বাংলারজমিন
হাজীগঞ্জে এম এ মতিনের দাফন
শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরের (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি)-৫ নির্বাচনী আসনের চারবারের সাবেক সাংসদ এমএ মতিনের দু'দফা নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় (২৬ মে) তিনি ঢাকা উত্তরা রেডিক্যাল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একই দিন বাদ আছর দুই দফা জানাজা নিজবাড়ি টোরাগড় মুন্সী বাড়ীতে দাফন করা হয়। এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভুত পরিস্থিতির কারনে সাবেক সাংসদের এমএমতিন স্যারের জানাজায় সর্বোচ্চ ৫০ জন অংশগ্রহণ করতে পারবে। দুই কাতারে ২০/২৫ জন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। আর জানাজার নামাজ হবে হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় গ্রামের মুন্সী বাড়ীতে। পরে সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এই নিদ্দেশনা জানাজায় অংশগ্রহন কারী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলা হলেও এম এ মতিনের বক্ত ও নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, করোনা পরিস্তিতি থেকে সংক্রামণ এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর পূর্বে প্রয়াত এ নেতার বাড়ীতে জনসমাগম ঠেকাতে টোরাগড় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি ১৯৪৩ সালের ১৪ই মার্চ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মরহুম আলহাজ্ব খান সাহেব জুনাব আলী মুন্সী তদানীন্তন পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য এম এল এ ছিলেন। তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা আনোয়ার হোসেন মিয়া কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। উল্লেখ, তিনি চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ- শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার চার' বারের সাবেক এমপি ছিলেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক পানি সম্পাদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। জীবনের প্রথম পর্যায় হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকতা করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের উত্থান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান , ব্যক্তি জীবনে তিনি কৃতিমান একজন ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে ৪ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী, রাজনৈতিক কর্মী, সমর্থক সাধারণ ভোটার রেখে গেছেন।