বাংলারজমিন
কটিয়াদীতে গণপিটুনিতে নিহত ১
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
২২ মে ২০২০, শুক্রবার, ৫:২৫ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে এক জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গাড়িসহ আরো দুই চোর সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত রাসেল (২৭) চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালিয়া পাড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র।
এলাকাবাসী জানায়, একদল চোর হুমায়ুন কবীর বাদলের বড় বড় তিনটি গরু চুরি করে গোয়াল ঘর থেকে বের করে পাশে একটু দূরে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পিকআপে উঠানোর সময় পাশের লিচু বাগানের পাহাড়াদারের চোখে পড়ে। পাহাড়াদার গরুর মালিক বাদল মিয়াকে ডেকে বিষয়টি জানালে, বাদল মিয়া তার গোয়ালঘরে গরু না পেয়ে ডাকচিৎকার শুরু করে এবং পাশর্^বর্তী মসজিদের মাইক থেকে এলাকাবাসীকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। মাইকিং শুনে চোরদল গাড়ি নিয়ে পুরাতন রেললাইনের পাশ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এদিকে এলাকাবাসী গ্রামের সকল রাস্তায় জড়ো হয়ে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে। একই গ্রামের লতিফ মাস্টারের বাড়ির পাশে গাড়িসহ তাদের আটক করে গণপিটুনি দেয়। গনপিটুনি খেয়ে পালানোর সময় রাসেল ব্রীজের নিচে পানিতে পড়ে যায়। শুক্রবার ভোরে ব্রীজের নিচে পানিতে তার লাশ পাওয়া যায়। এসময় শাহীন (২৩) ও আনান (৩৫) নামে আরো দুই চোর সদস্যকে গাড়ীসহ আটক করে এলাকাবাসি। খবর পেয়ে গচিহাটা তদন্ত কেন্দ্র ও কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ও পিকআপে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গরুর মালিক হুমায়ুন কবীর বাদল জানান, তার গরু তিনটির আনুমানিক মূল্য দুই লক্ষ টাকা হবে।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, আটককৃতদের গাড়ি থেকে ধারলো দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি, ছোরা) উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত্রের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় একটি এবং ডাকাতির ঘটনায় একটি মোট দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত পালিয়ে যাওয়াদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
এলাকাবাসী জানায়, একদল চোর হুমায়ুন কবীর বাদলের বড় বড় তিনটি গরু চুরি করে গোয়াল ঘর থেকে বের করে পাশে একটু দূরে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পিকআপে উঠানোর সময় পাশের লিচু বাগানের পাহাড়াদারের চোখে পড়ে। পাহাড়াদার গরুর মালিক বাদল মিয়াকে ডেকে বিষয়টি জানালে, বাদল মিয়া তার গোয়ালঘরে গরু না পেয়ে ডাকচিৎকার শুরু করে এবং পাশর্^বর্তী মসজিদের মাইক থেকে এলাকাবাসীকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। মাইকিং শুনে চোরদল গাড়ি নিয়ে পুরাতন রেললাইনের পাশ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এদিকে এলাকাবাসী গ্রামের সকল রাস্তায় জড়ো হয়ে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে। একই গ্রামের লতিফ মাস্টারের বাড়ির পাশে গাড়িসহ তাদের আটক করে গণপিটুনি দেয়। গনপিটুনি খেয়ে পালানোর সময় রাসেল ব্রীজের নিচে পানিতে পড়ে যায়। শুক্রবার ভোরে ব্রীজের নিচে পানিতে তার লাশ পাওয়া যায়। এসময় শাহীন (২৩) ও আনান (৩৫) নামে আরো দুই চোর সদস্যকে গাড়ীসহ আটক করে এলাকাবাসি। খবর পেয়ে গচিহাটা তদন্ত কেন্দ্র ও কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ও পিকআপে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গরুর মালিক হুমায়ুন কবীর বাদল জানান, তার গরু তিনটির আনুমানিক মূল্য দুই লক্ষ টাকা হবে।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, আটককৃতদের গাড়ি থেকে ধারলো দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি, ছোরা) উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত্রের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় একটি এবং ডাকাতির ঘটনায় একটি মোট দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত পালিয়ে যাওয়াদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।