বাংলারজমিন
চার বছর ধরে ১৪ পরিবারের চাল আত্মসাৎ করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৭ মে ২০২০, বুধবার, ৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) তালিকায় নাম থাকা অনেক হতদরিদ্রের ভাগ্যে জুটছে না ১০ টাকা কেজির চাল। খুলনার রূপসায় ৪ বছর ধরে ১৪টি পরিবারের চাল আত্মসাৎ করেছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার মিজানুর রহমান (৪৫)। যা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। রূপসা উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরদার মিজানুর রহমান রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১০ টাকা মূল্যে বিতরণ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ১৪টি পরিবারে চাল নিয়মিত আত্মসাৎ করে আসছেন। নাম থাকা সত্তেও চাল না পাওয়া ওই ১৪ ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের শাহিদ শেখ, সেলিম শেখ, আনিচুর রহমান, সাইদুর রহমান, খালেদা বেগম, জাহিদ মুন্সি, মুকুল শেখ, কামাল শেখ, রফিকুল শেখ, মমতাজ, নাসিম হাওলাদার, ওলিয়র হাসান, আসলাম খাঁ ও ফারুক হাওলাদার।
তারা জানান, তাদের নাম, ছবি ও ন্যাশনাল আইডিকার্ড নেওয়া হয়েছিলো ২০১৬ সালে। তবে তাদের নামে কার্ড হয়েছে কিনা তা জানেন না। তারা কখনো ১০ টাকা মূল্যের এই চাল উত্তোলন করেননি। এ বিষয়ে মিজানুর রহমানকে একাধিকবার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন তদন্ত করতে যাই। এ সময় আমার সঙ্গে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছিলেন। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে তাদের এ চাল দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি তারা জানোও না যে তাদের নামে কার্ড আছে। সুতারাং ডিলার সরদার মিজানুর রহমান যে তাদের চাল আত্মসাৎ করেছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ওই ১৪ ব্যক্তির এ যাবৎকালের ক্ষতিপূরণ আদায়সহ তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ডিলারশিপ বাতিল করা হবে বলেও জানান ইউএনও নাসরিন আক্তার।
তারা জানান, তাদের নাম, ছবি ও ন্যাশনাল আইডিকার্ড নেওয়া হয়েছিলো ২০১৬ সালে। তবে তাদের নামে কার্ড হয়েছে কিনা তা জানেন না। তারা কখনো ১০ টাকা মূল্যের এই চাল উত্তোলন করেননি। এ বিষয়ে মিজানুর রহমানকে একাধিকবার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন তদন্ত করতে যাই। এ সময় আমার সঙ্গে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছিলেন। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে তাদের এ চাল দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি তারা জানোও না যে তাদের নামে কার্ড আছে। সুতারাং ডিলার সরদার মিজানুর রহমান যে তাদের চাল আত্মসাৎ করেছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ওই ১৪ ব্যক্তির এ যাবৎকালের ক্ষতিপূরণ আদায়সহ তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ডিলারশিপ বাতিল করা হবে বলেও জানান ইউএনও নাসরিন আক্তার।