বাংলারজমিন

জগন্নাথপুরে ঈদবাজারে ক্রেতাদের ঢল

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

২২ মে ২০২০, শুক্রবার, ৫:৩০ পূর্বাহ্ন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি আর বৃষ্টি উপেক্ষা করে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চলছে ঈদের কেনাকাটা। বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর পুরাণ বাজার ও পৌরশহরের বিভিন্ন বিপণী বিতাণে সকাল থেকে নারী পুরুষ শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের প্রচ- ভীড় দেখা গেছে।
সকালে এবং দুপুরের উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বৃষ্টির মধ্যেও ঈদ বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক।
জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা বাড়তে থাকলেও সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় ঈদ বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। লকডাউন সীমিত হওয়ার সাথে সাথে হাট বাজারে ক্রেতাদের প্রচ- ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে জগন্নাথপুর বাজারে নারী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্যণীয়। কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।  ঈদ বাজারে আসা ফজলু মিয়া নামে এক ক্রেতা জানান, আর মাত্র তিন-চার দিন বাকী আছে ঈদুল-উল ফিতরের। কাজের ব্যস্থতার কারণে পরিবার পরিজনের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনতে পারিনি। তাই আজকে বাজারে এসেছি। সুলতান মিয়া নামে আরেক ক্রেতা জানান, নতুন জামা-কাপড় না হলে ঈদের আনন্দই যেন মলিন হয়ে যায়। তাই বৃষ্টির মধ্যেও ছেলে মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটার জন্য এসেছি। জগন্নাথপুর বাজারের এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতাদের সামলানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে। ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আমরা বারবার তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি বলছি। তবুও ক্রেতারা মানতে রাজি নয়। জগন্নাথপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহির উদ্দিন বলেন, একদিকে করোনার ঝুঁকি অন্যদিকে বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে বাজারে লোকসমাগম প্রচ-ভাবে বেড়েছে। কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ঢল লেগেই আছে। বেশিভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। খুবই শঙ্কায় আছি। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, পুলিশ লোকজন কে সচেতন করতে দিনরাত কাজ করছে। ঈদকে সামনে রেখে হাটবাজারে মানুষের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status