ১২ শতাংশ হলো ৫১-৬০ বছর বয়সী, তখন তাতে ভরসা রাখার জায়গা কম। কারণ, এতে ৭৬ শতাংশ রোগীর তথ্যই বাদ পড়ে গেছে। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের বয়স ও লিঙ্গ সম্পর্কে আরেকটু কিছু তথ্য আছে। কিন্তু তা-ও আংশিক। ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘কোভিড-১৯ সংক্রান্ত মৃত্যুর ৫৮.৯ শতাংশের ক্ষেত্রে উপাত্ত রয়েছে।’ অর্থাৎ, ১২০৯ জন মৃত্যুবরণকারী রোগীর মধ্যে ৭১২ জনের তথ্য আছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেই তথ্যের ঘাটতি রয়েছে তা হলো কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ভৌগোলিক অবস্থান। এই তথ্য সরকারের জানা থাকা অত্যন্ত জরুরি। সরকারি নীতি-নির্ধারণে এই তথ্যের অনেক প্রভাব থাকবে। কিন্তু ১৫ই জুনের রিপোর্টে ডব্লিউএইচও বলেছে, মাত্র ৫৭ শতাংশ রোগীর ভৌগোলিক অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। তাই যখন ডব্লিউএইচও লিখেছে যে, ৬৭ শতাংশ রোগী ঢাকা বিভাগে, ১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগে, ৩ শতাংশ ময়মনসিংহ, ২.৯ শতাংশ খুলনা, ২.৮ শতাংশ সিলেট, ২.৬ শতাংশ রংপুর, ২.২ শতাংশ রাজশাহী ও ১.৩ শতাংশ বরিশাল বিভাগে, তখন মনে রাখতে হবে যে, এখানে ৪৩ শতাংশ রোগীর হিসাব নেই। এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ সরকারের দিক থেকেই এই ঘাটতি। আইইডিসিআর-এর ওয়েবসাইটেও একই ধরনের তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক বিভাগে প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা যোগ করলে ৫২ হাজার হয়, ৯০ হাজার হয় না। এ কারণে ভবিষ্যতে সরকারি নীতি-নির্ধারণে এর নেতিবাচক প্রভাব থাকবে অনেক। যেমন, সরকার কীভাবে জানবে যে, কোথায় কোভিড-১৯ হটস্পট রয়েছে, যদি সরকার না-ই জানে যে, রোগীরা কোথায় কোথায় আছেন?