খেলা
২২ গজের মায়া ছেড়ে অলিম্পিক মঞ্চে
স্পোর্টস ডেস্ক
৩ জুন ২০২০, বুধবার, ৭:০৮ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের মতো দেশ, যেখানে জন্ম নিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতারের মতো পেসার। যে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ছিলেন মাঠ কাঁপানো অলরাউন্ডার, জিতেছেন বিশ্বকাপ। সে দেশে ক্রিকেটার হওয়ারই স্বপ্ন থাকে প্রতিটি ছেলের। তবে আরশাদ নাদিমের গল্পটা ভিন্ন। তিনি ২২ গজের মায়া ছেড়ে এসেছেন অলিম্পিক মঞ্চে।
বর্শা নিক্ষেপক (জাভেলিন থ্রোয়ার) আরশাদ নাদিমকে ঘিরে আগামী টোকিও অলিম্পিকে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। ২৩ বছর বয়সী আরশাদ হতে পারতেন একজন দুর্দান্ত ফাস্ট বোলার। টেপ টেনিসে গতির ঝড়ে সাড়া ফেলেছিলেন খানেওয়াল জেলায়। তবে ক্লাস সেভেনে ওঠার পর মন পাল্টান। ঝোঁকেন অ্যাথলেটিক্সে। এক্ষেত্রে অ্যাথলেট বড় ভাই শহীদ আজিম ও শহীদ নাদিমের কাছ থেকে উৎসাহ পান তিনি।
হঠাৎ ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ায় কিছুটা পিছুটান কাজ করছিল আরশাদ নাদিমের। বন্ধুরা তাকে নিয়ে আক্ষেপ করতো। শুনে আরশাদেরও খারাপ লাগতো। তবে নিজ প্রতিভায় দ্রুতই অ্যাথলেটিক্সে সাফল্য পেতে শুরু করেন আরশাদ নাদিম। ক্রিকেট ছেড়ে আসায় যে পিছুটান কাজ করতো সেটিও ভুলে যান। পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক দ্য নিউজকে এ প্রসঙ্গে আরশাদ বলেন, ‘আমি ক্রিকেটকে খুব মিস করতাম। খারাপ লাগতো যখন লোকজন আমাকে বলতো যে আমি একজন ভালো পেসার হতে পারতাম। কিন্তু এখন আমার কোনো অনুশোচনা নেই। অ্যাথলেটিক্সের অর্জন ক্রিকেটকে ভুলিয়ে দিয়েছে।’ ২০১৬তে ভারতে অনুষ্ঠিত ১২তম দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জেতেন আরশাদ। তাতে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে অনূর্ধ্ব-২০ ক্যাটাগরি র্যাঙ্কিংয়ে ৩ নম্বরে উঠে আসেন তিনি। একই বছর ভিয়েতনামে এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন আরশাদ। ২০১৭ সালে বাকু ইসলামিক গেমসেও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন এই অ্যাথলেট। ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ এশিয়ান গেমসেও।
এভাবেই আরশাদের উত্থান শুরু। পেশোয়ারে পাকিস্তানের ৩৩তম জাতীয় গেমসে ৮৩.৬৫ মিটার থ্রোতে রেকর্ড গড়ার পর নেপালে অনুষ্ঠিত ২০১৯ সাউথ এশিয়ান গেমসে ছাড়িয়ে যান নিজেকেই। ৮৬.২৯ মিটার বর্শা নিক্ষেপ করে সোনা জিতে আলোড়ন ফেলে দেন। এখন তার স্বপ্ন অলিম্পিকে বড় কিছু করে দেখানো। আরশাদ বলেন, ‘আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমি আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে কঠোর পরিশ্রম করে অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছি। ইনশা আল্লাহ অলিম্পিকেও মেডেল পাবো।’
বর্শা নিক্ষেপক (জাভেলিন থ্রোয়ার) আরশাদ নাদিমকে ঘিরে আগামী টোকিও অলিম্পিকে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। ২৩ বছর বয়সী আরশাদ হতে পারতেন একজন দুর্দান্ত ফাস্ট বোলার। টেপ টেনিসে গতির ঝড়ে সাড়া ফেলেছিলেন খানেওয়াল জেলায়। তবে ক্লাস সেভেনে ওঠার পর মন পাল্টান। ঝোঁকেন অ্যাথলেটিক্সে। এক্ষেত্রে অ্যাথলেট বড় ভাই শহীদ আজিম ও শহীদ নাদিমের কাছ থেকে উৎসাহ পান তিনি।
হঠাৎ ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ায় কিছুটা পিছুটান কাজ করছিল আরশাদ নাদিমের। বন্ধুরা তাকে নিয়ে আক্ষেপ করতো। শুনে আরশাদেরও খারাপ লাগতো। তবে নিজ প্রতিভায় দ্রুতই অ্যাথলেটিক্সে সাফল্য পেতে শুরু করেন আরশাদ নাদিম। ক্রিকেট ছেড়ে আসায় যে পিছুটান কাজ করতো সেটিও ভুলে যান। পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক দ্য নিউজকে এ প্রসঙ্গে আরশাদ বলেন, ‘আমি ক্রিকেটকে খুব মিস করতাম। খারাপ লাগতো যখন লোকজন আমাকে বলতো যে আমি একজন ভালো পেসার হতে পারতাম। কিন্তু এখন আমার কোনো অনুশোচনা নেই। অ্যাথলেটিক্সের অর্জন ক্রিকেটকে ভুলিয়ে দিয়েছে।’ ২০১৬তে ভারতে অনুষ্ঠিত ১২তম দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জেতেন আরশাদ। তাতে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে অনূর্ধ্ব-২০ ক্যাটাগরি র্যাঙ্কিংয়ে ৩ নম্বরে উঠে আসেন তিনি। একই বছর ভিয়েতনামে এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন আরশাদ। ২০১৭ সালে বাকু ইসলামিক গেমসেও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন এই অ্যাথলেট। ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ এশিয়ান গেমসেও।
এভাবেই আরশাদের উত্থান শুরু। পেশোয়ারে পাকিস্তানের ৩৩তম জাতীয় গেমসে ৮৩.৬৫ মিটার থ্রোতে রেকর্ড গড়ার পর নেপালে অনুষ্ঠিত ২০১৯ সাউথ এশিয়ান গেমসে ছাড়িয়ে যান নিজেকেই। ৮৬.২৯ মিটার বর্শা নিক্ষেপ করে সোনা জিতে আলোড়ন ফেলে দেন। এখন তার স্বপ্ন অলিম্পিকে বড় কিছু করে দেখানো। আরশাদ বলেন, ‘আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমি আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে কঠোর পরিশ্রম করে অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছি। ইনশা আল্লাহ অলিম্পিকেও মেডেল পাবো।’