এক্সক্লুসিভ
বিদ্যানন্দের চমক ‘ফিল্ড হাসপাতাল’
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জুন ২০২০, বুধবার, ৮:০৯ পূর্বাহ্ন
ছিন্ন মূল মানুষের পাশে বরাবরই দাঁড়িয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এক টাকার আহার দিয়ে পরিচিতি লাভ করা এই দাতব্য সংস্থাটি দেশের সকল ক্রান্তিকালে অসহায়দের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার সাধারণ ছুটির সময়ে তারা ৫ লাখ মানুষকে সাহায্য পৌঁছে দেবার লক্ষে কাজ করে। এবার তারা ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। চট্টগ্রামে হতে যাচ্ছে এই ফিল্ড হাসপাতাল। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থাসহ ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সোমবার পতেঙ্গা নেভাল এলাকার বাটারফ্লাই পার্কের পাশে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন তাদের বিবৃতিতে জানায়, নিজেরা হাসপাতাল বানাতে চাইনি। চেয়েছিলাম ইতিমধ্যে স্থাপিত করোনা ইউনিট বা হাসপাতালে অর্থ বরাদ্দ করতে। যাতে ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়। কিন্তু সাড়া পাচ্ছিলাম না তেমন। এছাড়া এসব হাসপাতালে রেফারেন্সের রোগী ভর্তি করালে দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা অনিশ্চিত থেকে যাবে। আর আমাদের অর্থটি মূলত ছিন্নমূল মানুষের চিকিৎসার জন্য। তাই বাধ্য হয়ে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছি। স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তারের পাশাপাশি আমরা বেতন ভিত্তিক ডাক্তার-নার্স নিচ্ছি। আর প্রশাসক হিসেবে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিবো। যা করি শুদ্ধভাবেই করার চেষ্টা করি। এক টাকায় চিকিৎসা আমাদের বহুল প্রচলিত প্রজেক্ট, সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এখানে।
এই বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক ফারুক আহমেদ বলেন, হাসপাতালটি হবে ১শ’ শয্যার। একটি ভবনে আপাতত ৫০ শয্যা দিয়ে হাসপাতালের যাত্রা শুরু হবে। এখানে থাকবে সেন্ট্রাল অক্রিজেন সিস্টেম। পাশাপাশি থাকবে পোর্টেবল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। আরেক স্বেচ্ছাসেবক সোনিয়া আক্তার বলেন, এই হাসপাতালে থাকবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মোট ১২ জন চিকিৎসক ও ১৮ জন নার্স। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন ৫০জন। এই হাসপাতাল নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবী জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা হাসপাতালটি করার জন্য চট্টগ্রামে জায়গা পেয়েছি এটা একটা কারণ। আর একটি কারণ হচ্ছে অক্সিজেনের ঘাটতিতে চট্টগ্রামে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। মানুষ বেশ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই দুর্ভোগ কিছুটা লাঘবের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ হাতে নেয়া। আশা করছি জুলাই থেকেই রোগী ভর্তি হতে পারবে। এছাড়াও তিনি জানান, হাসপাতাল নির্মাণে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতা করছে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন তাদের বিবৃতিতে জানায়, নিজেরা হাসপাতাল বানাতে চাইনি। চেয়েছিলাম ইতিমধ্যে স্থাপিত করোনা ইউনিট বা হাসপাতালে অর্থ বরাদ্দ করতে। যাতে ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়। কিন্তু সাড়া পাচ্ছিলাম না তেমন। এছাড়া এসব হাসপাতালে রেফারেন্সের রোগী ভর্তি করালে দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা অনিশ্চিত থেকে যাবে। আর আমাদের অর্থটি মূলত ছিন্নমূল মানুষের চিকিৎসার জন্য। তাই বাধ্য হয়ে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছি। স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তারের পাশাপাশি আমরা বেতন ভিত্তিক ডাক্তার-নার্স নিচ্ছি। আর প্রশাসক হিসেবে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিবো। যা করি শুদ্ধভাবেই করার চেষ্টা করি। এক টাকায় চিকিৎসা আমাদের বহুল প্রচলিত প্রজেক্ট, সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এখানে।
এই বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক ফারুক আহমেদ বলেন, হাসপাতালটি হবে ১শ’ শয্যার। একটি ভবনে আপাতত ৫০ শয্যা দিয়ে হাসপাতালের যাত্রা শুরু হবে। এখানে থাকবে সেন্ট্রাল অক্রিজেন সিস্টেম। পাশাপাশি থাকবে পোর্টেবল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। আরেক স্বেচ্ছাসেবক সোনিয়া আক্তার বলেন, এই হাসপাতালে থাকবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মোট ১২ জন চিকিৎসক ও ১৮ জন নার্স। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন ৫০জন। এই হাসপাতাল নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবী জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা হাসপাতালটি করার জন্য চট্টগ্রামে জায়গা পেয়েছি এটা একটা কারণ। আর একটি কারণ হচ্ছে অক্সিজেনের ঘাটতিতে চট্টগ্রামে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। মানুষ বেশ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই দুর্ভোগ কিছুটা লাঘবের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ হাতে নেয়া। আশা করছি জুলাই থেকেই রোগী ভর্তি হতে পারবে। এছাড়াও তিনি জানান, হাসপাতাল নির্মাণে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতা করছে।