বাংলারজমিন

মধুপুরে ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন হাফ ডজন চিকিৎসক

মধুপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা

২৩ মে ২০২০, শনিবার, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঝুকি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত ও বেসরকারি অন্তত হাফ ডজন চিকিৎসক। করোনা ভাইরাসের প্রচন্ড ঝুকির মধ্যেও নিয়মিত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের জন্য সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা না থাকলেও নিজ উদ্যোগে সেইফটি কিট সংগ্রহ করে যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে আগের মতই রোগীদের সেবা অব্যাহত রেখেছেন তারা।

সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে মধুপুরে প্রাইভেট ক্লিনিক স্থাপন করেছেন এমন অনেক ডাক্তারই প্রতিনিয়তই তাদের ক্লিনিকে ঝুকি নিয়ে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা চালিয়ে যচ্ছেন। করোনা সংকটের কারণে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে রোগীর চাপ কম থাকলেও প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। আর মানব সেবার মানসিকতা নিয়ে সাধারণ রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। অনেক রোগীকে তারা বিনা মূল্যেও এ সেবা দিচ্ছেন। এতে করে করোনা ঝুকি বাড়ছে ওইসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে কর্মরত ডাক্তার এবং সংশ্লিষ্টদের। সরাসরি চিকিৎসা সেবা প্রদান ছাড়াও নিয়মিত মোবাইলে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার, হোয়াসঅ্যাপ, ইমুসহ নানান ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিনামুল্যে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের জন্য সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা না থাকলেও নিজ উদ্যোগে সেইফটি কিট(পিপিই)সংগ্রহ করে যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে আগের মতই রোগীদের সেবা অব্যাহত রাখায় এলাকায় বেশ আলোচিত তারা।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসা সেবার কাজ করে যাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত ও বেসরকারি অন্তত হাফ ডজন চিকিৎসক। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দিনদিন বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় পুরো জাতি উদ্বিগ্ন এমন প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যেও থেমে নেই তাদের সেবা কার্যক্রম। চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে সেবা বঞ্চিত হয়ে অনেকে তাদের কাছে ছুটে আসছেন সেবা নিতে। আর মানব সেবার মানসিকতা নিয়ে সাধারণ রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। অনেক রোগীকে তারা বিনা মূল্যেও এ সেবা দিচ্ছেন। সরাসরি চিকিৎসা সেবা প্রদান ছাড়াও নিয়মিত মোবাইলে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার, হোয়াসঅ্যাপ, ইমুসহ নানান ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিনামুল্যে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের জন্য সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা না থাকলেও নিজ উদ্যোগে সেইফটি কিট (পিপিই) সংগ্রহ করে যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে আগের মতই রোগীদের সেবা অব্যাহত রাখায় এলাকায় বেশ আলোচিত তারা।

চিকিৎসকদের এ তালিকায় আছেন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ পরিচালক সাবেক সিভিল সার্জন ডা. শামসুল হক, সরকারি হাসপাতালের সাবেক গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা.আবদুর রহিম, গাইনী চিকিৎসক ও এনেসথেসিয়া দম্পতি ডা. শাহিনা আক্তার মুক্তি এবং নাজমুল হোসেন রনি, ডায়াবেটিক চিকিৎসক ও মধুপুর ডায়াবেটিক সেন্টারের পরিচালক ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি, জেনারেল প্র্যাকটিশনার ডা জহর লাল চৌধুরী এবং এর বাইরে হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক ডা. এস.এম ইউসুফ।

মধুপুরের অন্যতম প্রাইভেট চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ডক্টরস ক্লিনিক। এর মালিক স্বাস্থ্য বিভাগের উপ পরিচালক সাবেক সিভিল সার্জন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শামসুল হক। ক্লিনিকে তিনি প্রতিদিন সকাল নয় টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এবং বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিয়মিত রোগী দেখেন। করোনার এ কালে তিনি শুধু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগী সেবা অব্যাহত রেখেছেন। ডা. শামসুল হক জানান, দেশের এমন সময়ে চিকিৎসকদের দায়িত্বের বাইরে থাকার সুযোগ নেই। হোক সে সরকারি বা প্রাইভেট। পেশায় তিনি চিকিৎসক। সংকটকালেই চিকিৎসকের যুদ্ধ। এমন যুদ্ধে চিকিৎসকের জয়ী হতে হয়। কোন রোগী মারা গেলে চিকিৎসকের পরাজয়। এমন সংকট থেকে পালিয়ে থাকলেও পরাজয়। পালিয়ে আমাদের বাঁচার চেষ্টা থাকলে সাধারণ রোগীরা যাবেন কোথায়? তাদের সেবায় অন্তত শপথের দায়বদ্ধতা থেকে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসকদের নৈতিক দায়িত্ব।

সরকারি হাসপাতালের সাবেক গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা.আবদুর রহিম মধুপুরের অন্যতম গাইনোক্লজিস্ট ও সার্জন। মধুপুর ছাড়াও ধনবাড়ী, গোপালপুর, ঘাটাইলসহ পাশ^বর্তী উপজেলাগুলোর প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে তার ডাক পড়ে। আছে তার মেটারনিটি ক্লিনিকও। ২৪ঘন্টা অনকলে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তিনি। এ চিকিৎসক জানান, মানব সেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছি। এ পেশা সংগ্রামের পেশা। কোন প্রাপ্তির আশায় নয়, সেবার মানসিকতা থেকে এ দায়িত্ব পালন। ডা. রহিম আরও জানান, দেশের এমন মহাসংকটকালে সংগ্রামী পেশার মানুষ হিসেবে পালিয়ে থাকলে রক্ষা পাওয়া যাবে না। পুরো পৃথিবী করোনা ভাইরাস নামের অদৃশ্য শত্রুর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। এ যুদ্ধে আমাদের দেশকে জয়ী হতে হবে।

মধুপুরের চিকিৎসক দম্পতি ডা. নাজমুল হোসেন রনি এবং ডা. শাহিনা আক্তার মুক্তি। ডা. রনি জেলারেল সার্জন ও এনেস্থেসিয়া স্ত্রী মুক্তি গাইনোক্লজিস্ট ও সার্জন। এই ডাক্তার দম্পত্তি মধুপুর ছাড়াও পাশ^বর্তী ধনবাড়ী, গোপালপুর ও ঘাটাইল উপজেলার কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ২৪ঘন্টা অনকলে। করোনা সংকটের এই চরম পর্যায়ে এসেও থেমে নেই তাদের স্বাস্থসেবা। তারা নিয়মিত চার উপজেলায় চিকিৎসা সেবা প্রদান ছাড়াও মোবাইল এবং ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়মিত বিনামুল্যে চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছেন। ঝুঁকির মধ্যে তাদের এমন দায়িত্ব পালনে পরিবারের লোকজনও ঝুঁকিতে আছেন।

এমন সংকটকালে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসক এ দম্পতি জানান, মানবসেবা ব্রতের এই পেশার সৈনিক আমরা। জাতির এমন সংকটময় মুহুর্তে পালিয়ে যেতে পারি না। এটা আমাদের পেশাকে অসম্মান ও বিশ্বাসঘাতকতা করার শামিল। তাই যথাসম্ভব সচেতন থেকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও নিজের ফেইসবুক প্রোফাইল ও লোকাল কয়েকটি ফেইসবুক গ্রুপে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক নানা ধরণের পোস্ট দিয়ে যাচ্ছি।

মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক, উত্তর টাঙ্গাইলে প্রথম ডায়াবেটিক চিকিৎসা সেন্টার গড়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন মধুপুর ডায়াবেটিক সেন্টারের পরিচালক ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status