বাংলারজমিন
নাঙ্গলকোটে করোনার ভুল রিপোর্টে ক্ষতি ৭০ পরিবারের
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
৫ জুন ২০২০, শুক্রবার, ৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ভুল রিপোর্টের ফলে ৭০ পরিবারে নেমে এসেছে মারাত্মক বিপর্যয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দেয়া ভুল রিপোর্টের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স দীর্ঘ ১৪ দিন যাবৎ লকডাউন থাকায় উপজেলার ৬ লাখ মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হন। এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম হতে সংগ্রহ করা ৬০৪ জনের নমুনার মধ্যে ৭০ ভাগই কুমিল্লা মেডিকেলের রিপোর্ট বলে জানা গেছে। এছাড়া, এখনো ৯২ জনের রিপোর্ট প্রক্রিয়াধীন। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ৬৯ জনের। তাদের অন্তত ৫০ জনেরই পরিক্ষার রিপোর্ট কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাশ দেব। তিনি বৃহস্পতিবার নাঙ্গলকোটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য দেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবা, রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন মেশিন ও রোগী পরিবহনসেবা বিঘ্নিত। স্থানীয় জনগণের ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে বৃহস্পতিবার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খুলে দেয়া হয়।
হাসপাতালের ২৩ চিকিৎসক ও কর্মচারীর নমুনা গত ২০শে মে সংগ্রহ করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠালে ২৩শে মে তাদের পজিটিভ
রিপোর্ট আসে। এতে জেলাব্যাপী বড় ধরনের আতঙ্ক দেখা দেয়। নাঙ্গলকোট সদর হাসপাতাল ও ৫টি বেসরকারি হাসপাতাল এবং ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক লকডাউন ঘোষণা করায় উপজেলার সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গত অর্ধ মাস থেকে অচল হয়ে পড়ে। এতে বিনা চিকিৎসায় গত ১৫ দিনে শতাধিক লোকের মৃত্যু ঘটে। কিন্তু ওই চিকিৎসক ও কর্মচারীদের নমুনা পুনরায় আইইডিসিআর-এ পাঠালে গত বুধবার তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এতে উপজেলার ৭৯
করোনা আক্রান্ত রোগীর নমুনাও পুনরায় আইইডিসিআর-এ পাঠানোর দাবি উঠেছে করোনা পজিটিভ আসা ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ও সেন্টার ফর সোশ্যাল সার্ভিসেসের পরিচালক অধ্যক্ষ সায়েম মাহবুব ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
হাসপাতালের ২৩ চিকিৎসক ও কর্মচারীর নমুনা গত ২০শে মে সংগ্রহ করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠালে ২৩শে মে তাদের পজিটিভ
রিপোর্ট আসে। এতে জেলাব্যাপী বড় ধরনের আতঙ্ক দেখা দেয়। নাঙ্গলকোট সদর হাসপাতাল ও ৫টি বেসরকারি হাসপাতাল এবং ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক লকডাউন ঘোষণা করায় উপজেলার সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গত অর্ধ মাস থেকে অচল হয়ে পড়ে। এতে বিনা চিকিৎসায় গত ১৫ দিনে শতাধিক লোকের মৃত্যু ঘটে। কিন্তু ওই চিকিৎসক ও কর্মচারীদের নমুনা পুনরায় আইইডিসিআর-এ পাঠালে গত বুধবার তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এতে উপজেলার ৭৯
করোনা আক্রান্ত রোগীর নমুনাও পুনরায় আইইডিসিআর-এ পাঠানোর দাবি উঠেছে করোনা পজিটিভ আসা ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ও সেন্টার ফর সোশ্যাল সার্ভিসেসের পরিচালক অধ্যক্ষ সায়েম মাহবুব ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।