এক্সক্লুসিভ
খুলনা বিভাগে করোনা পজেটিভ ১২শ’ ছাড়ালো
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৪ জুন ২০২০, রবিবার, ৮:২৭ পূর্বাহ্ন
রেড জোনে থাকা করোনার নতুন ‘হটস্পট’ খুলনা বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১২শ’ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই গড়ে ৩৫-৪০জন করে বাড়ছে পজেটিভের সংখ্যা। এছাড়া খুলনা জেলায় ৪ জনসহ বিভাগের ১০ জেলায় মোট মারা গেছেন ১৫ জন। এতে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
এদিকে, খুলনায় একজন চিকিৎসকসহ নতুন করে আরো ৫৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরীসহ জেলায় ৪০ জন রয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাটে ১০জন, যশোরে ৪জন, ঝিনাইদহ, নড়াইল ও গোপালগঞ্জে একজন করে রয়েছেন। শুক্রবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সর্বশেষ শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২০৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৭৮ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১৫ জন। এ বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায়।
সূত্র মতে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৩৪৪ জন, বাগেরহাটে ৫৯, সাতক্ষীরায় ৬৪, যশোরে ১৮৭ জন, ঝিনাইদহে ৭৩ জন, মাগুরায় ৫২, নড়াইলে ৫৩, কুষ্টিয়া ২০১, চুয়াডাঙ্গা ১৩৭ জন ও মেহেরপুর জেলায় ৩৩ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, শুক্রবার খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৩৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা জেলার নমুনা ছিল ১৫৪টি। এদের মধ্যে ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৪০ জনই খুলনার। অপরদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে বাগেরহাটে ১০ জন, যশোরে ৪ জন এবং সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও গোপালগঞ্জের একজন করে রয়েছেন। আক্রান্তের এ সংখ্যা খুলনায় একদিনে সর্বোচ্চ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এভাবে খুলনায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে, করোনার হার বাড়ার কারণে খুলনা বিভাগের ১০ জেলাতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপা উৎকণ্ঠা কাজ করছে। অনেকেই সচেতন হয়েছেন। মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করছেন। স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলছেন। তবে, বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। থ্রি হুইলার বা ইজিবাইকে দুইজন চড়ার কথা থাকলেও তাতে ৫/৬ জন করে চড়ছেন। পাড়ার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডাও চলছে। এতে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।
খুলনায় করোনা আক্রান্তের হারকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘এর অন্যতম কারণ হচ্ছে অনেকেই উপসর্গ গোপন করে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা খুঁজে খুঁজে স্যাম্পল সংগ্রহ করছি। এছাড়া আক্রান্ত এলাকাগুলো লকডাউন করে দিচ্ছি। তবে মানুষ সচেতন হয়ে বিধি নিষেধ মেনে চললে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করি।’
খুলনা জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ দিনেই খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ১৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪৪ জনে। এদের মধ্যে ৫১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর মারা গেছেন ৪ জন।
এদিকে, খুলনায় একজন চিকিৎসকসহ নতুন করে আরো ৫৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরীসহ জেলায় ৪০ জন রয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাটে ১০জন, যশোরে ৪জন, ঝিনাইদহ, নড়াইল ও গোপালগঞ্জে একজন করে রয়েছেন। শুক্রবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সর্বশেষ শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২০৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৭৮ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১৫ জন। এ বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায়।
সূত্র মতে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৩৪৪ জন, বাগেরহাটে ৫৯, সাতক্ষীরায় ৬৪, যশোরে ১৮৭ জন, ঝিনাইদহে ৭৩ জন, মাগুরায় ৫২, নড়াইলে ৫৩, কুষ্টিয়া ২০১, চুয়াডাঙ্গা ১৩৭ জন ও মেহেরপুর জেলায় ৩৩ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, শুক্রবার খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৩৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা জেলার নমুনা ছিল ১৫৪টি। এদের মধ্যে ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৪০ জনই খুলনার। অপরদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে বাগেরহাটে ১০ জন, যশোরে ৪ জন এবং সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও গোপালগঞ্জের একজন করে রয়েছেন। আক্রান্তের এ সংখ্যা খুলনায় একদিনে সর্বোচ্চ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এভাবে খুলনায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে, করোনার হার বাড়ার কারণে খুলনা বিভাগের ১০ জেলাতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপা উৎকণ্ঠা কাজ করছে। অনেকেই সচেতন হয়েছেন। মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করছেন। স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলছেন। তবে, বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। থ্রি হুইলার বা ইজিবাইকে দুইজন চড়ার কথা থাকলেও তাতে ৫/৬ জন করে চড়ছেন। পাড়ার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডাও চলছে। এতে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।
খুলনায় করোনা আক্রান্তের হারকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘এর অন্যতম কারণ হচ্ছে অনেকেই উপসর্গ গোপন করে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা খুঁজে খুঁজে স্যাম্পল সংগ্রহ করছি। এছাড়া আক্রান্ত এলাকাগুলো লকডাউন করে দিচ্ছি। তবে মানুষ সচেতন হয়ে বিধি নিষেধ মেনে চললে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করি।’
খুলনা জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ দিনেই খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ১৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪৪ জনে। এদের মধ্যে ৫১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর মারা গেছেন ৪ জন।